শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

চিন্তা শক্তি বৃদ্ধির উন্নতম উপায় হচ্ছে ধ্যান বা মেডিটেশন করা।কোন জিনিস নিয়ে যত বেশী ধ্যান করবেন সেটা তত বেশী আপনার কাছে সহজ হবে, আর তত আপনার চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পাবে।এজন্য আপনি কোঢান্টাম মেথডের সাহায্য নিতে পারে,তারা মেডিটেশন জগতে বিখ্যাত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

১) চিন্তাশক্তি আমরা পূর্বে চিন্তাশক্তির ব্যাপারে আলোচনা করেছি। দুর্বল চিন্তাশক্তি আমাদের স্মৃতি কমিয়ে ফেলতে পারে, এ ব্যাপারেও আমরা জানতে পেরেছি। গভীর চিন্তার প্রয়োগ দ্বারা কোনো কিছু মনে করা যায় সহজেই। আপনি যদি কোনো কিছুর প্রতি মনোযোগী হন, তাহলে সেই ব্যাপারটি দীর্ঘ সময় আপনি মনে রাখতে পারবেন। মনোযোগের বিষয়ে চারটি মূল ভিত্তির ব্যাপারে আমাদের ধারণা থাকা উচিত। এগুলো হলো- অভ্যাস (Habit) আগ্রহ (interest) রিলাক্সেশন (relaxation) আবেগ (emotion) ইংরেজিতে এই চারটি শব্দকে একত্রে মিলিয়ে বলা হয় ‘Hire’. অনেক মনোবিজ্ঞানী এই চারটি বিষয়বস্তু মানুষের মনোজগতের চিন্তাশক্তির ব্যাপকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করেন। আন্তঃমানসিক দ্বন্দ্ব অধিক হারে আমাদের মানসিক শক্তি কমাতে পারে। আমাদের অনেকেরই এই ধরনের আন্তঃমানসিক দ্বন্দ্বের সমস্যা রয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রয়েডের বিভিন্ন অনুসারী ক্রমান্বয়ে মানসিক দ্বন্দ্ব সম্বন্ধে বিস্তারিত গবেষণা করেন। অবশ্য আরো আগে এমিল ক্রাপলিন এই ব্যাপারে বেশ কিছুদিন গবেষণা করেছিলেন। স্মরণশক্তির সাথে আরো যে একটি বিষয় খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তা হলো আবেগ এবং আবেগজনিত আগ্রহের প্রভাব। কোনো কাজ, কথাবার্তা এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সাথে গভীরভাবে আবেগ এবং আগ্রহ জড়িত না থাকলে আমাদের স্মৃতি প্রখর হতে পারে না। মোটামুটিভাবে মনোযোগের শক্তি বেড়ে গেলেই ধরে নেয়া অসংগত হবে না যে স্মৃতিশক্তিও সেই সাথে বেড়ে যায়। (২) পুনঃপুনঃ মনে করার চেষ্টা এই বিষয়টি খুব ভালো কাজ দেয় যে কেউ কখনো কোনো বিষয় ভুলে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে যদি পুনঃপুনঃ মনে করার চেষ্টা করে, তবে এতে সাফল্য আসে। এই বিষয়টি হলো রিপিটেশন। আমি কেন সেই বিষয়টি খেয়াল করতে পারব না, এই কথাটি জোর দিয়ে চিন্তা করলেই স্মৃতিশক্তি কিছুটা চাঙ্গা হয়ে উঠবে। পুনঃপুনঃ চেষ্টা করার ক্ষেত্রে কয়েকটি জরুরি বিষয় মনে রাখা উচিত- বিষয়টির ব্যাপারে বোধগম্যতা বারবার পড়া আবৃত্তির মতো পড়তে থাকা পুরো বিষয়টা কী ছিল তা ভাবতে থাকা (৩) চিন্তাশক্তির মধ্যে বিরতি এটি হচ্ছে স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার তৃতীয় কারণ। বাস্তবে এটি সমস্যাকে তীক্ষ্ণ করে তোলে। কোনো কিছু মনে করার সময় অহেতুকভাবে তাতে যদি অন্য কোনো চিন্তার উপস্থিতি ঘটে তবে স্মরণশক্তি দ্রুত হ্রাস পায়। বিভিন্নভাবে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমাধানগুলো হলো- নিশ্চিত হোন আপনি কোন বিষয়টি মনে করতে চাইছেন। যখন এই বিষয়টি ভাববেন তখন অন্য কোনো ব্যাপারে চিন্তা করবেন না। সময় লাগলেও একই ব্যাপারে বারবার চিন্তা করতে থাকুন। ডাইরিতে এই বিষয়ে কিছু লেখা আছে কিনা খেয়াল করুন। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যারা গণিত ভালোমতো মনে রাখতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। মনোবিজ্ঞানী ওয়েবার ডি স্যামুয়েলের মতে, মানুষ সহজে গণিতের সূত্র ভুলে যায়, কেননা অনেক ক্ষেত্রে একে নির্জীব এবং প্রাণহীন মনে করা হয়। অথচ গণিতের সূত্র মনে রাখাই সবচেয়ে সহজ। গণিতের সূত্র মনে রাখার শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি হলো পুনঃ স্থাপন পদ্ধতি। এই পদ্ধতির দ্বারা গণিতের প্রথম থেকে শেষ এবং শেষ থেকে শুরু পর্যন্ত মনে রাখা সম্ভব হয়। (৪) মানসিক চাপ মোকাবিলা মানসিক চাপ মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে স্মরণশক্তি বাড়ানো ততটা সহজ হয় না। তবে এই প্রসঙ্গে ঘুমজনিত সমস্যার ব্যাপারে ছোটখাটো আলোচনা করা উচিত। ঘুম মস্তিষেক নিউরনগুলোকে প্রাণপ্রাচুর্যে ভরে রাখে। এতে করে মস্তিষেকর উর্বরতা বাড়ে। অনেক সময় নানা প্রকার হ্যালুসিনেশন এবং ডিলিউশনের জন্য অনিদ্রা এবং এর ক্রনিক উপসর্গগুলোকে অভিযুক্ত করা হয়। স্মরণশক্তিকে চাঙ্গা করতে সতর্ক থাকা উচিত হবে ঘুমের ব্যাপারে। ফ্রয়েডের মতে, ঘুমের স্বল্পতা বহুমাত্রিক ডিপ্রেশন সৃষ্টি করতে পারে, আবার ঘুমের স্বল্পতার জন্য মানসিক চাপ বাড়তে পারে, যা স্মরণশক্তিহীনতার জন্য দায়ী। ‘এ ডিকশনারি অব প্যাস্টোরাল সাইকোলজি’ গ্রন্থেও বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে মানসিক চাপের ব্যাপারে। এই গ্রন্থটির বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ আছে, মানসিক চাপ পর্যায়ক্রমে মানুষের মস্তিষেকর যৌগিক কোষগুলোয় চাপ ফেলতে থাকার ফলে মানুষের মেধা ও স্মরণশক্তি কমে যায়। মোটামুটিভাবে এ ব্যাপারটি আমরা এই পর্যায়ে বুঝতে পেরেছি যে, কেবল স্মরণশক্তি বাড়ানো বা কোনো কিছু ভুলে না যাওয়ার জন্য একাগ্রতা এবং হারানো বিষয়টি বারবার মনের ভেতর খুঁজতে থাকা উচিত। চারটি প্রধান বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলেই মানুষের স্মরণশক্তিসংক্রান্ত সমস্যা দূর হতে পারে যেমন- কোনো কিছুর প্রতি গভীর মনোযোগ দেয়া যে বিষয়টি আপনি ভাবতে চান। পরিপূর্ণভাবে বিষয়টি মনে না পড়া পর্যন্ত ভাবতে থাকুন। চিন্তাধারাগুলোকে একত্রিত করা এবং তা থেকে হারিয়ে যাওয়া বিষয়টি বাছাই করা। এতে করে আমাদের ভুলে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যার আশানুরূপ সমাধান আসতে পারে। তবে মনে রাখা উচিত যে বিষয়টি আপনি মনে করতে চাচ্ছেন, তাতে যেন আপনার পূর্ণ আগ্রহ থাকে। নইলে তা মনে করা কষ্টসাধ্য হতে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

চিন্তা সব মানুষই করে। সমস্যার সমাধানের জন্য মানুষ চিন্তা কর।কেউ চিন্তা করে সমাধান করতে পারে কেউ পারেনা। যার যত বেশি জ্ঞান তার চিন্তা ততই উন্নত বিষয়ে হয়, আর সমাধানের ক্ষমতাও বেশী হয়। চিন্তাশক্তির বৃদ্ধি বলতে অধিক জটিল বিষয়ে চিন্তা করা ও তার সমাধানের সক্ষমতা বুঝানো জায়। সুতরাং চিন্তাশক্তি বাড়াতে আপনার গ্জ্যান বাড়াতে হবে। কিভাবে তা করা যায় নিশ্চয়ই জানেন। যেমন বই পড়া, বয়সে বড়দের থেকে শিক্ষা নেয়া ইত্যাদি। সবচেয়ে ভালো বই হচ্ছে ধর্মিয় বই। তারপর বিজ্ঞানের বই। তারপর চেষ্টা করুন ম্যাথম্যাটিকস রিলেটেড knowledge অর্জন করতে। ম্যাথ প্রব্লেম সলভ করতে। একটা প্রবাদ বাক্য আছে, "বই কিনে কেউ গরিব হয় না"। তেমনি ম্যাথ করেও কেউ সময় নস্ট করেনা। তাই বই কিনুন, পড়ুন। আর ম্যাথের সাথে থাকুন। তারপর আছে খাবারের অভ্যাস, ভালো সতেজ ফলমুল শাকসব্জি, সবসময়ই উপকারী, কারণ দেহের চাই অনেক পুস্টি। পরিমিত পুস্টি ব্রেইনের কাজ করতে সহায়ক। রেস্ট নিন, ঘুমান, খান, বই পড়ুন, ম্যাথ করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ