দেখুন... আশুরার দিনে অনেক ঘটনার উল্লেখ করা হয় ,যার অধিকাংশ জাল বা অধিক দুর্বল! একটি ঘটনা সহীহ হাদীসে উল্লেখ পাওয়া যায় ! সে ঘটনা হলো বানী ইসরাইল ফিরআউনের দাসত্ব শৃংখল থেকে মুক্তি লাভ এবং ফিরআউন ও তার সৈন্যবাহিনীকে ডুবিয়ে মারা হয় এই দশই মুহার্রম আশুরায় !এই ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ﻭﺟﺎﻭﺯﻧﺎ ﺑﺒﻨﻲ ﺍﺳﺮﺍﺋﻴﻞ ﺍﻟﺒﺤﺮ ﻓﺎﺗﺒﻌﻬﻢ ﻓﺮﻋﻮﻥ ﻭﺟﻨﻮﺩﻩ ﺑﻐﻴﺎ ﻭﻋﺪﻭﺍ ﺣﺘﻲ ﺍﺫﺍ ﺍﺩﺭﻛﻪ ﺍﻟﻐﺮﻕ ﻗﺎﻝ ﺍﻣﻨﺖ ﺍﻧﻪ ﻻﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﺬﻱ ﺍﻣﻨﺖ ﺑﻪ ﺑﻨﻮﺍ ﺍﺳﺮﺍﺋﻴﻞ ﻭﺍﻧﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ0ﺍﻻﻥ ﻭﻗﺪ ﻋﺼﻴﺖ ﻗﺒﻞ ﻭﻛﻨﺖ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻔﺴﺪﻳﻦ 0ﻓﺎﻟﻴﻮﻡ ﻧﻨﺠﻴﻚ ﺑﺒﺪﻧﻚ ﻟﺘﻜﻮﻥ ﻟﻤﻦ ﺧﻠﻔﻚ ﺍﻳﺔ ﻭﺍﻥ ﻛﺜﻴﺮﺍ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻋﻦ ﺍﻳﺎﺗﻨﺎ .ﻥﻮﻠﻓﺎﻐﻟ ‏( ﺳﻮﺭﺓ ﻳﻮﻧﺲ، ٢٩.١٩.٠٩ ) অর্থ(90) আর বানী ইসরাইলকে আমি নদী পার করে দিয়েছি,অতঃপর ফিরআউন ও তার সৈন্যবাহিনী বাড়াবাড়ী ও সীমালঙ্ঘন করে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে “এমনকি যখন সে ডুবতে আরম্ভ করল,তখন বলল,এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে,বানী ইসরাইলরা যার উপর ঈমান এনেছে,তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই! আমিও অনুগতদের অন্যতম! (91)এখন একথা বলছ ! অথচ তুমি ইতিপুর্বে নাফরমানী করছিলে এবং বিপর্যয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে! (92)অতএব আজকের দিনে আমি তোমার দেহকে বাচিয়ে দিচ্ছি ,যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে! আর নিশ্চয় বহুলোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করেনা!(সুরা ইউনুস,আয়াত নং ৯০,৯১ ও ৯২) *** আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ﻭﺍﺫ ﻓﺮﻗﻨﺎ ﺑﻜﻢ ﺍﻟﺒﺤﺮ ﻓﺎﻧﺠﻴﻨﺎﻛﻢ ﻭﺍﻏﺮﻗﻨﺎ ﺍﻝ ﻓﺮﻋﻮﻥ ﻭﺍﻧﺘﻢ .ﻥﻭﺮﻈﻨﺗ ‏( ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ،٠٥ ) অর্থ আর যখন আমি তোমাদের জন্য নদীকে দ্বিখন্ডিত করেছি ! তারপর তোমাদেরকে বাচিয়ে দিয়েছি এবং ফিরআউনের অনুসারীদিগকে তোমাদের চোখের সামনে ডুবিয়ে দিয়েছি ! (সুরা আল-বাকারা,আয়াত নং ৫০) উল্লেখিত আয়াতে চরম স্বৈরাচারী জালিম মিসরের শাসক ফিরআউন ও তার অনুসারীদের ডুবিয়ে মারা হয় এবং হযরত এবং তার অনুসারী বানী ইসরাইলকে ফিরআউনের দাসত্ব শৃংখল থেকে মুক্ত করা হয় ১০ই মুহার্রম আশুরার দিনে ! বানী ইসরাইলদের স্বাধীনতার দিনে হযরত মুসা(আঃ)রোজা রাখতেন এবং বানী ইসরাইলরাও রোজা রাখত ! আরবের মুশরিক কুরাইশরাও রোজা রাখত ! রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই আশুরার দিন রোজা রাখেন এবং সাহাবীগন (রাঃ) কে রোজা রাখার নির্দেশ দেন !এ সম্পর্কিত একটি হাদীস পেশ করা হল :- ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻋﻨﻪ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺪﻡ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻓﻮﺟﺪ ﺍﻟﻴﻬﻮﺩ ﺻﻴﺎﻣﺎ ﻳﻮﻡ ﻋﺎﺷﻮﺭﺍﺀ ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻬﻢ ﻣﺎﻫﺬﺍ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻟﺬﻱ ﺗﺼﻮﻣﻮﻧﻪ؟ ﻓﻘﺎﻟﻮﺍ ﻫﺬﺍ ﻳﻮﻡ ﻋﻈﻴﻢ ﺍﻧﺠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻴﻪ ﻣﻮﺳﻲ ﻭﻗﻮﻣﻪ ﻭﻏﺮﻕ ﻓﻴﻪ ﻓﺮﻋﻮﻥ ﻭﻗﻮﻣﻪ ﻓﺼﺎﻣﻪ ﻣﻮﺳﻲ ﺷﻜﺮﺍ ﻓﻨﺤﻦ ﻧﺼﻮﻣﻪ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻨﺤﻦ ﺍﺣﻖ ﻭﺍﻭﻟﻲ ﺑﻤﻮﺳﻲ ﻣﻨﻜﻢ ﻓﺼﺎﻡ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭ ﺍﻣﺮ ﺑﺼﻴﺎﻣﻪ থ্রঅ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)থেকে বর্নিত! রাসুলুল্লাহ (সাঃ)হিজরাত করে মাদীনায় আগমন করে ইয়াহুদীদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখতে পান ! তিনি তাদেকে জিঙ্গাসা করেন ,তোমরা যে এইদিন রোজা রাখ,এটা কোনদিন?তারা জবাব দিল, এটা এমন একটি মহান দিন,যেদিন আল্লাহ হযরত মূসা আঃ এবং তাঁর জাতিকে মুক্তি দেন এবং ফিরআউন এবং তার জাতিকে ডুবিয়ে মারেন ! যার শুকরিয়া স্বরুপ মূসা(আঃ) ঐদিন রোজা রাখেন !আমরাও ঐদিন রোজা রাখি! তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আমরা তোমাদের চেয়ে মুসা( আঃ)এর অধিক হকদার ! তাই রাসুলুল্লাহ ( সাঃ)ঐদিন রোজা রাখেন এবং রোজা রাখার নির্দেশ দেন !(সহীহ আল বুখারী ইসলামী শারীয়াহ রাসুলুল্লাহ (সাঃ)মাধ্যমে পরিপুর্ন হয়েছে !সামন্যতম তাতে ঘাটতি নেই !সকল সমাধান পরিপুর্ন দ্বীনের মধ্যে নিহিত !দ্বীনের প্রকাশ্য অংশ কুরআন ও সুন্নায় রয়েছে! আর দ্বীনের অস্পষ্ট অংশ ইজমা ও কিয়াসের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ! এই পরিপুর্ন দ্বীনকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর পরে কেহই রহিত করতে পারে না ! “শাহীদে কারবালা” রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর দৌহিত্র,হযরত আলী (রাঃ)এর পুত্র ,হযরত ফাতিমা (রাঃ)এর কলিজার টুকরা এবং জান্নাতী যুবকদের সরদার ইমাম হুসাইন (রাঃ) এবং সাথীগনসহ ৭২ জন আহলে বাইতের সদস্য ইসলামের মধ্যে যে বিকৃতি দেখা দিতে যাচ্ছিল,তার সংস্কার সাধন কল্পে বাস্তব কর্মপন্থা নিতে যেয়ে এই দশই মুহার্রাম জুমার দিনে ৬১ হিজরীতে শাহাদাৎ বরন করেন। তথ্যসূত্র--- https://shibirbd.wordpress.com/tag/%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8/

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ