AbdulHalim

Call

মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকে কোনো অদৃশ্য ভর নিয়ন্ত্রণ করে বা বস্তুর ভারসাম্য অবস্থায় রাখে। কিন্তু এ তত্ত্বের পেছনে অনেকগুলো স্বাভাবিক যুক্তি এসে যায়। কোনো দৃশ্যমান বস্তুর গাণিতিক ভর কেন অদৃশ্য ভরের ওপর নির্ভরশীল। আর তা কিভাবেই বা দৃশ্যমানের সঙ্গে অদৃশ্যমান ভরের সমন্বয় করে। তাহলে এ দুটি ভর কি ভিন্ন। নাকি অভিন্ন। ভিন্ন হলে তা কতটা ভিন্ন। আর অভিন্ন হলে তা কিভাবে অদৃশ্যমান আচরণ করে। মহাবিশ্বে প্রতিটি বস্তু ভরের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এ ভর কোথা থেকে আসে। এর সৃষ্টি-ই বা কোথায়। আর কোথায়- ই বা তা মিলিয়ে যায়। আর এসবের সদুত্তর জানতে পদার্থবিজ্ঞানে আসে ‘স্ট্যান্ডার্ড মডেল’ তত্ত্ব। এ তত্ত্বেও রহস্য নিয়ে কাজ শুরু করেন ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস। ১৯৬০ সালে হিগস এ অদৃশ্য ভরকে (গড পার্টিকলস) বা মহাবিশ্ব সৃষ্টির ‘ঈশ্বর কণা’ বলে অভিহিত করেন। পরে পিটার হিগসের মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে পদার্দবিদ্যার তত্ত্বকে ‘স্ট্যান্ডার্ড মডেল’ বলে। এর অর্থ সঙ্গে উপমহাদেশের ভারতীয় বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু এ কণার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা দেন। এ দুই বিজ্ঞানীর নাম থেকেই ‘হিগস- বোসন’ কণা তত্ত্বের সৃষ্টি। আজ ঈশ্বর কণা নামে পরিচিত। এতদিন ‘হিগস-বোসন’ কণার অবস্থান ছিল পদার্থবিদ্যার অপ্রমাণিত গাণিতিক সমীকরণে। কিন্তু এ অদৃশ্য ভর ছাড়া মহাবিশ্বের যাবতীয় বস্তুর স্বাভাবিক উপস্থিতি এবং আচরণ সত্যিই অলৌকিক। একে অলৌকিক তত্ত্ব ব্যাখ্যার আর কোনো ভাষা পদার্থবিদ্যায় ছিল না। তাই একে অনেক বিজ্ঞানী ‘ঈশ্বর কণা’ বলেই অভিহিত করেন। ৪ জুলাই, ২০১২। মানবসভ্যতার ইতিহাসে সত্যিই মাইলফলকের একটি দিন। কারণ মহাজাগতিক সৃষ্টি রহস্যেয় একটি নতুন কণার ঝলক আবিষ্কারের দিন। আর তা মাত্র ১ সেকেন্ডের ১ লাখ ভাগের ১ ভাগের সময়ের জন্য দৃশ্যমান হয়। সার্নের মহাপরিচালক রিলফ হওয়ে বলেন, এ কণা এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। তবে হিগস- বোসন তত্ত্বের প্রায় ফিকে হয়ে যাওয়া অনুমান এখন বাস্তবিক দিকনির্দেশনা পেয়েছে। এটি মহাবিশ্ব সৃষ্টির গবেষণায় অনুুপ্রেরণা হবে। আর হিগস- বোসন তত্ত্বে পাওয়া ‘ঈশ্বর কণা’ রহস্য উন্মোচন এখনও দীর্ঘ গবেষণার উপাত্ত। এ অর্জন ঐতিহাসিক। কিন্তু সুদীর্ঘ গবেষণার সূচনা উপাত্ত মাত্র। ইউরোপিয়ান অরগেনাইজেশন ফর নিউকিয়ার রিসার্চে (সার্ন) অবশেষে ঈশ্বর কণা তত্ত্বের একটা নজির বিজ্ঞানীদের সামনে ধরা দিল। এ গবেষণায় বিজ্ঞানীর সামনে আরও কয়েকটি কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এটি হিগস বোসন তত্ত্বের কণার শর্ত পূরণ করে কি না তা একেবারেই সুনিশ্চিত করা। আবির্ভূত এ কণাটির সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড মডেল তত্ত্বের কতটা মিল-অমিল আছে তা খতিয়ে দেখা। আর এটি শুধু একটি অতিপারমাণবিক কণা কি না। এমন প্রশ্নের সদুত্তর থেকেই হয়ত মিলবে আরও নতুন তত্ত্ব। Source:answerbd

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ