সৌদিআরব এর সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত মুফতি শায়খ মুহাম্মদ ছালিহ আল- ফাউযান কে তাবলিগ জামা'আতের চিল্লা প্রথা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটা জায়েজ নয়, কারণ এটা একটা বিদআ ’ত। এভাবে বেড়িয়ে যাওয়া ৪০ দিন, ৪ দিন, ৪ মাস এটা হচ্ছে বিদ'আত। এটা প্রমানিত যে, তাবলিগ জামাআ ’ ত হচ্ছে ভারতীয় দেওবন্দীদের মধ্য থেকে একটা “ সূফী ” জামাত। তারা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যায় তাদের “ সূফীবাদ ” প্রচার করার জন্য। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী ব্যক্তি, তাওহীদের অনুসারী কোন ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, তাবলিগ জামাতের সাথে তাবলীগে বের হবে। কারণ সে যদি তাবলিগিদের সাথে যায়, তাহলে সে তাদেরকে বিদআ ’ ত প্রচার করতে সাহায্য করলো। এবং লোকেরা তাকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করবে। “ অমুক (আলেম বা শিক্ষিত লোক) তাদের সাথে তাবলীগে যায় ” , অথবা এটা বলবে “ সাধারণ মানুষ সবাই আমাদের সাথে যায়” অথবা তারা বলবে “ আরে তাবলিগ জামাত এইদেশে (সৌদি আরবে) বৈধ।”. এইজন্য তাদেরকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিব, তাদেরকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিব এবং তাদের দিকে মনোযোগ দেওয়া যাবেনা (তাদের কথা শোনা যাবেনা)।. এটা এজন্য যে, তাদের কথা না শুনলে বা তাদেরকে কোনভাবে সাহায্য- সহযোগিতা না করলে তারা তাদের বিদআ ’ত তাদের দেশে নিয়ে ফিরে যাবে, আমাদের আরব দেশগুলোর মাঝে ছড়াতে পারবেনা। এছাড়া তাদের সাথে গিয়ে তাদেরকে শিক্ষা দেওয়াও জায়েজ নয়। এটা ভুল, কারণ তারা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করতে চায়না। তারা জ্ঞান অর্জন করতে চায়না কারণ তারা ধোকাবাজ লোক, তাদের বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। তারা এসেছে তোমাদেরকে (সূফীবাদ ও ইলিয়াসি তরীকা) শিক্ষা দেওয়ার জন্য, তারা এজন্য আসেনি যে তোমাদের কাছ থেকে কিছু শিখবে। তারা এসেছে তোমাদেরকে তাদের “ সূফীবাদ ” ও তাদের “ মাযহাব” শিক্ষা দেওয়ার জন্য। তারা তোমাদের কাছে শিখতে আসেনাই, তারা যদি শিখতে আসতো তাহলে তারা আরব দেশের ওলামাদের সাথে মসজিদে বসতো এবং তাদের কাছ থেকে কিতাব অধ্যায়ন করতো। এসব ভুলের মধ্য থেকে এর দ্বারা ধোকায় পড়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নাআ’ ম। তথ্যসূত্রঃ শায়েখের ফতোয়ার ভিডিও দেখুন এই লিংক এ – https://www.youtube.com/watch? v=RsDXXtYsK_U