পিসির গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলো এবং গাইডলাইন :- পিসি ব্র্যান্ড বা ক্লোন, লো-কোয়ালিটি বা হাই-কোয়ালিটি যাই কিনুন না কেন, আপনার পিসির যন্ত্রাংশ/ডিভাইসগুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকলে খুব উপকারে আসবে। প্রসেসর :- প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক। প্রসেসর কেনার আগে আপনাকে সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে আপনাকে প্রসেসর পরিবর্তন নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। কেনার সময় দেখে নিন প্রসেসরটি কোন দেশের তৈরি, কুলিং ফ্যান সুবিধা ইত্যাদি। বাজারে সাধারণত ইন্টেল, এএমডি প্রভৃতি প্রসেসর পাওয়া যায়। মাদারবোর্ড :- মাদারবোর্ড কেনার সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে চিপসেট এবং ব্র্যান্ডের ওপর। তাছাড়া বাস স্পিড, র্যাম স্লট, বিভিন্ন পোর্ট যেমন—ইউএসবি, পিএসটু ইত্যাদি। কম্পিউটার বাজারগুলোয় প্রসেসর এবং মাদারবোর্ডের সমন্বিত প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে। হার্ডডিস্ক :- হার্ডডিস্কে সব ডেটা এবং প্রোগ্রাম সংরক্ষিত থাকে। হার্ডডিস্কের পারফরমেন্স নির্ভর করে এর স্পিডের ওপর। হার্ডডিস্কের স্পিড পরিমাপ করা হয় জচগ (Rotation Per Minute) দ্বারা। র্যাম :- -কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি ডিভাইস। ডেটা হার্ডডিস্কে স্থায়ীভাবে রাখার আগ পর্যন্ত র্যামেই অবস্থান করে। আপনি যত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন আপনাকে তত বেশি র্যাম ব্যবহার করতে হবে। র্যামের অন্যতম প্রধান বিষয় হচ্ছে এর বাস স্পিড, যা মাদারবোর্ডের সঙ্গে মিল রেখে কিনতে হয়। মনিটর :- মনিটর কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট ডিভাইস। আমরা যা কিছু ইনপুট দেই না কেন, তা আমরা মনিটরের মাধ্যমে দেখতে পাই। মনিটর কেনার সময় কালার পারফরমেন্স, ভিউ, ব্রাইটনেস বা রেজ্যুলেশন দেখে নিন। আর অবশ্যই ওয়ারেন্টির বিষয়টি মাথায় রাখবেন। সফটওয়্যার :- পিসির জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম একটি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। উইন্ডোজ বা লিনাক্স যে কোনোটিই আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার অতি শখের পিসি, যাতে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারে সেজন্য ব্যবহার করতে হবে এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার। এরপর আপনি যত ইচ্ছা আপনার চাহিদা অনুযায়ী প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। অন্যান্য : কিবোর্ড, মাউস ছাড়াও পিসিতে ব্যবহারযোগ্য আরও বহুবিধ ডিভাইস ও আইটি পণ্য রয়েছে, যা আপনি ইচ্ছা করলেই ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—পেনড্রাইভ, ওয়েবক্যাম, ইউপিএস, স্ক্যানার, স্ট্যাবিলাইজার, ফ্যাক্স মডেম, টিভি কার্ড প্রভৃতি।