-
ফোন কেন রুট করতে হয়?
-
রুট করলে কি কি হয় মানে কি কি করা যাই?
-
এবং সেগুলা কিভাবে করবো?
Root করা মানে আপনার মোবাইল সেটটির সব নিয়ন্ত্রন আপনার নিজের হাতে নিয়ে নেয়া। একটা ছোট্ট উদাহরন দেই, মনে করুন আপনি এখন চালাচ্ছেন Lolipop 5.0.1 এবং আপনার মোবাইলের জন্য আপনি Marshmallow 6.0 আপডেট পাবেন না, এক্ষেত্রে আপনি আপনার মোবাইলকে root করে Marshmallow এর আদলে তৈরি করা rom ব্যবহার করে marshmallow এর সব কিছুই উপভোগ করতে পারবেন। :)
আমি Samsung S4 ব্যবহার করি। এটির কিন্তু কোন অফিসিয়াল marshmallow আপডেট আসেনি, কিন্তু আমি root করে বর্তমানে marshmallow এর সব কিছু উপভোগ করছি। :)
এছাড়া আপনার সেটে bloatware নামে কিছু pre installed apps থাকে যা আপনি ব্যবহার করেন না কিন্তু আপনার চার্জ সেই apps গুলোর জন্য ঠিকই নষ্ট হয়। আপনি root করলে এই apps গুলো ডিলিট করে আপনার ব্যাটারী সেভ করতে পারবেন। Root করা ছাড়া এই apps গুলো রিমুভ করা সম্ভব নয়।
আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। না পেলে আবার প্রশ্ন করতে পারেন।
ধন্যবাদ।
রুট করার সুবিধা পারফরমেন্স বাড়ানোঃবিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা। ওভারক্লকিং করাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়। আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব। কাস্টম ইউআই: আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়। কাস্টম রম: ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন।
বর্তমান সময়ে বেসিরভাগ মানুষই Android Smart Phone ব্যবহার করে, কিন্তু Root কথাটি একবারও শুনেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ!! কিন্তু নতুন অনেক Android ব্যবহারকারীই জানে না যে, আসলে Root এর প্রকৃত কি?
Android ডিভাইসটিতে বাড়তি পারফরম্যান্স পাবার জন্য Root করা হয় বলে অনেকেরই ধারনা। তাই অনেকে বাড়তি পারফরমেন্স পাবার জন্য Android Deviceটি Root করে থাকেন ।
কিন্তু Android ডিভাইসটি Root করার পর দেখা যায় তাদের ডিভাইসের পারফরম্যান্স আগের মতোই আছে বা আগের চেয়ে কমে গেছে। তখন তারা হতাশ হয়ে যায় এই ভেবে, তাহলে Android ডিভাইসটি Root করার সুবিধাগুলো আসলে কী??
(Root)রুট কি?
Root শব্দটির আভিধানিক অর্থ গাছের শিকড়। কিন্তু Androidএ Root বলতে বুঝায়, একটি Permission বা অনুমতি। Root হচ্ছে সেই Permission অথবা অনুমতি, যা Android ব্যবহারকারীকে সর্বাধিক ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে।
রুট হচ্ছে অনুমতি, আর এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন ।
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রে টর প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না (যেগুলো সাধারণত
সি ড্রাইভে থাকে)। লিনাক্সেও তেমনি রুট পারমিশন প্রাপ্ত
ইউজারছাড়া সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রে শনের কাজগুলো করা যায় না।
আপনি ডিভাইসটি কিনেছেন ঠিকই, কিন্তু আপনি কিন্তু Operating System ইন্সটল করেননি, তাই না? ডিভাইস প্রস্তুতকারক ডিভাইসটি প্যাকেটজাত করার আগে তাদের কম্পিউটার থেকে লিনাক্স কার্নেলের উপর তৈরি Android Operating System ইন্সটল করে দিয়েছে। এখানে বলা প্রয়োজন যে, Android Operating System এর মূল ভিত্তিটা এক হলেও এক এক কোম্পানি এক একভাবে এটিকে সাজাতে বা কাস্টোমাইজ করতে পারেন। এই জন্যই Sonyএর একটি Android ডিভাইসের User Interfaceএর সঙ্গে Samsung এর একটি Android ডিভাইসের Interfaceএর মধ্যে খুবই কম মিল পাওয়া যায়।
আপনার ডিভাইস প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইচ্ছে করেই তাদের ডিভাইসে রুট অ্যাক্সেস দেয়নি। এ কথা শুনে কোম্পানির উপর কিছুটা রাগ হতেই পারে। তবে কোম্পানি তাদের ডিভাইসের সুরক্ষার জন্যই এই কাজটি করে ।
রুট করার সুবিধা
বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মোবাইলের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা। এছাড়াও মোবাইলের পারফরমেন্স বাড়ানো যায় আরও অনেক ভাবে। ওভারক্লকিং করে সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করে। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়। যখন মোবাইল এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা যায় আন্ডারক্লকিং করে। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব। এছাড়াও রুট করে কাস্টম রম ইন্সটল করার সুবিধা রয়েছে। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় মোবাইলের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার মোবাইলকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন।
আপনি সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার রেম এর স্পীড বাড়াতে পারবেন , এর মাধ্যমে আপনি বড় বড় হাই কোয়ালিটি গেমস খেলতে পারবেন ।
প্রসেসরের স্পীড বাড়াতে পারবেন তবে কোন হার্ডওয়্যার বা অন্যান্য কোন কিছু বাড়াতে পারবেন না। আপনি ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাকে ১৬ মেগাপিক্সেল করতে পারবেন না। যেই মোবাইলে NFC নেই তাতে তা সংযোগ করতে পারবেন না। রুট শুধু মাত্র আপনার অভ্যন্তরীণ পারফরম্যান্সে কাজে আসবে , বাহ্যিক কোন পরিবর্তন নয় ।