আমার পোষা কুকুর পালার খুব ইচ্ছা। ইসলাম কুকুর পালনের জন্য কি অনুমতি দেয়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

শুধুমাত্র পাহারা বা শিকারের জন্য কুকুর পালন করতে পারবেন। স্রেফ শখ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কেউ শখের বসে আবার কেউ সম্পদ পাহাড়া দেয়ার জন্য বাড়িতে কুকুর পোষে। কিন্তু ইসলাম ধর্মে কি কুকুর পোষার অনুমতি আছে? মুসলমান হিসেবে এই অতি প্রয়োজনীয় বিষয়ে সঠিক জ্ঞ্যান রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব। মুসলমানেরা বাড়িতে কুকুর পোষতে পারবে কিনা, এ বিষয়ে ততোধিক হাদিসের আলোকে নিচে তা বর্ণনা করা হলো।


আদম (রহঃ) আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ ফিরিশতা ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর থাকে এবং ঐ ঘরেও না, যে ঘরে ছবি থাকে। লায়স (রহঃ) আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) থেকে (এ বিষয়ে) শুনেছি। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ পোষাক-পরিচ্ছদ হাদিস নাম্বারঃ ৫৫২৫)


ইয়াহইয়া ইবন সুলাইমান (রহঃ) সালিম (রাঃ) তাঁর পিতার নিকট হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাবী (সাঃ) -কে (সাক্ষাতে) ওয়াদা দিয়েছিলেন। (কিন্তু তিনি সময় মত আসেন নি। নাবী (সাঃ) -এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি বললেন, আমরা ঐ ঘরে প্রবেশ করি না, যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ সৃষ্টির সূচনা হাদিস নাম্বারঃ ৩০০০)


মুসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি কুকুর রাখবে প্রতিদিন তার আমল নামা তাতে এক ক্বীরাত করে সাওয়াব কমতে থাকবে। তবে কৃষি খামার অথবা পশুর পাল রক্ষার কাজে নিয়োজিত শিকারী কুকুর এর ব্যতীক্রম। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ সৃষ্টির সূচনা হাদিস নাম্বারঃ ৩০৯০)


মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ইবন উমর (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেন তিনি বলতেনঃ যে ব্যাক্তি এমন কুকুর পালন করে যেটি পশু রক্ষার জন্যও নয় কিংবা শিকারের জন্যও নয়। তার আমল থেকে প্রত্যহ দুই কীরাত পরিমাণ হ্রাস পাবে। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ যবাহ করা, শিকার করা হাদিস নাম্বারঃ ৫০৮৫)


মাককী ইবন ইবরাহীম (রহঃ) আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যাক্তি শিকারী কুকুর কিংবা , পশু রক্ষাকারী কুকুর ব্যতীত অন্য কোন কুকুর পোষে, সেই ব্যাক্তির আমলের সাওয়াব থেকে প্রত্যহ দুই কীরাত পরিমাণ কমে যায়। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ যবাহ করা, শিকার করা হাদিস নাম্বারঃ ৫০৮৬)


আব্দুল্লাহ ইবন মাসলামা (রহঃ) আদী ইবন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করলাম। আমি আমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর (শিকারের জন্য) ছেড়ে দেই। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যখন তুমি আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলো ছেড়ে দেবে এবং যদি সে কোন শিকার ধরে আনে তাহলে তা খেতে পার। আর যদি ধারাল তীর নিক্ষেপ কর এবং এতে যদি শিকারের দেহ ফেড়ে দেয়, তবে তা খেতে পার। (সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ তাওহীদ প্রসঙ্গ হাদিস নাম্বারঃ ৬৮৯৩)

তথ্য সূত্র

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

https://www.youtube.com/watch?v=9FnHU0p198Q

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call


কেবল শখ করে ঘরে কুকুর রাখা, মানুষের চেয়ে কুকুরের যত্ন বেশি নেওয়া, কুকুরের সঙ্গে মানবীয় সম্পর্ক স্থাপন করা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে শিকারের উদ্দেশ্যে, ফসল হেফাজতের উদ্দেশ্যে, পাহারাদারির জন্য, ছাগল-ভেড়া ইত্যাদির হেফাজতের লক্ষ্যে, ঘরবাড়ি, দোকান ও অফিস পাহারার জন্য, অপরাধের উৎস সন্ধান ও অপরাধীকে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে কুকুর লালন-পালন করা বৈধ। (ফতোয়াতে মাহমুদিয়া ১৮/২৬৪ ফতোয়ায়ে আলমগিরি ৪/২৪২)

হাদীস শরীফে এসেছে,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ :  مَنْ اقْتَنَى كَلْبًا لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ وَلا مَاشِيَةٍ وَلا أَرْضٍ فَإِنَّهُ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِهِ قِيرَاطَانِ كُلَّ يَوْمٍ

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পালে ঐ ব্যক্তির প্রত্যেকদিন দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়। (সহীহ মুসলিম ১৫৭৫ জামে তিরমিযী ১৪৮৭)

আর এক হাদীসে আছে, القيراط مثل أُحُد ‘এক কিরাত হলো, উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ। ’ (মুসনাদে আহমদ ৪৬৫০)

উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী

সুত্রঃhttp://quranerjyoti.com

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ