মূলত প্রচলিত অর্থে সাম্যবাদ বলতে যা বোঝায় নজরুলের সাম্যবাদ তার ব্যতীক্রম।ক্ষেত্রগুপ্ত বলেছেন,"নজরুলের সাম্যবাদ একান্তই মানববাদী আবেগজাত ভাবনা।" কবিতাগুলোর মধ্যে দিয়ে তিনি প্রমান করতে চুয়েছেন যে মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় হল যে সে একজন "মানুষ"।তাই জাতি,ধর্ম,বর্ণ,লিঙ্গ,শ্রেণী,পেশা ইত্যাদির ভিত্তিতে মানুষের মাঝে বৈষম্যের প্রাচীর গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি ঘোর বিরোধী। কাব্যের প্রতিটি কবিতায় তিনি বারবার বলছেন যে তাঁর ছোখে চোর-সাধু,পুরুষ-রমনী,ধনী-দরিদ্র,সৎ- অসৎ,পাপী-তাপী সবাই সমান। আসলে প্রজ্ঞার চেয়ে কবিতাগুলোতে আবেগের প্রাধান্যই বেশি।আর হিন্দু- মুসলমান সম্প্রীতি কামনা এ কাব্যের এক বিশিষ্ট অংশ।মোল্লা-পুরুতদের ভন্ডামিকে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তুলো ধরেছেন।