আমার ত্বক তৈলাক্ত তাই ব্রন হয় বেশি তাই কোনো উপায় বলবেন|
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

অসম্ভব বলে কিছু নেই। যদিও সময় একটু বেশি লাগবে, কিন্তু নিয়মিত চেষ্টায় কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের সহায়তায় ব্রন ধীরে ধীরে দূর করা সম্ভব। এই উপাদানগুলো প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করবে এবং আপনার ত্বক থেকে স্থায়ীভাবে দাগ দূর করবে।


প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। তাই আমি অবশ্যই বলব ত্বকের জন্য নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস ত্যাগ করা ও ভালো কিছু অভ্যাস তৈরি করা।


১। আপনার ব্রণ থেকে নখকে দূরে রাখুন


আপনার ব্রণের সাথে খেলবেন না। একে একা থাকতে দিন। ভুলেও নখ লাগাবেন না বা চাপ দিবেন না। চুলকানি হলেও স্পর্শ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। আর যদি প্রতিকারের জন্য কোন ওষুধ বা কোনও কিছু ব্যবহার করেন, তবে অবশ্যই আলতোভাবে করতে হবে।


২। সূর্যের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন


সূর্যের আলোতে ব্রণের দাগ বসে যায়। তাই চেষ্টা করবেন সূর্যের সংস্পর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখার। কিন্তু বাইরে না গিয়ে তো উপায় নেই। তাই যখনই বাইরে যাবেন, তখন অবশ্যই সানস্ক্রিন ক্রিম লাগিয়ে যাবেন। আর ছাতা, হ্যাট, ওড়না, স্কার্ফ ইত্যাদি দিয়ে নিজের ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন।


ব্রণের দাগ দূর করার প্রাকৃতিক প্রতিকার


১।লেবুঃ


(ক) লেবু একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ। লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে একটি তুলার বলের সাহায্যে তা মুখে ৩-৪ মিনিট ঘষুন।


(খ)যদি সেনসিটিভ স্কিন হয় তাহলে এর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিবেন। সম্ভব হলে ১ চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চামচ ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া একটানা ৭-১০ দিন নিচের ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।


লেবুর ফেসপ্যাকঃ


১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ আমন্ড তেল, ২ টেবিল চামচ দুধ একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ থাকা অবস্থায় দুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।


২।মধুঃ


(ক) রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে মধু লাগান। সারারাত তা রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে তা ধুয়ে ফেলুন।


(খ) মধুর সাথে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে শুধুমাত্র দাগের উপর লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে সারারাতও রাখতে পারেন।


মধুর ফেসপ্যাকঃ


২-৩ টি এস্পিরিন ট্যাবলেট এর সাথে ২ চামচ মধু ও ২-৩ ফোঁটা পানি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এস্পিরিন এর স্যালিসাইলিক এসিড ব্রণের দাগ দূরের জন্য খুবই সহায়ক।


৩। অ্যালোভেরা জেলঃ


দিনে দুইবার অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধুমাত্র ব্রণের দাগই দূর করবে না, বরং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং টানটান হবে।


৪। বেকিং সোডাঃ


২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও সামান্য পানি একসাথে মিশিয়ে মুখে ২-৩ মিনিট ঘষুন এবং শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে এর উপর কোনও ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা অলিভ অয়েল লাগান।


৫।টমেটোঃ


একটি লাল টমেটোর কিছু অংশ নিয়ে তার রস নিন। এরপর তা শশার রসের সাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ বার এই প্যাকটি লাগান। ব্রণের দাগ দূর তো হবেই সেই সাথে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।


উপরের সবগুলো উপাদান ত্বকের দাগ দূরের জন্য বেশ উপকারী। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী যে উপাদান বেশি ভালো তা ব্যবহার করুন এবং আপনার মূল্যবান ত্বকের যত্ন নিন, বেশি করে পানি পান করুন, সুস্থ থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

জিবানু প্রতিরোধে ফিটকিরি ভাল কাজ করে তাই এটি ব্যাবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের ব্রন কমাতে হেলথ ডটকম দিয়েছে কিছু পরামর্শ। *এসপিরিন: নিউইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট এবং স্কিন রুলস বইয়ের লেখক ডেবরা জেলিমান জানান, এসপিরিন হলো এক ধরনের সলিসিলিক এসিড। একনি বা ব্রণ দূর করার পণ্যগুলোতে এই উপাদান ব্যবহার করা হয়। এসপিরিন গুঁড়ো করে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তুলার মধ্যে লাগিয়ে এই পেস্ট সরাসরি ব্রণের মধ্যে ১০ মিনিট রাখুন। এর পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। *চা-গাছের তেল: চা-গাছের তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি- ইনফ্লামেটরি উপাদান। কয়েক ফোঁটা চা-গাছের তেল তুলার মধ্যে লাগিয়ে খুব নরমভাবে ব্রণ ও দাগে লাগান। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে ব্রণ সেরে উঠেছে। *বরফ: ড. জেলিমান জানান, গোড়ালি মচকে গেলে এর ফোলা কমাতে বরফ কাজ করে। এটি ব্রণের প্রদাহ কমাতেও বেশ কার্যকর। একটি বরফের ছোট টুকরো পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে নিয়ে এক মিনিটের জন্য ব্রণের মধ্যে রাখুন। এই পদ্ধতি ব্রণের লাল হওয়া ও ফোলাভাব কমাবে। *লেবুর রস: লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। রয়েছে এল- এসকোরোবিক এসিড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। একটি তুলোর টুকরোর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণে লাগান। সারা রাত রাখুন। ব্রন দূর করতে এই পদ্ধতিও বেশ কার্যকর। *রসুন: রসুনের গন্ধ হয়তো আপনার বিরক্ত লাগতে পারে। কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা ব্রণ দূর করে। রসুন দেহের বিভিন্ন রোগ- প্রতিরোধেও উপকারী। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। রসুনে রয়েছে এলিসিন ও অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। রসুন কেটে পানির সঙ্গে পেস্ট করুন। এরপর ব্রণের মধ্যে পাঁচ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। *মধু: ব্রণ দূর করতে মধুও খুব উপকারী। মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি আপনি মাস্কের মতো মুখে লাগাতে পারেন। পাঁচ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এর ভেতর আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি সেপটিক উপাদান। তবে নিয়মিতি মধু ব্যবহারে ব্রণ একেবারেই সারবে কি না, সেটা নিয়ে গবেষকরা এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ, চেষ্টা করুন অপ্রক্রিয়াজাত বা টাটকা মধু ব্যবহার করতে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

জিবানু প্রতিরোধে ফিটকিরি ভাল কাজ করে তাই এটি ব্যাবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের ব্রন কমাতে ১. বরফ ব্যাবহারঃ মুখে উপর বরফ ঘষুন ১০ মিনিটের মত । এতে ব্রন কম বের হবে এবং ইতিমধ্যে যদি ব্রন বেরিয়েও থাকে, কমে যাবে । ২. টুথপেস্ট ব্যবহারঃ ব্রনের উপর সামান্য করে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন সারারাত । সকালে ধুয়ে ফেলুন । এতে ব্রন আকারে কমে যাবে । এবং শুকিয়েও যাবে । ৩. রসুন ব্যবহারঃ ব্রনের উপরে এবং চারপাশে কাচা রসুন ঘষে দিন । এতে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবং দাগ ও অনেক কমে যাবে । ৪. কমলার খোসা ব্যবহারঃ কমলার খোসা বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন । ব্রন কমে যাবে । ৫. মধু ব্যবহারঃ ব্রন ওঠার সাথে সাথে এর উপরে মধু লাগিয়ে দিন । এটা আর বাড়তে পারবে না । ৬. কাগজি লেবু ব্যবহারঃ ঘুমানোর আগে মুখে কাগজি লেবুর রস মাখুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন । মুখ ব্রন মুক্ত থাকবে । ৭. ভিনেগার ব্যবহারঃ সামান্য পানি এবং ভিনেগার প্রথমে গরম করুন একসাথে । তারপর ঠাণ্ডা করে এই মিশ্রন মুখে ব্যবহার করুন । ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন । ৮. আলু ব্যবহারঃ আলু স্লাইস করে কেটে ব্রনের উপর ঘষুন ৫-৭ মিনিট । ব্রনের আকার অনেক কমে যাবে । ৯. শশা ব্যবহারঃ শশা থেতো করে সামান্য লেবুর রস একসাথে করে মিশিয়ে নিন এবং মুখে লাগান । আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন । ব্রন হবে না । থাক্লেও অনেক কমে যাবে । ১০. মুখের পরিচ্ছন্নতাঃ ভাল ফেস ওয়াশ দিয়ে দিনে অন্তত ২ বার মুখ ভাল করে পরিস্কার করবেন । মুখে কখনই সাবান ব্যবহার করবেন না । নোংরা কাজ করার পর এবং প্রতিবার বাইরে থেকে এসে ভাল করে মুখ ধোবেন । ১১. চোখের ড্রপ ব্যবহারঃ খুবই কার্যকরী পদ্ধতি । ব্রনের উপর ১ ফোটা করে ইউজ করলেই অনেক কমে যাবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অসম্ভব বলে কিছু নাই -ফুসকুড়ি: মুখে ব্রন-ফুসকুড়ি হচ্ছে? মুখ ড্রাই হয়ে, চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে? চিন্তা করবেন না। ভালো করে মুখ ধুয়ে সারা মুখে অনেকক্ষণ ধরে ফিটকিরি ঘষুন। বা ফিটকিরি চূর্ণ পানিতে গুলে, মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে কিছু দিন করলে, মুখে ঊজ্জ্বলতা ফিরবে। ব্রন-ফুসকুড়ির হাত থেকেও মুক্তি পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ