কয়টি করণীয় কাজ যা আমাকে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হতে সাফল্য দিতে পারে ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Manik Raj

Call

ব্যবসার জন্য এমন একটি বিষয় বেছে নেওয়া উচিত, যার মাধ্যমে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তা না করে যদি আপনি এমন একটি ব্যবসা বেছে নেন বাজারে যার কোনো চাহিদাই নেই, তাহলে কিন্তু আপনার শ্রম, মূলধন, সময়-সবকিছুই বৃথা যাবে। তাই যে কাজটি করতে হবে তা হলো, আপনাকে গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে হবে। গ্রাহকদের চাহিদা, পছন্দ, আগ্রহ, সামর্থ্য-এসব বিষয় মাথায় রেখে আপনাকে এগোতে হবে। গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে না পারলে ব্যবসা সফলতার মুখ দেখবে না। গ্রাহকেরা কী ধরনের পণ্য বেশি চান, সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে জরিপ পরিচালনা বা কারও পরিচালিত জরিপ থেকে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা না থাকলে কিন্তু ব্যবসায় মার খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসাক্ষেত্রে পণ্য নির্বাচন ছাড়াও স্থান নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ব্যবসার জন্য এমন একটি স্থান বেছে নিতে হবে, যেখানে পর্যাপ্ত গ্রাহক পাওয়া যাবে বা মানুষের যথেষ্ট আনাগোনা রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নিম্নোক্ত উপায় গুলো মেনে সফলতা আশা করা যায় : ১। জানতে হবে আপনি কি করতে পারেন আর কি করতে পারেন নাঃ শুরুতেই মনে রাখতে হবে, সব ধরনের কাজ করে সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা না করাই ভালো, এতে করে কোন একক কাজ ভাল ভাবে না করতে পারা বা নিজের বিশেষ দক্ষতা ফুটে উঠে না। যে কারনে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের প্রস্তাব, নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে পণ্য উদ্ভাবনের চেষ্টা অথবা কিছু টাকার জন্য পূর্বনির্ধারিত বাজারের বাইরে বিপননের চেষ্টা করা সব সময় ঠিক নয়। যখন এটা করা হয় তখন লক্ষ্য অর্জন ঝুঁকির মুখে পরে এবং আপনি আপনার দলের সদস্যদের, বাজেট এবং সর্বোপরি আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অযাচিত বোঝার সৃষ্টি করেন। ২। প্রাপ্তির দিকে স্থির লক্ষ্য রাখুনঃ উন্নতির পথে আমরা সব সময়ই কৌশলী থাকার চেষ্টা করি। সাধারণত তিন বছরের ব্যবসায়ের পরিকল্পনা তৈরি করার চেষ্টা করুন, তা অনুসরন করার চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজন বুঝে তাকে পরিবর্তন করুন। এটা বিশ্বাস করুন যে লক্ষ্য স্থির ছাড়া সকলের কাজের গতি নিরুপনের আর কোন উপায় নেই। যখন প্রতিষ্ঠানের সকলের লক্ষ্য সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকবে তখনি সবাই একসাথে তা অর্জনের জন্য কাজ করতে পারবে। ৩। মনে রাখতে হবে মানুষ মানুষের জন্য কাজ করে প্রতিষ্ঠানের জন্য নয় মেধাহীন ব্যক্তিদের দিয়ে কোন ব্যবসায় চলছে এবং উন্নতি লাভ করছে এমন নজির খুব কমই আছে। সত্যি বলতে,আমরা প্রায়ই বলি মানুষই হল আমদের একমাত্র সম্পদ যারা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং আমরা সবসময়ই তাদের উন্নত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের চেষ্টা করি যার কারণে তারাও আমাদের সাথে কাজ করতে চায়। অনেক প্রতিষ্ঠান এটা ভুলে যান যে, কাজের প্রতি নিষ্ঠা তখনই আসে যখন কর্মীরা এটা বিশ্বাস করে যে প্রতিষ্ঠান এবং এর কর্তা ব্যক্তিরা তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে এবং পেশাদারীত্তের কারনে একে অপরের সাথে জড়িত। তখন কর্মীরা কাজের উদ্দম হারিয়ে ফেলে এবং প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। ৪। ভালভাবে ব্যবসায় চালনা করা আর ব্যবসায় ভাল হওয়া এক কথা নয় আমারা প্রায়ই বলে থাকি যে কেউ একজন গণ- সংযোগে খুব ভাল দক্ষ। খুব ভাল মানে এই নয় যে সে একটা গণ-সংযোগের এজন্সি খুব ভালভাবে চালাতে পারবে। অন্য সব পেশার ক্ষেত্রে ও এ কথাটা সত্য। ভাল ব্যবসায়িক মন আর সুনির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্রে অনন্য দক্ষতাই সফলভাবে ব্যবসায়ের উন্নতির মূলমন্ত্র।সফল ব্যবসায়ের পিছনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো হলঃ প্রক্রিয়া, মানব ব্যবস্থথাপনা, বিল ও কার্যপ্রণালী। অনেক কর্মদ্দোমী মানুষ ব্যবসায় পরিচালনায় দারুনভাবে ব্যর্থ হয়েছে কেবল মাত্র সম্যক প্রাতিষ্ঠানিক কাজের কথা না ভাবে নিজের দায়িত্বের দিকে সবটুকু মনোযোগ দেবার কারনে। ৫। আসক্তি সংক্রামক আপনি যখন আপনার কাজ কে ভালোবাসেন তখন তা আপনার আশেপাশের মানুষের কাছে দৃশ্যমান হয়। কর্মোদ্যম এবং কর্মোদ্দীপনা দেখানো আপনার দলের কঠিন কাজ সহজ করার ও লক্ষ্যে স্থির থাকতে সাহায্য করে, যা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে সফল হতে সাহায্য করবে। এর বিপরীতে যে তাঁর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় সে কর্মক্ষেত্রেও বাঁধার সৃষ্টি করে। ৬। সবসময় নিজের উন্নতির জন্য নিজের সাথে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে প্রতিনিয়ত বদলে দিচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে যে কোন শিল্পেই নতুনত্ব প্রয়োজন। এটা হতে পারে-নতুন অনুষ্ঠান, নতুন চিন্তা অথবা নতুন প্রক্রিয়া। হয় আপনি এগিয়ে যাবেন অথবা অচল হয়ে যাবেন। তাই আমরা অনবরত কাজ করার নতুন উপায় খুঁজি যা হতে পারে উন্নত পণ্য, আমাদের ক্রেতার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং কাজে আরও পারদর্শী হাওয়া যা শেষপর্যন্ত বিশাল মুনাফার সৃষ্টি করে। ৭। “পণ্য বানালে ক্রেতা আসবেই” এই মানসিকতার অবসানঃ প্রতিযোগিতাপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অনেক ব্র্যান্ড বাজারজাতকরণকে একটি খরচের উৎস বলে মনে করে। শুরুতে অনেকে এতে খুব একটা খরচ করতে চায় না। যাই হোক, এর ফলে বাজারে পণ্যের ভাল দিকগুলোর ধারণা কম থাকে। এমনকি যে ধারণা নিয়ে তারা পণ্যটি বাজারে আনে যে “তাদের পণ্য এতই সেরা যে এর ক্রেতারা দল বেঁধে তা কিনছে” এ ধারণাও বিপন্ন হয়। ভোক্তারা পণ্য কেনার বেপারে খুবই সচেতন। তারা সেই পণ্যই কিনতে চান যা তারা ব্যবহার করেছে অথবা যে পণ্য সম্পর্কে কেউ ভালো বলছে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যে নতুন পণ্য উদ্ভাবন এবং এর বাজারজাতকরণ যেন সমান গুরুত্ব পায় এবং সাথে সাথে এই নিশ্চয়তা দেয় যে, পণ্যের খুচরা বিক্রি শুরু হলে ভোক্তার যেন তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য হাতের নাগালে পায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ব্যবসায় সফলতার জন্য নির্বাহীদের সঠিক কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য আপনার উচিৎ প্রতিষ্ঠানটি ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে এবং তার গতিপ্রকৃতির চুলচেরা বিশ্লেষণ। পরে সে অনুযায়ী সঠিক দিক নির্দেশনা তৈরি করা। তাই আপনার ব্যাবসায় উন্নতি আনতে কিছু বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। যা ব্যবসায় সফলতা আনার চাবিকাঠি হতে পারে। ‘কিওয়ার্ড’ জানাঃ আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকের জানা থাকা উচিত যে, আপনি কে এবং আপনার ব্যবসায়ের মূল বৈশিষ্ট্য কেমন। গুগলে কেনো কিছু খুঁজতে যেমন সঠিক কিওয়ার্ড লিখতে হয়, তেমনভাবেই মূল কয়েকটি কিওয়ার্ডই হতে পারে আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে প্রতিষ্ঠানের পরিচয়। প্রধান কাস্টমার নির্বাচনঃ ব্যবসায়ে সব গ্রাহককে সমান গুরুত্ব দেয়া যাবে না। আপনাকে দেখতে হবে কার কাছে থেকে বেশি ব্যবসায়িক লাভ হচ্ছে? যাদের কাছ থেকে আপনি সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়ীক সাফল্য পান, তাদেরই মূল গ্রাহক হিসেবে ধরা প্রয়োজন। অন্যদের দিকে অতিরিক্ত মনোযোগঃ আপনার আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়। পণ্যের ব্র্যান্ডের গ্যারান্টি গ্রাহকদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি সেবার বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া প্রয়োজন। ফেডারেল এক্সপ্রেস যেমন নির্দিষ্ট একটি সময়ের ভেতর তাদের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার গ্যারান্টি দেয়। যে সময় পূরণ করতে না পারলে তারা অর্থ ফেরত দেবে। গোপন পরিকল্পনাঃ ব্যবসাক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দূরে সরাতে গোপন পরিকল্পনা বেশ কাজে দেয়। এতে অনেক সময় গ্রাহকের বিরক্তি তৈরি হলেও তা আদতে ভালো ফলাফল নিয়ে আসে। প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে পার্থক্যঃ বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়ীক পরিবেশে স্বতন্ত্র থাকা কঠিন। কিন্তু আপনি যদি এতে সফল হতে পারেন তাহলে তা হতে পারে মূল্যবান এক পদক্ষেপ। এজন্য প্রথমে তিনটি স্বতন্ত্র বিষয়ের তালিকা করুন, যেগুলোতে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় এগিয়ে আছেন। অর্থনৈতিক চালিকাশক্তিঃ কোনো প্রতিষ্ঠানের বহু বিষয় থাকতে পারে, যা থেকে লাভ আসে না। এখানে অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হয় অল্প কিছু বিষয়। আর এ বিষয়গুলো হলো অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। এগুলোকে ঠিকভাবে জেনে প্রতিষ্ঠানের মেরুদণ্ড মজবুত করতে হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ