পবিত্র কোরঅানে মোট কতবার মিথ্যা না বলা ও সৎ কর্ম করার কথা বলা হয়েছে একটু বিস্তারিত জানাবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যাচার করা জঘন্য অপরাধ। মিথ্যা কখনও সুফল বয়ে আনে না। মিথ্যার পরিণাম হচ্ছে ধ্বংস। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মিথ্যার বেসাতির কারণে অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে, অনেক সভ্যতা বিলীন হয়ে গেছে। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : 

পবিত্র কোরাআনে অনেক বার বলা হয়েছে, সৎ পথে চলা ও সত্য কথা এবং মিথ্যা না বলার জন্য, 

যেমনঃ 

"সুতরাং পৃথিবী পরিভ্রমণ করে দেখো, যারা সত্যকে মিথ্যা বলেছে তাদের পরিণাম কী হয়েছে?" (সূরা নাহল : আয়াত ৩৬)।

"তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না।" (সূরা বাকারা : আয়াত ৪২) 

"সুতরাং পৃথিবী পরিভ্রমণ করে দেখো, যারা সত্যকে মিথ্যা বলেছে তাদের পরিণাম কী হয়েছে?" (সূরা নাহল : আয়াত ৩৬)। 

"অভিশপ্ত হোক মিথ্যাচারীরা।" (সূরা যারিয়াত : আয়াত ১০)। 

"ওয়াইলুল্লিকুল্লি আফফাকি, আছিম- দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী পাপীর" (সূরা জাছিয়া : আয়াত ৭)। 

"আর কোনো ব্যক্তি নিজের কোনো দোষযুক্ত বা পাপের কাজ করার পর সে কোনো নির্দোষ ব্যক্তির ওপর তা আরোপ করলেও সে মিথ্যা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা নিজেই বহন করে।" (সূরা নিসা : আয়াত ১২), 

"যারা সাধ্বী রমণীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না তাদের আশিটা কশাঘাত করবে এবং কখনো তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না। আর ওরাই ফাসিক।" (সূরা নূর; আয়াত ২৩) 

"তোমরা একে অপরের প্রবঞ্চিত করবার জন্য শপথকে ব্যবহার করো না। যদি করো তাহলে তোমাদের কদম স্থির হবার পর পিছলিয়ে যাবে।" (সূরা নাহল : আয়াত ৯৪)। 

"হে মু’মিনগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদেরই ওপর। তোমরা যদি সৎ পথে পরিচালিত হও তবে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না" (সূরা মায়িদা : আয়াত ১০৫)। 

"সত্য এসেছে এবং মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে, নিশ্চয়ই মিথ্যা দূর হবার।" (সূরা বনী ইসরাঈল : আয়াত ৮১)।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ