অল্প পুজিতে ব্যবসার কয়েকটি ফর্মুলা নিচে দেওয়া হলো ১। চায়ের দোকান :“অল্প পুঁজি দিয়ে ছোটখাটো যেসব ব্যবসা করা যেতে পারে চা’র দোকান এর মধ্যে অন্যতম। পরিবারের যে কোনো বয়সের ব্যক্তি চা’র দোকান চালাতে পারে। চা-এর দোকানে বিস্কুট, কলা, কেক, পাউরুটি ইত্যাদিও বিক্রি হতে দেখা যায়। খুব ছোট আকারেও এ ব্যবসা শুরু করা যায়। যে কোনো স্থানেই চা-এর দোকান করা সম্ভব। তবে রাস্তার মোড়ে হলে ব্যবসা ভালো চলে। এছাড়া অনেক লোকসমাগম ঘটে এমন যে কোনো জায়াগাতে চা-এর দোকান গড়ে তোলা যেতে পারে। অনেক সময় বড় রাস্তার পাশে দোকান দিলে ভালো জমে উঠে।” ২। পানের দোকান “ছোটখাটো নানান ধরনের ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হতে পারেন। পান-সুপারি বিক্রির ব্যবসা এ ধরনের ব্যবসার মধ্যে অন্যতম। খুব সামান্য পুঁজি দিয়েই এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। পাইকারি দরে পান, সুপারি, জর্দা কিনে পানের খিলি বানিয়ে বিক্রি করাকে পেশা হিসেবে নিয়ে যে কোনো ব্যক্তি উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন। আমাদের দেশে বয়স্ক লোকের কাছে পানের বেশ চাহিদা রয়েছে। রাস্তার পাশে, হাট বা বাজারে, রাস্তার মোড়ে পানের দোকান দেয়া যেতে পারে। ” ৩। ফুলের দোকান “নানান অনুষ্ঠানে অনেক বেশি পরিমাণে ফুলের প্রয়োজন হয়। এই ফুলের জোগান দিয়ে থাকে ফুলের দোকান। আমাদের দেশের প্রায় সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয়। সাধারণত সারাবছরই ফুলের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে শীতকালে বিয়ে, গায়ে হলুদ, নানান সামাজিক অনুষ্ঠান, সভা ইত্যাদি বেশি থাকে বলে এই সময় ফুলের চাহিদাও বেশি থাকে। এছাড়া গৃহসজ্জার কাজেও সৌখিন মানুষ ফুল কিনে থাকে। ফুলের দোকান দেবার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে। বাজারের কেন্দ্র বা যে সব স্থানে লোকসমাগম হয় সে রকম স্থানে ফুলের দোকান দিতে হবে। ” ৪।ফলের দোকান “আমাদের দেশে বেশ কিছু মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। যেমন: আম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস, জলপাই, কামরাঙ্গা ইত্যাদি। এসব মৌসুমি ফলে প্রচুর ভিটামিন পাওয়া যায়। এসব মৌসুমি ফলের পাশাপাশি সারাবছর যে সব ফল পাওয়া যায় সেসব ফলের প্রচুর চাহিদা থাকে। এসব ফল বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশনের কাছে বা হাসপাতালের সামনে ফলের দোকান দিলে ব্যবসা ভালো চলবে। এছাড়া আবাসিক এলাকায় মুদি দোকানের কাছে ফলের দোকান দেয়া যেতে পারে। ” ৫। মুদি দোকান “মুদি দোকান বলতে এমন একটি দোকানকে বোঝায় যেখানে নিত্য-প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। যে কোনো বেকার নারী বা পুরুষ মুদি দোকানের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ, ভারী কাজে অক্ষম ব্যক্তিরাও ঘরে বসে থেকেই মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। মুদি দোকানের যে সব পণ্য বিক্রি করা হয় তার চাহিদা সারাবছরই থাকে। এ ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা কম থাকে। মুদি দোকান মূলত হাটে, বাজারে বা রাস্তার মোড়ে দেখা যায়। অথবা বসতবাড়ির বাইরের অংশে মুদির দোকান দেয়া যেতে পারে। ” ৬। স্টেশনারি বই-পুস্তক, খাতা-কলমের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উন্নতির সাথে সাথে বাড়ছে অফিস আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং এর সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও। এসব প্রতিষ্ঠানে রেজিস্টার খাতা, পেন্সিল, কলম, ফাইল ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। স্টেশনারিতে এই সব প্রয়োজনীয় খাতা, কলম, পেন্সিল, স্কেল ইত্যাদি পাওয়া যায়। এসব উপকরণের চাহিদা সব সময়ই থাকে।