শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

১। অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনেকেই বলতে পারেন মানসিক চাপ কেউ ইচ্ছে করে নেয়া না। কিন্তু একেবারেই ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে চাপ নেয়ার ভুল কাজটি কিন্তু আপনিই করেন। কারণে অকারনে অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ে থাকেন এবং দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। অতিরিক্ত মানসিক চাপের অর্থ মস্তিষ্কের ওপর অনেক বেশি মাত্রায় চাপ ফেলা। এতে করেও স্ট্রেস হরমোন কারিসোলের নিঃসরণ ঘটে যা মস্তিষ্কের নিউরনের মধ্যকার সংযোগে ব্যাঘাত ঘটায় ‘সিন্যাপ্স’ নষ্ট করে দেয়। মানসিক চাপ নিয়ে লাভ হচ্ছে না, বরং ক্ষতিই হচ্ছে আপনার। ২। কম ঘুমানো এবং রাত্রি জেগে থাকা ইচ্ছে হলেই রাত জেগে থাকা, ঘুমানোর খুব প্রয়োজন না হলে ঘুমুতে না যাওয়া, কাজের প্রয়োজনের হলেও কম ঘুমানোর কারণে আপনি প্রতিনিয়ত নষ্ট করছেন আপনার স্মৃতিশক্তি। গবেষণায় দেখা যায় ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের সিন্যাপ্টিক প্লাস্টিসিটি উন্নত করে ফলে মস্তিষ্কের সিন্যাপ্স থাকে সুস্থ। কম ঘুমের কারণে মস্তিষ্কের সিন্যাপ্স দুর্বল হয়ে পড়ে যা নিউরনের সংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে ধীরে ধীরে আমরা হারাতে থাকি স্মৃতিশক্তি। তাই ঘুমকে অবহেলা নয়, আপনার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম ঘুমান প্রতিদিন, অর্থাৎ অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ৩। ধূমপান করা অনেকের মতে সৃজনশীল কাজের জন্য ধূমপান করা হয়ে থাকে। যার কারণে লেখক, গায়ক, ছবি আঁকিয়ে, বাদকদেরকে ধূমপানে আসক্ত হতে দেখা যায়। এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভুল। গবেষণায় দেখা যায় দীর্ঘদিন ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে। কারণ ধূমপানের ফলে আমাদের হৃদপিণ্ড মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে। এতে করে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। এবং এর প্রথম প্রভাবই পড়ে স্মৃতিশক্তির ওপর। তাই ধূমপান করে লাভ নয় বরং ক্ষতিই হচ্ছে। এই অভ্যাসটি ত্যাগ করুন। ৪। বিষণ্ণতাকে অবহেলা করা বিষণ্ণ হতেই পারেন যে কেউই। কিন্তু এই বিষণ্ণতা কতক্ষণ ধরে আছেন এবং আসলেই এটি শুধু মন খারাপ থেকে কিনা তা নজর করার দায়িত্ব আপনার নিজেওর। বিষণ্ণতার সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ অনবরত বিষণ্ণ থাকার সমস্যা মস্তিষ্কে ‘কারটিসোল’ নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটে যা মস্তিষ্কের ‘সিন্যাপ্স’ যা মস্তিষ্কের নিউরনের মধ্যকার সংযোগ বজায় রাখে তা নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়। সূত্রঃ হেলথডাইজেস্ট

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ