প্রতিটি দিনকে কি করে সৎব্যবহার করা যায়??? যার ফলে ভবিষ্যৎতে সুফল পাব।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
ShiponChy

Call

সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানো সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে সফলতা আসবেই। সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর উপায়গুলো নিম্নরূপ: ১.সময় হত্যা থেকে বিরত থাকা : সময়কে কোন কাজে না লাগানোর অর্থই হচ্ছে সময় হত্যা করা। চাই সে সময় যত অল্পই হোক না কেন। এভাবে মূল্যায়ন করলে দেখা যায় প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত কি পরিমান সময়কে আমরা হত্যা করি, একদিনের হিসেব টানলেই দেখবেন বুঝমান ব্যক্তি মাত্রই মাথা ঘুরপাক খেতে বাধ্য হবে। ঘুম থেকে উঠার পর বিছানা থেকেই শুরু হয় রক্তারক্তির। বিছানায় বসেই হত্যা করে ফেলি বেশ কিছু সময়কে। ফজরের সালাতের পূর্বে নিজের অজান্তেই হত্যা হয়ে যায় অসংখ্য সময়। এভাবেই চলতে থাকে প্রতিটি দিন-রাত, সারাটা মাস, বছর এবং সারাটা জীবন। কাজেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে রাত দিনে আমি একটি সেকেন্ডকেও হত্যা করব না, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথ কাজে লাগাব, অপচয় হতে দিবনা। মহান আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেছেন: অর্থাৎ-মানুষ সাধনা করে সবই অর্জন করতে পারে। (নাজম : ৩৯) কাজেই আমরা চেষ্টা করলে সময় অপচয়ের বিশাল ক্ষতি থেকে আমরা অবশ্যই বাঁচতে পারব ইনশা’আল্লাহ। ২.সময় ব্যয়ের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ : আপনি সময়কে অপচয় করলেন না ঠিকই কিন্তু এক ঘন্টার কাজ ২ ঘন্টায় করলেন। কারণ আপনার সময় ব্যয় করার স্বাধীনতা আছে। না, এটা করা যাবে না। এ স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দায়িত্বশীলের কাজের গতি হতে হবে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। একঘন্টা সময়ে আপনি কত বেশি কাজ করতে পারেন সে চেষ্টা করতে হবে। সমুদ্রে ওযু করতে বসেছি বলে ইচ্ছে মত পানি ব্যবহার করা যাবে না, ইসলাম এটাকে মাকরুহ বলেছে। এভাবে প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে সময় হেফাজত করে কাজ বাড়ালে বছরে ৩৬৫ ঘন্টা সময়ের কাজ বেশি হবে। ৩.কাজের অগ্রাধিকার তালিকা করা : কাজের অগ্রাধিকার তালিকা না থাকলে আপনি ইচ্ছামত কাজ করতে পারেন। ফলে দিনের শেষে ধরা পড়বে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ থেকে গেছে আর কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয়েছে। কাজের অগ্রাধিকার তালিকা করা থাকলে কোন কাজ যদি বাদ দিতে হয়, তো কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দেয়া সম্ভব হবে। কর্মব্যস্ত দায়িত্বশীলকে এটি দারুণভাবে সহযোগিতা করবে। ৪.দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করতে হবে : কোন কাজ কোন সময় করবেন? কোনটা করবেন, কোনটা করবেন না? এ নিয়ে অনেকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন যা মোটেই ঠিক না। এ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে অযথা অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। কারো কারো এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে মধ্যে পুরো দিনটাই কেটে যায় কোন কাজ আর করা হয় না। এটি খুবই নিন্দনীয় স্বভাব। নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করে নির্বিঘেœ কাজ করে যেতে হবে। কাজের তালিকা পূর্বের দিন করে রাখলে এ সমস্যায় আর পড়তে হবে না। ৫.সময়ে সঠিক কাজ করা : ইসলামের মৌলিক শিক্ষাই হল যখন যে কাজ তখন সেটি করা। সালাতের সময় হয়েছে তো সালাত আদায় করে নেয়াটাই তখন কর্তব্য। যখন যে কাজের সময় তখন তা না করে অন্য কাজ করলে তাতে যথাযথ মনোনিবেশ থাকেনা। ফলে কাজে ভুল, অসুন্দর ও বিলম্বিত হয়। অন্য সময়ে করতে গেলে উপায়-উপকরণ এবং সহযোগীতা না পাওয়ায় প্রচুর সময় অপচয় হয়। এছাড়াও অনেক সময় একটি কাজ করতে গেলে অন্য আরো পাঁচটি কাজ তখন এসে ভিড় জমাতে পারে। সেক্ষেত্রে আগ্রহ সামলিয়ে সে কাজগুলো যথাসময়ে করার জন্য রেখে দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত কাজটি করে নেয়াটাই উচিত। তবে অতীব জরুরী কাজের ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা । ৬.কাজের সময়সূচি সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট হওয়া : প্রতিটি কাজের সময়সূচি লিখিত ভাবে থাকাটাই উত্তম। পড়া কিংবা কাজটি শুরু কয়টায়? শেষ কয়টায়? সব লিখা থাকতে হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন কাজটি অবশ্যই শেষ করা যায়। ৭.শেষ সময়ের জন্য কাজ রেখে না দেওয়া : একেবারে প্রান্তিক সময়ে কোন কাজ করার জন্য রেখে দেয়া ঠিক নয়। কারণ: তখন কাজটি করার সুযোগ নাও পাওয়া যেতে পারে। এর চেয়ে অতীব জরুরী কাজের ব্যস্ততা এসে যেতে পারে। আবার সময় পাওয়া গেলেও তাড়াহুড়ার কারণে নানা ধরণের ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। যেমন ধরুন; আপনি সফরে যাবেন। ৩টায় ট্রেন ছাড়ার সময়। আপনার পরিকল্পনা হল : ব্যাগ গোছাবেন ২.৩০-২.৪৫ পর্যন্ত। ষ্টেশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন ২.৪৫ মিনিটে। এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করলে এটা খুবই সম্ভাবনা থেকে যাবে যে আপনি তাড়াহুড়া করে ব্যাগ গোছাতে গিয়ে নিজের পায়জামার পরিবর্তে ছোট বোনের পায়জামাটাই হয়তো আপনার ব্যাগে অনায়াসে ঢুকিয়ে নিতে পারেন। যা আপনাকে পরবর্তীতে চরম ভোগান্তিতে ফেলে দিতে পারে। এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। বরং ইসলাম শিখিয়েছে, এমন সময়ে ফজরের সালাত আদায় কর যেন কোনক্রমে সালাত ভঙ্গ হয়ে গেলে সূর্যোদয়ের পূর্বে পুনরায় যেন যথাযথভাবে আবারও সালাত আদায় করে নেয়া যায়। অতএব, প্রান্তিক সময়ের জন্য কাজ হাতে না রেখে এখনই করে নেয়া উত্তম। ৮.একসাথে অনেক কাজ করার চেষ্টা করা : দায়িত্বশীল ঢিলেঢালা কিংবা অকর্মা হতে পারে না। অবশ্যই অনেক কাজ করতে হবে। এক কাজের দোহাই দিয়ে অন্য কাজকে পিছে ফেলে রাখা বা না করা, আর যেই হোক দায়িত্বশীল এমন করতে পারেনা। কাজেই এক সাথে অনেক কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। গাড়িতে বসে প্রয়োজনীয় ফোন করার কাজটা সেরে নেয়া যেতে পারে। ক্লাসে স্যার আসতে দেরী হচ্ছে কিংবা আসবেন না, এই সুযোগে প্রয়োজনীয় লেখাটা বা নোটটা লিখে নেয়া যায়। একই সাথে নিজে কাজ করা, অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কাজ বুঝিয়ে দেয়া ও বাকিদের তদারকী করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
mdolihasan

Call

সময়ের কাজ সময়েই করে ফেলুন।আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখবেন না।সময়কে যেকোন প্রকার ভাল কাজে ব্যাবহৃত করুন।আর স্থান,কাল ও পরিবেশ ভেদে যে কাজ করা উচিৎ তাই করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি যদি সময়টাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে চান, তাহলে আপনি প্রতিদিনের কাজের একটি রুটিন করতে পারেন, এবং এই রুটিন অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। আর ডেইলি ডায়রি ব্যবহার করতে পারেন, প্রতিদিন কি কাজ করলেন রাতে ঘুমানোর আগে তা ডাইরিতে লিপিবদ্ধ করবেন, এবং আগের দিনের লিখা গুলো রিভিউ করেন। আশা করি এটা করলে আপনি আপনার সমটাকে ভাল ভাবে কাজে লাগাতে পারবেন, এবং জীবনে উন্নতি করতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়তে পারেন এছাড়া ঘুমাতে পারেন ব্যায়াম করতে পারেন বিভিন্ন হাতের কাজ শিখতে পারেন যা ভবিষ্যৎতে কাজে আসতে পারে ৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ