কোষ্ঠকাঠিন্যতার সমস্যায় আমাদের দেশের অনেক মানুষই ভুগে থাকে। প্রতিদিন খাবার গ্রহনের পর সেসকল খাদ্যসমূহ সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক সময়ে বর্জ্য পদার্থ হয়ে শরীর থেকে বের না হওয়াকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। খাদ্যের অসাড় দ্রব্য সাধারনত খাদ্য গ্রহনের ৬ হতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বের হয়ে যায়। একজন সুস্থ মানুষ স্বাভাবিক খাদ্যগ্রহনের পর ২৪ ঘণ্টায় ২-১ বাত মলত্যাগ করে। কিন্তু এর অস্বাভাবিকতা হলেই তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। এটা মূলত কোন রোগ নয়। কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বা অনেকগুলো রোগের লক্ষণ মাত্র। কোষ্ঠকাঠিন্য দুই প্রকার, আন্ত্রীক কোষ্ঠকাঠিন্য এবং মলাশয় কোষ্ঠকাঠিন্য।
আন্ত্রীক কোষ্ঠকাঠিন্যঃ
সাধারনত স্বাভাবিক খাদ্যগ্রহনের পর কম পানি খেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও স্নায়ুতন্ত্রীয় রোগে, প্যারালাইসিস, মানসিক উত্তেজনা, দীর্ঘ দিনের পেটের ব্যথা ক্ষুদ্রান্ত্রে ও বৃহদান্ত্রে সংকোচনের কারনে এই রোগ হয়। কিন্তু আবার পেটের ক্ষুদ্রান্ত্র বা বৃহদান্ত্রের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়লে অথবা জন্মগতভাবে অন্ত্রের কোন ক্রুটি থাকলে এই সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় অম্লরস বা পিত্ত রস কম নি:সরণ হলেও এই রোগ হয়। ডায়াবেটিস, বার্ধক্য, অলসতা, রক্তস্বল্পতার কারনেও এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
মলাশয় কোষ্ঠকাঠিন্যঃ
অভ্যাসজনিত কারনে অথবা উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে মলত্যাগের চাপ হলেও আটকে রাখলে এবং দীর্ঘদিন যাবত এই অভ্যাস বজায় রাখার ফলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পরামর্শঃ
* পর্যাপ্ত পরিমানে সবুজ শাক সবজি, আঁশ জাতীয় খাবার, আস্ত ফল-মূল খাওয়া উচিত।
* প্রতিদিন সম্ভব হলে ফলের রস পান করা উচিত।
* প্রচুর পানি পান করতে হবে। দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।
* মলত্যাগের সময় বেশি চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।
* মল আটকে না রেখে, যথা সময়ে মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলুন।