শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

২০০৭ সালে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। তার নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্য উপদেষ্টারাও পদত্যাগ করেন। ড. ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় দুই নেত্রী শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ প্রায় ১৫ হাজার রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীকে। মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নেরও চেষ্টা হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ওয়ান ইলাভেন নিয়ে নানা বলাবলি আছে। সেদিনের ঘটনার যতদূর জানা যায়, ১১ই জানুয়ারি দুপুর হয়ে বিকাল হতে চলেছে। প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কিত এক জাতীয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন। বৈঠকের মূল এজেন্ডা ২২শে জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন যেকোন মূল্যে করতে হবে। বৈঠক চলছে, এমন সময় প্রেসিডেন্টের কাছে বার্তা এলো স্যার আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন তিন মেহমান। দশ মিনিটের মাথায় তার সামরিক সচিব ঢুকে বললেন, স্যার মিটিং শর্ট করতে বলা হয়েছে। মেহমানরা পৌঁছে গেছেন। আপনার রুমে অপেক্ষা করছেন। মিটিং শেষে রুমে ঢুকে দেখেন মেহমানরা তার জন্য তিনটি কাগজ হাতে অপেক্ষা করছেন। প্রথমটি তার পদত্যাগপত্র। দ্বিতীয়টি জরুরি অবস্থা জারির প্রজ্ঞাপণ। তৃতীয়টি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ। সই করেন স্যার। কি ব্যাপার? এখনই কি করতে হবে। স্ত্রী ড. আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। সে সময়ও তাকে দেয়া হয়নি। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ওয়েবসাইট উইকিলিকসের পাস করা গোপন মার্কিন তারবার্তায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের দুই হাজারের মতো বার্তা রয়েছে। যেখানে ওয়ান ইলাভেনের অনেক কথাই রয়েছে। 111 ওই এক তার বার্তায় দেখা যায়, ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস এবং তৎকালীন বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ৬ই জানুয়ারি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা হাসিনাকে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রথম সারির কয়েকজন নেতা তাঁদের কাছে এসেছিলেন। তাঁরা চান, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে বিদেশে নির্বাসনে পাঠানো হোক, প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপও হতে পারে। আওয়ামী লীগের ওই নেতাদের প্রতি বিএনপির একটা অংশের নেতাদেরও সমর্থন আছে। শেখ হাসিনা এসব কথা উড়িয়ে দেন। একপর্যায়ে বিউটেনিস ও আনোয়ার চৌধুরী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান, একটা সমাধান খুঁজে পেতে খালেদা জিয়া যদি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাহলে তিনি কী করবেন? হাসিনা বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যান করবেন। মানবজমিন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ