অনেকে বলে যে হযরত মুহাম্মদ (সা:) গরিব ছিলেন আরো অনেক কথা তিনি নাকি ছেরা জামা-কাপড় পরতো। এখন কথা হলো এই কথা গুলো কি ঠিক?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হ্যাঁ রাসূল অর্থিকভাবে গরিব ছিলেন|অন্য সব দিকে তিনি ছিলেন উদার|তিঁনি ছেড়া জামা পড়তেন কি না জানি না|তবে জামা পুরনো হলেও এগুলো খুব পরিষ্কার আর পবিত্র রাখতেন|

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা) সম্মন্ধে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে তিনি গরীব ছিলেন। দারিদ্রের কষাঘাতে তিনি ঠিকমত আহার করতে পারতেন না। ক্ষুধার তাড়নায় অনন্যোপায় হয়ে পেটে পাথর বেধে একটু আরাম পাওয়ার চেষ্টা করতেন। তার পরিধান করার মত কোন ভালো জামা কাপড় ছিলনা। ছেড়া জামায় সত্তর তালি দিয়ে তা পরতেন। নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য ইহুদীর বাগানে গভীর কুয়া থেকে পানি তুলতেন এবং এক বালতি পানির বিনিময়ে একটি খুরমা লাভের আশায় কাজ করতেন। দোজাহানের বাদশাহ রাহমাতাল্লিল আলামিন সম্পর্কে এই ধরনের উক্তিকে ইতিহাসের আলোকে যাচাই করলে এর কোন ভিত্তি খুজে পাওয়া যায়না। বরং উদ্দেশ্য মুলক ভাবে তাকে মানুষের কাছে হেয় করার লক্ষ্য এ মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। আল্লাহ নিজে হযরত রাসূল (স) এর সু-উচ্চ মর্যাদার স্বীকৃিত দিয়েছেন। হাদীসে কুদসীতে এরশাদ হয়েছে- " আমি আপনাকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছু্ই সৃষ্টি করতামনা " ( সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা- ৭০ ) পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন ঃ "আমি আপনাকে জগত সমুহের রহমত হিসেবে প্রেরন করেছি" ( সূরা আম্বিয়া-১০৭) আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত যাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতেন না, যিনি ছিলেন দো-জাহানের রহমত স্বরুপ তিনি গরীব হন কিভাবে? হযরত রাসূল (স) আরবের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত ও প্রভাব প্রতিপত্তিশীল কোরায়েশ বংশের হাশেমী গোত্রে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ ছিলেন তৎকালিন মক্কা নগরীর শাসনকর্তা ও পবিত্র ক্বাবা শরীফের হেফাজতকারী আব্দুল মুত্তালিবের সবচেয়ে আদরের সন্তান। আর মাতা সায়্যিদা আমিনা ছিলেন মদীনার বনু যাহরা গোত্রের খ্যতনামা এবং সম্মানিত নেতা আব্দুল ওহাব এর কন্য। সুতরাং হাযরত রাসূল (স) পিতৃকূল এবং মাতৃকূল উভয় দিক থেকে আরবের সবচেয়ে ধনী, সম্মানীত ও শ্রেষ্ঠ পরিবারের লোক ছিলেন।

Call

নবিজী ধনী হয়েও দারিদ্রতাকে বেছে নিয়েছেন এবং উনার ছাহাবিরাও। যদিও তাদের মধ্যে অনেকেই অনেক ধনী ছিলেন।তাই উনাদেরকে সরাসরি গরিব ছিলেন, না বলে বরং "সাদাসিধা দারিদ্র জীবন যাপন করতেন" বলা হয়।দুনিয়ার জীবনে ইচছাকৃতভাবে আরাম আয়েস ত্যাগ করে,অভাব-কষ্টকে বেছে নিয়েছিলেন ২ টা কারণে- ১.উনাদের কাছে দুনিয়ার জীবন মূল্যহীন ছিল,পরকালই মূল লক্ষ্য। ২.উনারা ছিলেন আদর্শ সরুপ,বিলাসী জীবন যাপন করলে এ যুগে আমি আপনি বলতাম টাকা থাকলে আল্লাহকে মানা সহজ। উনাদের মত আর ছিলেন যেমন, বাদশা ওমর ইবনে আবদুল আজীজ,যাকে ইসলামে ৫ম খলিফা ও বলা হয়,আর মুঘল বাদশা আলমগীর/আওরংগজেব।উনারা ২জনই বাদশা হয়েও অনেক সাদাসিধা, দারিদ্র জীবন যাপন করতেন। সূএঃবাধ ভাঙার আওয়াজ।