প্রতিটি মানুষের সুস্থ থাকার জন্য সঠিক বা পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমের প্রয়োজন। আমাদের মদ্ধে অনেকেই মনে করে যে দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। আসলে কি তাই বিজ্ঞান কি বলে? আজকে ঘুম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বয়স ভেদে ঘুমনোর সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমন একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভধারনের প্রথম তিন মাস প্রয়োজন স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ঘণ্টা বারতি ঘুমের। টিন এজার যারা আছে তাদের প্রয়োজন দৈনিক ৯ ঘণ্টা। আর প্রাপ্ত বয়স্ক যারা আছেন তাদের দরকার ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার। এখানে সময় বিচার না করলে বলা যেতে পারে একজন মানুষ স্বাভাবিক বা নিরবিছিন্ন ভাবে যতটুকু ঘুমবে তার জন্নে সেটি যথেষ্ট। বিজ্ঞানীরা মানুষের ঘুমের অপর অনেকরকম গবেষণা চালিয়েছে এবং একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, যেটি নিম্নরূপ-
নবজাতক শিশু ০-২ মাস দৈনিক — ১২-১৮ ঘণ্টা।
নবজাতক ৩-১১ মাস দৈনিক — ১৪-১৫ ঘণ্টা।
১-৩ বছরের বাচ্চা — দৈনিক ১২-১৪ ঘণ্টা।
৩ থেকে ৫ বছরের শিশু দৈনিক — ১১-১৩ ঘণ্টা।
৫ থেকে ১০ বছর বাচ্চা দৈনিক — ১০-১১ ঘণ্টা।
কিশোর বয়স বা টিন এজার যাদের বয়স ১১-১৭ বছরের মদ্ধে তাদের জন্য দৈনিক ৮.৫-৯.৫ ঘণ্টা।
পূর্ণবয়স্ক বা যাদের বয়স ১৮ এর বেশী তাদের জন্য দরকার দৈনিক ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের।
অনেকেরি পেশা এমন যে ইচ্ছা করলেই পর্যাপ্ত ঘুমনো সম্ভব হয়না। এক্ষেত্রে চেষ্টা করা উচিৎ দিনের অন্য সময় সেই বাকি পরা ঘুম পুষিয়ে নেয়া। গবেশনায় আরও দেখা গিয়েছে যাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয়না তাঁরা প্রাই সময় কোন না কোন শারীরিক সমস্যায় ভোগ যেমন মাথা ব্যাথা করা অবসাদ, কাজ করতে গেলে শরিরে বল না পাওয়া, এমনকি গাড়ি চালানোর সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার কারন এই অপর্যাপ্ত ঘুম।
স্বাভাবিক ঘুমের জন্য আপনার যা করা প্রয়োজন-
প্রতিদিন রাত্রে ঠিক একই সময় ঘুমোতে যাবেন। যদি সম্ভব হয় তবে একটু আগে আগে যাবার চেষ্টা করবেন। ঘুমোতে যাবার আগে চা, কফি তথা ক্যাফেইন যুক্ত খাবার ও পেট ভরে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আপনার বেডরুম থেকে টিভি বের করে অন্য রুমে রাখুন। রাত্রে ঘুমোতে যাবার আগে টিভি দেখবেন না সাথে সাথে সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র যেমন মোবাইল ফোন ল্যাপটপ ইত্যাদি ব্যাবহার করবেন না। যতদূর সম্ভব পাতলা জামা কাপড় পরে ঘুমোতে যাবেন। টাইট কারপ পরে ঘুমোতে গেলে আপনার শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের তুলনাই বাধাপ্রাপ্ত হবে এবং ঠিক মতো ঘুম হবে না।