আমাদের কলেজে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতা হবে । সেখানে আমিও অংশগ্রহন করবো । তাই আপনাদের কাছে বিশেষ ভাবে কবিতা গুলো চাচ্ছি । প্লিস আমাকে দিয়েন ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মুক্তিযুদ্ধের কবিতা বুদ্ধদেব বসু আজ রাত্রে বালিশ ফেলে দাও, মাথা রাখো পরস্পরের বাহুতে, শোনো দূরে সমুদ্রের স্বর, আর ঝাউবনে স্বপ্নের মতো নিস্বন, ঘুমিয়ে পোড়ো না, কথা ব’লেও নষ্ট কোরো না এই রাত্রি- শুধু অনুভব করো অস্তিত্ব। কেন না কথাগুলোকে বড়ো নিষ্ঠুরভাবে চটকানো হ’য়ে গেছে, কোনো উক্তি নির্মল নয় আর, কোনো বিশেষণ জীবন্ত নেই; তাই সব ঘোষণা এত সুগোল, যেন দোকানের জানালায় পুতুল- অতি চতুর রবারে তৈরি, রঙিন। কিন্তু তোমরা কেন ধরা দেবে সেই মিথ্যায়, তোমরা যারা সম্পন্ন, তোমরা যারা মাটির তলায় শস্যের মতো বর্ধিষ্ণু? বোলো না ‘সুন্দর’, বোলো না ‘ভালোবাসা’, উচ্ছ্বাস হারিয়ে ফেলো না নিজেদের- শুধু আবিষ্কার করো, নিঃশব্দে। আবিষ্কার করো সেই জগৎ, যার কোথাও কোনো সীমান্ত নেই, যার উপর দিয়ে বাতাস ব’য়ে যায় চিরকালের সমুদ্র থেকে, যার আকাশে এক অনির্বাণ পুঁথি বিস্তীর্ণ- নক্ষত্রময়, বিস্মৃতিহীন। আলিঙ্গন করো সেই জগৎকে, পরষ্পরের চেতনার মধ্যে নিবিড়। দেখবে কেমন ছোটো হ’তেও জানে সে, যেন মুঠোর মধ্যে ধ’রে যায়, যেন বাহুর ভাঁজে গহ্বর, যেখানে তোমরা মুখ গুঁজে আছো অন্ধকারে গোপনতায় নিস্পন্দ- সেই একবিন্দু স্থান, যা পবিত্র, আক্রমণের অতীত, যোদ্ধার পক্ষে অদৃশ্য, মানচিত্রে চিহ্নিত নয়, রেডিও আর হেডলাইনের বাইরে সংঘর্ষ থেকে উত্তীর্ণ- যেখানে কিছুই ঘটে না শুধু আছে সব সব আছে- কেননা তোমাদেরই হৃদয় আজ ছড়িয়ে পড়লো ঝাউবনে মর্মর তুলে, সমুদ্রের নিয়তিহীন নিস্বনে, নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রে, দিগন্তের সংকেতরেখায়- সব অতীত, সব ভবিষ্যৎ আজ তোমাদের। আমাকে ভুল বুঝোনা। আমি জানি, বারুদ কত নিরপেক্ষ, প্রাণ কত বিপন্ন। কাল হয়তো আগুন জ্বলবে দারুণ, হত্যা হবে লেলিহান, যেমন আগে, অনেকবার, আমাদের মাতৃভুমি এই পৃথিবীর মৃত্তিকায়- চাকার ঘূর্ণনের মতো পুনরাবৃত্ত। তবু এও জানি ইতিহাস এক শৃঙ্খল, আর আমরা চাই মুক্তি, আর মুক্তি আছে কোন পথে, বলো, চেষ্টাহীন মিলনে ছাড়া? মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলন, মানুষের সঙ্গে বিশ্বের- যার প্রমাণ, যার প্রতীক আজ তোমরা। নাজমা, শামসুদ্দিন, আর রাত্রির বুকে লুকিয়ে-থাকা যত প্রেমিক, যারা ভোলোনি আমাদের সনাতন চুক্তি, সমুদ্র আর নক্ষত্রের সঙ্গে, রচনা করেছো পরস্পরের বাহুর ভাঁজে আমাদের জন্য এক স্বর্গের আভাস, অমরতায় কল্পনা : আমি ভাবছি তোমাদের কথা আজকের দিনে, সারাক্ষণ- সেই একটি মাত্র শিখা আমার অন্ধকারে, আমার চোখের সামনে নিশান। মনে হয় এই জগৎ-জোড়া দুর্গন্ধ আর অফুরান বিবমিষার বিরুদ্ধে শুধু তোমরা আছো উত্তর, আর উদ্ধার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত মানুষের দল, যশোর রোডের দুধারে বসত বাঁশের ছাউনি কাদামাটি জল। কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে, আকাশে বসত মরা ইশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে। ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ী দেশ, মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালোরাত কবে হবে শেষ। শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে, এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে। সময় চলেছে রাজপথ ধরে যশোর রোডেতে মানুষ মিছিল, সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, গরুগাড়ী কাদা রাস্তা পিছিল লক্ষ মানুষ ভাত চেয়ে মরে, লক্ষ মানুষ শোকে ভেসে যায়, ঘরহীন ভাসে শত শত লোক লক্ষ জননী পাগলের প্রায়। রিফিউজি ঘরে খিদে পাওয়া শিশু, পেটগুলো সব ফুলে ফেঁপে ওঠে এইটুকু শিশু এতবড় চোখ দিশেহারা মা কারকাছে ছোটে। সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, এত এত শুধু মানুষের মুখ, যুদ্ধ মৃত্যু তবুও স্বপ্ন ফসলের মাঠ ফেলে আসা সুখ। কারকাছে বলি ভাতরূটি কথা, কাকে বলি করো, করো করো ত্রান, কাকে বলি, ওগো মৃত্যু থামাও, মরে যাওয়া বুকে এনে দাও প্রান। কাঁদো কাঁদো তুমি মানুষের দল তোমার শরীর ক্ষত দিয়ে ঢাকা, জননীর কোলে আধপেটা শিশু একেমন বাঁচা, বেঁচে মরে থাকা। ছোটো ছোটো তুমি মানুষের দল, তোমার ঘরেও মৃত্যুর ছায়া, গুলিতে ছিন্ন দেহ মন মাটি, ঘর ছেড়েছোতো মাটি মিছে মায়া। সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, ঘর ভেঙে গেছে যুদ্ধের ঝড়ে, যশোর রোডের দুধারে মানুষ এত এত লোক শুধু কেনো মরে। শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত শিশু মরে গেল, যশোর রোডের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ছেঁড়া সংসার সব এলোমেলো কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে, আকাশে বসত মরা ইশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে। ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ী দেশ, মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালোরাত কবে হবে শেষ। শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে, এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে, এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে॥

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call
আপনাদের কলেজে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতা হবে । সেখানে আপনিও অংশগ্রহন করবেন । তাই আপনি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে বিখ্যাত কয়েকটি কবিতা এখানে দেখুন
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

"মুক্তিযুদ্ধের কবিতা" আপরোজা অদিতি রক্তগঙ্গায় ভাসলো এ দেশ আমার বাতাসে ছড়ালো হাহাকার চিৎকার মুক্তিযুদ্ধ হলো স্বাধীনতা এলো তবুও মুক্তিযুদ্ধের কবিতা নেই কলম খাতায় মুক্তিযুদ্ধ বলতেই শব্দগুলো তড়পায় কেমন যুদ্ধ হলো হায় অনাহার সম্ভ্রমহীন জীবন রাখা দায় মুক্তিযুদ্ধ হলো বলেই পতাকা ওড়ে গাড়ির বহরে হয় গান- কবিতা বক্তারা সেমিনারে ওদিকে রাস্তায় চলে শ্লীলতাহানির মহোৎসব টুকরো হওয়া লাশের পাশে কাঁদে মা মানুষের ভীড় বাড়ে যোদ্ধার দূর্বল ভেজা চোখ আগুন হলকায় দিন যায় নদী তিরতির জল বয় বায়ুতে বায়ুতে বার্তা রটে নিরন্ন মানুষ ডাস্টবিন খুঁটে খুঁটে যায় স্বাধীন পথ হাঁটি রক্তে পিছল মাটি প্রাচীন আকাশে ওঠে চাঁদ পতাকা ওড়ে হাওয়ায়

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

স্বাধীনতা অর্জন 

নুসরাত জাহান 

যুদ্ধ হলো দেশের জন্য 

দেশকে স্বাধীন করতে, 

মুক্তিসেনারা করল জয় 

ভয় না পেয়ে মরতে।

 দেশের জন্য ত্যাগ করল প্রাণ 

করল দেশকে স্বাধীন, 

সেই দেশের মানুষের স্মরণে 

তারা থাকবে চিরদিন। 

যুদ্ধ হলো টানা নয় মাস, 

দুঃখের নেই কোনো শেষ, 

মিলিটারীরা মারল মানুষ 

রইল না তার শেষ। 

নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর 

শত্রুরা করল আত্মসমর্পণ, 

এভাবে সম্ভব হলো বাংলাদেশের 

স্বাধীনতা অর্জন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ