আমার বয়স ২৩ বছর । পৈতৃক সম্পত্তি কিছু নেই বললেই চলে। আমার বাবা সল্প বেতনে একটি মাদরাসায় কর্মরত আছেন। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাও নড়বড়ে ( মাদরাসা বোর্ড থেকে দাখিলে জিপিএ-৪.৪৪, আলিমে জিপিএ-৪.২৫ এবং ফাযেল ডিগ্রি পরীক্ষায় জিপিএ-২.৯৩ প্রাপ্ত ) । আমার উল্লেখযোগ্য কোন অভিজ্ঞতাও নেই। ....আছে আবেগ ভরা স্বপ্ন। আমার ছোট ভাই দশম শ্রেণীতে ( বিজ্ঞান বিভাগ ) পড়ে। আমার আশা, ও যেন উচ্চ শিক্ষিত হতে পারে। আমার মা নানান রোগে জর্জরিত। তাঁর পূর্ণ চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা দরকার। বরিশাল শহরে ভাড়া করা বাসায় থাকি। গ্রামে নিজেদের ভিটায় একটি ঘর পর্যন্ত নেই। এরকম অজস্র প্রয়োজন আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আমি একান্তই নির্বিকার... তবে নিজের বৈশিষ্ট্য হিসেবে বলছি, আমি সৎ ও মোটামুটি ধৈর্য্যশীল, ইচ্ছাকৃত কারও হক নষ্ট করি না, সুদ খাওয়া কিংবা দেওয়া থেকে বিরত থাকি, হালাল-হারাম মেনে চলি ইত্যাদি। ……আর ঠুনকো একটা অভিজ্ঞতা আছে। আমি ৭ বছর যাবত টিউশনি করি। class 1-7 মোটামুটি পড়াতে পারি। তাতেও পানি গরম হয় না…। অর্থাৎ আমাকে দিয়ে তাদের চলে না, আর তারা যে টাকা দেয়, তাতে আমারও চলে না। গত বছর PSC-র ৪টা স্টুডেন্ট পড়িয়েছি, ৩ টার A+ মিস... অথচ ওরা ক্লাসে ভাল পারত। যাই হোক… ans.bissoy.com এর ভাইয়েরা, আমাকে পরামর্শ দিন, কী করলে আমি প্রতি মাসে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা সৎভাবে আয় করতে পারব? আমার দ্রুত ইনকাম দরকার। বর্তমান পরিস্থিতি খুব খারাপ যাচ্ছে।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
mpratanhili

Call

আপনি যেহেতু টিউশনি করান তাই এটি ধরে রাখুন।পাশাপাশি আপনাকে ব্যবসা করতে হবে।আর ব্যবসা মূলধন ছাড়া সম্ভব না।আর আপনি যে পরিমান টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন তা করতে হলে আপনার কমক্ষে তিন লাখ টাকা থাকা দরকার।আর আপনি এই টাকাটা দিয়ে একটি বিকাশ এজেন্ট খুলবেন।মানে বিকাশ ব্যবসা করবেন।কারণ আমি একজন বিকাশ ব্যবসায়ী হিসাবে বলছি।একমাত্র এটিই একটি সফল ব্যবসা বর্তমানে কম পরিশ্রমে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মাত্র ৮ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করুন যাদের পুজি নেই অথচ চাকরী না করে ব্যবসা করতে চান কিন্ত টাকার জন্য করতে পারছেন না, তাদের হতাশ হবার কোন কারন নেই । সামান্য পুজি নিয়েই ব্যবসা শুরু করা যায় এবং ভাল ইনকাম করা যায় । আমি আপনাদেরকে আজ এমনি একটি টিপস দেব । মাত্র ৮ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কিভাবে আপনি মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই টাকার অভাবে ব্যবসা না করতে পেরে হতাশায় ভোগেন। কি করলে সামান্য কিছু ইনকাম করা যায় সেজন্যও পরামর্শ চান। তাদের জন্যই আমার আজকের এ লেখাটা । আমার এ লেখার শিরোনাম পড়ে অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে চাইবেন না, আবার অনেকেই হয়তো বলবেন পাগলের প্রলাপ । কিন্ত পুরো লেখাটি পড়ে বাস্তবে প্র্যাকটিস করলে হয়তো বা তাদের ধারনা পাল্টে যাবে। তবে ব্যবসার কথাটি বলার আগে একটি কথা না বললেই নয় । আপনি হয়তো চাকরী করেন, মাস শেষে মোটা অংকের বেতন পান। এসি রুমে অথবা ভাল পরিপাটি অফিসে বসে অধস্থনদের উপর মাতব্বরী করতে পারেন। নিজেকে বস মনে করেন, অন্যরা আপনাকে স্যার ডাকেন, ছালাম দেন। ব্যবসা করলে কিন্ত এসবের অনেক কিছুই পাবেন না । আবার পেতেও পারেন। অন্যদিকে চাকরীর কিছু সমস্যাও আছে । আপনি যেমন স্যার ডাক শুনে নিজেকে গর্বিত মনে করেন, আবার আপনাকেও কিন্ত স্যার ডাকতে হয় আপনার উর্ধ্বতন কাউকে । তখন কিন্ত নিজেকে আর বস বলে মনে হয় না, তখন চাকরী যে আসলেই চাকরের কাজ বা আপনি যে অন্যের চাকর, সেটা হয়তে াআপনি মনে মনে উপলব্ধি করেন। টাইম ধরে অফিসে যেতে হয়, একটু লেট হলেই বসের চোখ রাঙানী আর কৈফিয়ত তলব। নিজের কাধে নিতে হয় অনেক দায়িত্ব । ইচ্ছা না থাকলেও অনেক সময় অন্যায় মাথা পেতে নিতে হয় বা বাধ্য হয়ে অন্যায় কাজ করতে হয় । শরীরটা একটু খারাপ থাকলেও অফিস মিস করা যায় না । সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে যাওয়া যায় না অফিসের জন্য । বন্ধু বান্ধব, আত্নীয় স্বজন এমনকি পরিবারের সদস্যদেরকেও ঠিকমত সময় দেওয়া যায় না । এক কথায় পরাধিন, অন্যের অধীন থেকে ধরাবাধা নিয়মেই চলতে হয় । আর এসব কারনেই স্বাধীন পেশা হিসেবে নতুন প্রজন্মের প্রথম পছন্দ ব্যবসা করা বা উদ্যোক্তা হওয়া । কিন্ত তাই বলে কি ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হওয়া খুবই সহজ কাজ ? এখানে কি কোন প্রতিবন্ধকতা নেই ? অবশ্যই আছে, তবে এখানে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, এটাই অনেক বড় বিষয় । যাইহোক আমার ভূমিকা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, মূল কথায় আসা যাক । হ্যা , যে ব্যবসার কথা বলছিলাম, মাত্র ৮ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কিভাবে মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায় । এটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই আপনাদের জন্য শেয়ার করছি । কোন অলিক কল্পনা বা কাউকে উপদেশ দেওয়ার জন্য নয়। তবে কউ যদি এ লেখার পর চেষ্টা করেন এবং সফল হন, তবে আমি খুশি হব । আমি চা পাতার ব্যবসার কথা বলছি । খুব অল্প টাকা ইনভেস্ট করে যে কউ শুরু করতে পারেন । আমাদের চারপাশে অসংখ্য চায়ের দোকান রয়েছে । প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চা খাচ্ছে এসব দোকান থেকে । আর যারা চা বিক্রি করছে, তারা প্রতিদিন ১ থেকে ২ কেজি পর্যন্ত চা পাতা বিক্রি করছে । আপনি আপনার আশে পাশের মাত্র ৩৪টি চায়ের দোকানকে টার্গেট করুন। ধরুন আপনি ৩৪টি চায়ের দোকান ঠিক করেছেন যারা আপনার কাছ থেকে প্রতিদিন আধা কেজির ১ প্যাকেট চা কিনবেন। দোকানীরা আধা কেজির ১ প্যাকেট চা পাতা ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা দরে বিভিন্ন কোম্পানীর কাছ থেকে কিনে । আপনি তাদেরকে এর চেয়েও কম দামে সরবরাহ করবেন। আপনি ভাল মানসম্পন্ন চা ১২০-১২৫ টাকা দরে কিনতে পারবেন। ধরুন আপনি ১২০ টাকা দরে কিনে দোকানীকে ১৩০ টাকা দরে দিলেন। তাহলে দোকানী এখানেই ১০-২০ টাকা লাভ করতে পারবে। আর আপনার লাভ হবে ১০ টাকা প্রতি প্যাকেটে । তাহলে ৩৪ প্যাকেটে আপনার লাভ হবে ৩৪০ টাকা প্রতিদিন । আপনার ইনভেস্ট ৪০৮০ টাকা ৩৪ প্যাকেটে (১২০ টাকা প্রতি প্যাকেট) । তাহলে ৩০দিনে আপনার লাভ হবে ১০২০০ টাকা । এখন প্রশ্ন , ৩০ দিনে তো আমাকে ১০২০ প্যাকেট চায়ের জন্য ১২২৪০০ টাকা দরকার । আমি বলব , না আপনাকে এত টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না । আপনার একদিনে ইনভেস্ট ছিল ৪০৮০ টাকা , এটাকে শুধু ডাবল করবেন অথ্যাৎ ৮১৬০ টাকা হলেই আপনার হবে। কিভাবে ? আপনি যে সব দোকানীকে চা পাতা দেবেন, তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এসব ছোট দোকানদাররা নগদ লেনদেন করে । যদি নগদ নিতে না পারেন, তাহলে পরের দিন অবশ্যই তারা দিয়ে দেবে। তাই আপনাকে ১ প্যাকেট দোকানে দিয়ে পরের দিন টাকা নিতে হবে এবং আরেকটি প্যাকেট তাদেরকে দিতে হবে । অথ্যাৎ এক প্যাকেটের পুজি আপনাকে মার্কেটে রাখতে হবে আর এক প্যাকেটের পুজি দিয়ে আপনার মাল কিনে রাখতে হবে পরের দিন তাদেরকে দিয়ে । এভাবে আপনি দুটো পুজি ৪০৮০ + ৪০৮০ = ৮১৬০ টাকা ইনভেস্ট দিয়ে মাসে ১০২০০ টাকা লাভ করতে পারবেন অনায়াসে। এটা আমি বাস্তব জীবনে প্যাকটিস করেই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । এখন প্রশ্ন হল আপনি কি প্রথম মাসেই ৩৪টি দোকান ঠিক করতে পারবেন। না , এর জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে । আপনি হয়তো ১ম মাসে ১০টি দোকান ঠিক করতে পারবেন, পরের মাসে আরো ১০টি এবং এর পরের মাসে আরো ১০টি । এভাবে হয়তো ৩৪টি দোকান ঠিক করতে আপনাকে ৩ মাস সময় লাগতে পারে । তবে আমাদের চারপাশে যে হারে চায়ের দোকান বাড়ছে, তাতে আপনি যদি প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা করে সময় দেন তাহলে এক মাসে অন্তত আপনি ২০ টি দোকান ঠিক করা কোন ব্যাপার হবে না । এজন্য দোকানদারকে বোঝাতে হবে , আপনার পণ্যটি ভাল হতে হবে, তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি সময় বেশী দিয়ে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে পারেন, তবে সফলতা আসবেই – এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই । দোকান বাড়লে আপনি ইনভেস্ট বাড়িয়ে লাভের পরিমানও বাড়াতে পারেন। অনেকেই বলবেন, আমি অনেক বড় চাকরী করি, কিংবা আমি ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার বা শিক্ষিত মানুষ, আমাকে কি চা পাতার ব্যবসায় নামাতে চাচ্ছেন। আমি অনেক সম্মানিত লোক , আমার সম্মানহানি হবে না ? তাদেরকে বিনিতভাবে বলছি, কোন ব্যবসাই ছোট না । আপনি যখন রাস্তার পাশের কোন টং দোকানে বসে বা দাড়িয়ে ওই দোকান থেকে চা পান করেন, তখন কি আপনার আভিজাত্যের বা শিক্ষার কোন সম্মানহানি হয় ? যদি না হয় , তবে সেই চা বিক্রি করলে সম্মানহানি হবে কেন ? আমি সৌদি আরবে দেখেছি, হজের সময় মিনা ,মোজদালেফা বা আরাফাতের মাঠে সৌদিয়ানরা ফ্লাক্সে গরম পানি , চিনির প্যাকেট,ওয়ানটািইম গ্লাস আর টি ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে চা বিক্রি করে । শুনে আশ্চর্য হবেন, আমি যে কোম্পানতে চাকরী করতাম, সেই কোম্পানীর প্রজেক্ট ম্যানেজার, যার বেতন মাসে ৮০ হাজার রিয়াল (সাড়ে ১৭ লাখ টাকা) এবং যে দেড় লাখ রিয়াল দামের গাড়ীতে চড়ে, সে এবং তার স্কুল পড়ুয়া ছেলে হাজীদের কাছে চা বিক্রি করে। শুধু সে-ই নয়, তার মত অসংখ্য সৌদিয়ান একটু সুযোগ পেলেই টাকা উপার্জনের চিন্তা করে। রাস্তা দিয়ে প্রাইভেট কারে একা যাচ্ছে,কোন লোক রাস্তায় দাড়িয়ে থাকলে তাকে নির্দিষ্ট গন্তবে্ নিয়ে যাচ্ছে ভাড়া নিয়ে । এটা দোষের কিছু না , মান সম্মানহানিরও কিছু না । আমাদের দেশের লোকরাই শুধু কৌলিন্যের বড়াই করি। আমরা কাজকে মূল্যায়ন করি না , না খেয়ে থাকব, তবু কাজ করব না । কাকে ঠকাতে পারবো, কি চুরি করতে পারব, কি ডাকাতি করতে পারব, কার টাকা মারতে পারব এসব চিন্তা নিয়েই ব্যস্ত থাকি । সৎভাবে, হালাল উপায়ে টাকা উপার্জন এবং মানব সেবা কোনটাই আমাদের পছন্দ না । আমার কথায় কে উ মাইন্ড করবেন না । এটা আসলে আমাদের দোষ না, দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের সমাজে এ ধরনের রীতি বা মানসিকতা চালু হয়ে আসছে, সহজে এ থেকে আমরা মুক্তি পাব না । তবে এ ধরনের মানসিকতা থেকে আমাদেরকে মুক্ত হতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে । শ্রমকে মূল্য দিতে হবে। তবে হ্যা, যারা নিজেরা চা পাতা বা এ ধরনের ছোট খাট আইটেম নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন না , তারা নিজেরা না নেমে বেকার কোন লোককে দিয়ে কাজ করাতে পারেন। এতে আপনার কারনে একজন বেকার েকাজ পাবে, আপনিও ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। পাছে লোকে কিছু বলে – এ মানসিকতা পরিহার করতে হবে, নিজে উদ্যোগ নিতে হবে, অন্যকে সুযোগ করে দিতে হবে, দেশের মানুষের জন্য সামান্য হলেও সেবা করতে হবে । (বি.দ্র. অভ্র বাংলাতে লেখার কারনে বানান ভুল হয়েছে,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল )

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ