আ‌মি একজন বিবা‌হিত,আ‌মি দির্ঘ‌দিন ধ‌রে আমাষয় রো‌গে ভুগ‌তে‌ছি,অ‌নেক চি‌কিৎসা ক‌রেও এর প্র‌তিকার পাই‌নি।‌বি‌য়ের আ‌গে অবশ্য হস্ত‌মৌথু‌নের ম‌তো খারাপ অভ্যাস ছি‌লো।এখন পায়খানা এবং প্রসা‌বের সা‌থে পি‌চ্চিল কিছু অনুভব ক‌রি।হাত পাঁ জ্বালা ক‌রে,বসা থে‌কে দারা‌লে চো‌খে অন্ধকার দে‌খি,মাথা চক্কর দি‌য়ে উঠে,এমন‌কি শা‌রি‌রিক সম্প‌র্কের দিক দি‌য়েও দুর্বল হ‌য়ে‌ছি,স্ত্রী‌কে শা‌রি‌রিক দিক দি‌য়ে সুখ দি‌তে পার‌ছিনা।‌দি‌নে‌দি‌নে কন্কাল হ‌য়ে যা‌চ্ছি,‌কো‌নো ভিটা‌মিন ঔষধ সেবন কর‌তে পার‌ছি না।এর প্র‌তিকার কি এবং কি চি‌কিৎসা কর‌লে ভা‌লো হ‌বে যানা‌বেন প্লীজ।আমার সাদা আমাষয়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আমাশয় বা Dysentery একটি ব্যাক্টেরিয়া অথবা অ্যামিবা ঘটিত রোগ। স্থায়ী প্রতিকারের উপায়ঃ ১ ) ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা। ২ ) টয়লেট ব্যবহার করে সাবান ব্যবহার। ৩ ) ফল ভাল করে ধুয়ে খাওয়া। ৪ ) ভালো করে রান্না করে খাবার খাওয়া। ৫ ) বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

খাদ্যাভ্যাসের কারণে পশ্চিমাদের চেয়ে আমাদের বাহ্য ত্যাগের অভ্যাস স্বাস্থ্যসম্মত। আমরা প্রচুর ভাত ও আঁশযুক্ত খাবার খাই। তাই প্রেসক্রিপশনে প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার খাবেন; এটি উল্লেখ করার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। আমরা সাধারণত দৈনিক দু’একবার বাহ্য ত্যাগ করি। মলে পিচ্ছিল জাতীয় যৎসামান্য আম (!) থাকা যে স্বাভাবিক- এটা অনেকেই মানতে পারেন না। এটাকে ক্রনিক ডিসেন্ট্রি বা আমাশয় ভেবে সুস্থ মানুষও ডাক্তার, কবিরাজ, বৈদ্য সবার কাছে ধর্ণা দেন। সপ্তাহে ২-৪ বার পায়খানা হলে তা স্বাভাবিক। এর কম হলে চিকিৎসা নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন। পায়খানা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ২-৪ বার কম-বেশি হলে কিংবা নরম বা শক্ত হলেই ঔষধ খেতে হবে এটা বিজ্ঞানসম্মত নয়। পায়খানা করে পেট খালি হয়নি, Incomplete sense of evacuationGK কোষ্ঠকাঠিন্য ভেবে ল্যাগজেটিভ বা মল নরম করার ওষুধ খেলে লাভ হয় না। খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। অন্ত্রের স্নায়ুবিক বৈকল্য বা আইবিএস বা কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় এর নিরাময় নেই। নির্দিষ্ট মাত্রায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেট্রোনিডাজল গ্র“পের ওষুধ কিংবা এন্টিবায়োটিকস্ না খেয়ে ২-১ বেলা, ২-১ দিন, ২-৪টা ফ্ল্যাজিল/ফিলসেট জাতীয় ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কোন খাবার না খেলে বাহ্য ভালো থাকে, শুধু সেটাই পরিত্যাজ্য। অযথা মাছ ভাত গোশত- খাওয়া বাদ দিয়ে নিজেকে বঞ্চিত করবেন কেন? দুধের ব্যাপারেও আমাদের ভুল ধারণা আছে। দুধ আদর্শ খাদ্য, তাই দুধ খেতেই হবে এটা যেমন ভুল, দুধ খেলেই ডায়রিয়া হয় এটাও সত্য নয়। দাঁত গজাবার আগে শিশুদের একমাত্র খাদ্য দুধ, তবে বেশিদিন সব খাদ্যপ্রাণ এ দুধ দিতে পারে না। ছয় মাস পর থেকে শিশুকে দুধের সঙ্গে সঙ্গে অন্য পুষ্টিকর খাবার যেমন- মাছ, ভাত, ডিম, গোশত দিতে হয়। আবার দাঁত পড়ে যাওয়ার পর বৃদ্ধ বয়সেও পরিমাণমতো দুধ খেলে প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়। স্তন্যপায়ী কোনো প্রাণী দাঁত গজাবার পর দুধ পান করে না। তাই বলে প্রাপ্তবয়স্ক বাঘ, ভাল্লুক, সিংহরা কি দুর্বল? দুধ প্রাপ্তবয়সে মাছ মাংস ভাত রুটি থেকে কিছুতেই বেশি পুষ্টিকর নয়, দুধ শিশুদের জন্যই আদর্শ খাদ্য। যদি কখনও আলকাতরার মতো কালো নরম আর আঁঠালো বাহ্য ত্যাগ করেন; তবে তা আইবিএস-এর নরম বা কম বাহ্য ত্যাগের চেয়ে অনেক বেশি প্রাণহানিকর। এটা পাকস্থলী কিংবা খাদ্য অন্ত্রের প্রথমভাগে রক্তক্ষরণের কারণে হয়। এটা অনেক বেশি গুরুতর। এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ কিংবা অনেক বেশিবার, কঠিন ও সপ্তাহে একবারও বাহ্য না হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কলেরার মতো চাল ধোয়া পানি বা বারবার নরম ও রক্তমিশ্রিত পায়খানা হলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডায়রিয়া, আম- আমাশয় বা রক্ত-আমাশয় ভিন্ন ভিন্ন রোগের চিকিৎসাও ভিন্ন ভিন্ন। বৃহদান্ত্রে পলিপ বা ক্যান্সার গুরুতর অসুখ, এ জন্য অনেক সময় বৃহদান্ত্রে দেখার জন্য কোলনসকোপি করানো আবশ্যক। শক্ত বা কঠিন পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত গুরুতর অসুখ না হলেও অর্শজাতীয় অসুখ হতে পারে। মনে রাখবেন, দৈনিক ২-১ বার পায়খানা না হলে ক্ষতি নেই, তবে মাত্র ১২-২৪ ঘণ্টা প্রস্রাব বন্ধ থাকলে বুঝতে হবে প্রাণ হরণকারী কিডনি বিকলতা দেখা দিয়েছে। বাহ্য নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বেগ বোধ করলেও প্রস্রাবের দিকে লক্ষ্য রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ -

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
BidhanDey

Call

আপনি হারবাল ঔষধ গ্রহন করুন, আমাশয় পুরাতন থাকলে ভালো হতে একটু সময় লাগতে পারে, আপনি নিকটতম হামদর্দ ঔষদ কোম্পানি এর শাখায় গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ