চুল শুষ্ক এবং রুক্ষ।কি করলে চুল সিল্কি এবং স্ট্রেইট হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
adiladi

Call

নিয়মিত চুলের পরিচর্যা করতে থাকলে উজ্জ্বল ও সিল্কি চুল পেতে বেশী সময় লাগবে না আপনার। রুক্ষ ভাব দূর করতে চাইলে যা করতে পারেন তা হল- শ্যাম্পু নির্বাচনে সতর্ক হউনঃ প্রতিদিন শ্যাম্পু করা চুলের রুক্ষভাবের জন্য দায়ী। চুল পরিষ্কার রাখা অবশ্যই জরুরী তবে এর জন্য প্রতিদিন অথবা দিনে একের অধিকবার শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। কারণ শ্যাম্পুতে এমন কিছু ক্লিনিং এজেন্ট থাকে যা চুলের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয় ও চুলে তেলের স্বাভাবিক পরিমাণ কমিয়ে দেয় যা চুলের আদ্রতা বজায় রাখে। তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু না করে দুই দিন পর পর শ্যাম্পু করার অভ্যাস করুন । প্রত্যেকবার শ্যাম্পু দেয়ার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। লক্ষ্য রাখবেন শ্যাম্পু যেন স্কাল্পে (চুলসমেত ত্বক) লাগে। শ্যাম্পু নির্বাচনে PH এর পরিমাণ লক্ষ্য করুন। শুষ্ক চুলের জন্য শ্যাম্পু তে PH এর পরিমাণ ৪.৫-৬.৭ থাকা অনুচিত। PH এর পরিমাণ শ্যাম্পুর বোতলের পিছনে দেয়া থাকে। অনেকে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন এটা ভেবে যে বেবি শ্যাম্পু চুলের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বেবি শ্যাম্পুতে PH এর পরিমাণ থাকে অত্যধিক যা শুষ্ক চুলের জন্য খুব ক্ষতিকর। কারণ বেবি শ্যাম্পু তে ক্ষারের পরিমাণ বেশী থাকে। যেসব শ্যাম্পু অম্লীয় সেসব শ্যাম্পু শুষ্ক চুলের জন্য খুব ভালো। কন্ডিশনার নির্বাচনে সতর্ক হউনঃ এমন কন্ডিশনার বাছাই করুন যাতে এলকোহল এর পরিমাণ অল্প বা শুন্য। এলকোহল যুক্ত কন্ডিশনার চুলের রুক্ষভাব বাড়িয়ে দেয়। আপনার প্রডাক্ট এ এলকোবল আছে কি জানার না জানার জন্য বোতলের পিছনের লেবেল পড়ে দেখুন। লেবেল পড়ে যদি বুঝতে না পারেন তাহলে কন্ডিশনার এর গন্ধ শুকেও বুঝতে পারবেন এতে এলকোহল এর পরিমাণ কেমন। যেসব কন্ডিশনার এর গন্ধ মৃদু সেগুলোতে এলকোহল কম থাকে। চুল আঁচড়ানোর সময় সাবধান হউনঃ শুষ্ক চুল খুব সাবধানে আঁচড়াতে হয়। কারণ শুষ্ক চুলে খুব সহজেই জট বেঁধে যায় এই কারণে আঁচড়াতে গেলে চুলের ডগা ফেঁটে যায় ও চুল পড়ে যায়। তাই চুল আস্তে আঁচড়াবেন ও স্নান করার পর চুল ভেজা থাকা অবস্থায় চুল আস্তে আঁচড়িয়ে জট খুলে নেবেন। প্রয়োজনে চুলে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করবেন। লিভন ( Livon ) একটি কার্যকরী সিরাম। সময় পেলে চুলে বিলি কেটে নিবেন আঙ্গুল দিয়ে। এটি চুলের জন্য উপকারী। বিলি কাটলে চুলের তেলগ্রন্থি ভালো কাজ করে। গরম তেল ব্যবহার করুনঃ হেয়ার এক্সপার্টরা চুলের রুক্ষভাব দূরীকরনের জন্য হট-অয়েল ট্রিটমেন্ট এর কথা বলেন। হট- অয়েল ট্রিটমেন্ট চাইলে বাসায়ই করতে পারবেন। এর জন্য তেল হাল্কা গরম করে চুলে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর তোয়ালে গরম পানি তে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এরপর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সঠিক চিরুনী নির্বাচন করুনঃ চুল এমন চিরুনী দিয়ে আঁচড়াবেন যার ডগা নরম হবে। যেসব চিরুনীর ডগা একটু বাঁকানো সেগুলো চুল আঁচড়ানোর জন্য ভালো। ভিনেগার ব্যবহার করুনঃ ভিনেগার চুলের উজ্জ্বলতা বাঁড়াতে ও চুলের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি চুল ক্লিনসিং এর কাজ ও করে। চুল ধোয়ার সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এরপর সেই ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ভিনেগার খুশকি দূরীকরণেও সাবায্য করে। সপ্তাহে ৪ দিন ভিনেগার নিয়ে স্কাল্পে ১০ মিনিট মেসেজ করুন ও পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ডিমের ব্যবহার করুনঃ কুসুম গরম পানিতে ডিম ভালো মত ফাটিয়ে সেটি স্কাল্পে (চুল সব) লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এর পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ৩ কি ডিম, ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল ( Olive Oil ), ১ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে চুলে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।এটি ডিপ কন্ডিশনিং এর কাজ করবে। ৩০ মিনিট পর চুলে শ্যাম্পু করে ফেলুন ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

স্ট্রেইট বা সোজা চুল সবসময়ই দেখতে সুন্দর। কিন্তু সবার চুল তো আর একরকম নয়। হুটহাট কোথাও যেতে হলে স্ট্রেইট চুল যাদের আছে তাদের সবচেয়ে কম ঝামেলা পোহাতে হয়। আর যাদের চুলে অনেক ঢেউ ও কার্ল আছে তাদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তো যারা কার্লি বা কোকড়া চুল নিয়ে খুব একটা খুশি নন তারা নিচের কিছু উপায় অবলম্বন করলে নিজের চুলকে আরো সুন্দর ও স্ট্রেইট করতে পারবেন। তা-ও আয়রন/হেয়ার স্ট্রেইটনার ছাড়া! যা করবেন চুল সবসময় ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুবেন। সপ্তাবে ২/৩ বারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না। এতে চুলের উজ্জ্বলতা ও সিল্কি ভাব কমে যেতে পারে। চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যববার করবেন। খেয়াল রাখবেন কন্ডিশনার যেন স্কাল্প (Scalp) বা মাথার ত্বকে না লাগে। চুল ধুয়ে মোছার পর ভালো মানের বেয়ার সিরাম লাগাবেন। দোকানে অনেক ধরণের চুল স্ট্রেইট করার সিরাম পাওয়া যায়। পছন্দমত ব্র্যান্ড কিনে ব্যববার করুন। ভালো কিছু সিরামের ব্র্যান্ড হল- Umberto Ginnini Sleek & Chic Seriously Straight Gloss Serum, Garnier Fructis Sleek & Shine Anti frizz Serum ইত্যাদি। হেয়ার স্ট্রেইটনিং শ্যাম্পু ও ট্রিটমেন্টও ব্যবহার করুন। এই ধরণের শ্যাম্পু আপনার চুলকে স্ট্রেইট করে তুলবে না, কিন্তু এতে এমন উপকরণ আছে যা চুলের কার্ল ও ফুলে থাকা ভাব কমায়। এ ধরণের যেসব শ্যাম্পু ও ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন- Pantene Pro-V Curly Hair Curls Straightening Shampoo, EverSleek Sulfate-Free Smoothing System Intense Smoothing Shampoo, Garnier Fructis Silky Straight, Dove Smooth and soft Anti Frizz Cream ইত্যাদি। চুল যতক্ষণ বাসায় থাকবেন টাইট করে খোপা করে রাখুন। এর ফলে চুলের কোকড়া ভাব কমে যাবে। তবে এটি হতে অনেক সময় নেয়। অন্তত ৪-৫ মাস সময় লাগবে ফলাফল পেতে। শ্যাম্পু করার ১ ঘন্টা আগে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করুন। এর জন্য নারকেল তেল বা বাদাম তেল হাল্কা গরম করে মাথায় স্কাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর বাকি সময় একটি তোয়ালে গরম পানিতে চিপড়িইয়ে নিয়ে তা দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়া ঘরে থাকা কিছু উপকরণ ব্যবহার করলেও চুল ম্যানেজ করতে অনেক সুবিধা হবে আপনার। যেমন- একটি স্প্রে করার বোতল নিয়ে এতে ১/৩ কাপ দুধ ও ১/৩ কাপ পানি মেশান। শ্যাম্পু করার ২০ মিনিট আগে এই মিশ্রণ দিয়ে চুলের সব জায়গায় স্প্রে করে নিন ও চুল ভালো করে আঁচড়িয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ১ টি ডিমের কুসুমের সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার। ১ টি ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার। ১ টি কলা, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও মধু মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার সাথে সাথে ফলাফল পাবেন না অবশ্যই মনে রাখবেন। আপনার চুলে যত বেশি ঢেউ/ কার্ল আপনার চুল ম্যানেজ করতে তত সময় লাগবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

image

অনুজ্জ্বল, নিষ্প্রাণ, বিচ্ছিরি তেলতেলে চুলের সমস্যা আজকাল অনেকেরই। সেই সাথে তো চুল পড়ার সমস্যা আছেই। শত দামী দামী হেয়ার প্রোডাক্ট মেখেও যেন এই ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে না। কী করবেন? আজ আমরা নিয়ে এলাম দারুণ ঝলমলে সিল্কি চুল পাবার একটি দারুণ ফর্মুলা। এই উপায়ে মাত্র ২০ মিনিটে আপনার চুল হবে উজ্জ্বল, তাও কোন বাড়তি খরচ ছাড়াই! একই সাথে চুল পড়াও কমে হয়ে যাবে অর্ধেক! চলুন তবে জেনে নিই বিস্তারিত।

আমাদের চুল নিষ্প্রাণ, অনুজ্জ্বল ও অসুন্দর হয়ে পড়ে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে। আজকাল এই ব্যস্ত জীবনে চুলের সঠিক যত্ন করতে পারেন না প্রায় কেউই। যত্নের অভাবে চুল হয়ে পড়ে ভঙ্গুর ও প্রচুর চুল ভেঙে ঝরে পড়ে হাত বা চিরুনী লাগলে। তবে এখন থেকে আর চিন্তা নেই, কারণ আজকের এই প্রাকৃতিক চুল চর্চা আপনাকে দেবে সকল সমস্যা হতে মুক্তি। ঘরে পাকা পেঁপে আছে? ব্যস, এটাতেই চলবে!

যা লাগবে

পাকা পেঁপে চুলের পরিমাণ অনুযায়ী
টক দই ২ টেবিল চামচ (যদি থাকে)

প্রণালি

  • -পেঁপে, দই ও সামান্য পানি দিয়ে একদম মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন।
  • -চুলকে পানি দিয়ে হালকা ভিজিয়ে নিন।
  • -এই ভেজা চুলে পেঁপের মিশ্রণ মাখুন।
  • -মাথায় একটি তোয়ালে পেঁচিয়ে ২০ মিনিট রাখুন।
  • -পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
  • -সপ্তাহে ২/৩ বার করুন। এটার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

পেঁপের এনজাইম আপনার চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে ও চুল ভেঙে ঝরে পড়া রোধ করবে। ফলে কার্যত আপনার চুল পড়ার হার অনেকখানি কমে যাবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেইট কি করে করবেন ?

রিবন্ডিং হচ্ছে চুল সোজা করার কৃত্রিম ও রাসায়নিক পদ্ধতি। আজকাল কোকড়া চুল তো বটেই সোজা চুলকেও আরো সোজা করার ধুম চলছে। অনেকে আয়রন করে চুল স্ট্রেইট করেন বটে, কিন্তু চুল ধুলে বা শ্যাম্পু করলেই সোজা চুল আর থাকছে না। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে যে আধুনিক পদ্ধতি আছে তাকে বলা হয় হেয়ার রিবন্ডিং। চুল রিবন্ডিং করলে অন্তত ৬ মাস বা এক বছর চুল সোজা থাকে।

এই রিবন্ডিং সব ধরণের চুলেই করা যায়। রিবন্ডিং এর কেমিকেল চুলের প্রাকৃতিক বন্ধন ভেঙ্গে দিয়ে চুলের কোকড়া ভাব ও ঢেউ দূর করে আর চুল হয়ে উঠে সোজা, রেশমি, কোমল এবং মোলায়েম। রিবন্ডিং হল মূলত চুল সোজা করার স্থায়ী ব্যবস্থা।

এতে অনেক রকম রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় বলে চুল পড়ার ঝুঁকি থাকে,তাই রিবন্ডিং করার পরে চুলের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া এটি অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার তাই অনেকেই হয়ত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পার্লারে গিয়ে রিবন্ডিং করানোর সময় বের করে উঠতে পারেন না । তাছাড়া এতে এতো কেমিকেল ব্যবহার হয় যে তাতে চুলে বারোটা বেজে যায়। আজ আমি ঘরোয়া উপারে কি ভাবে চুল সোজা করা যায় সেই পদ্ধতি টি সেয়ার করবো।

‪#‎কি‬ কি লাগবে

৫ চামচ মুলতানি মাটি
৩ চামচ বেসন
মধু ৩ চামচ
২ টো ডিমের সাদা অংশ
১ টা বড় পাকা কলা
কেসটার ওয়েল ২ চামচ
মাঝারি মাপের বাটির ১/২ দুধ
৫ ফোঁটা Essential Oil (optional)

‪#‎আরও‬ যা যা লাগবে

> চিরুনি – তিন ধরনের চিরুনি চাই। একটি Parting or “Rat Tail” Comb অন্য টি Bristle Brush এবং মোটা দাঁতের চিরুনি

> মাস্ক লাগানোর ব্রাশ
>গোটা কয়েকটি চুলের ক্লিপ
>যে কোন ভালো ব্র্যান্ডের Hair Straightening Shampoo, Straightening Conditioner
>গরম জল ও তোয়ালে

#কি ভাবে তৈরি করবেন

প্রথমেই কলা টি মিক্সিতে নিয়ে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে হবে। একদম ক্রিমের মতো ব্লেন্ড করতে হবে। কলার কোন অংশই যেন এর মধ্যে না থাকে। এবার বাকি সব উপাদান মিশিয়ে নিতে হবে। আবার মিক্সি চালিয়ে দিন ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের জন্য। পেস্ট রেডি।

এই পেস্ট টি তৈরির সময় আমি জল ব্যবহার না করে দুধ ব্যবহার করেছি। দুধ ঠাণ্ডা হওয়া চাই। পেস্টটির একটু ফ্লাপি ও ভারি মতো হবে। জল জল হলে এটি চুলে থাকবে না। ছবি তে যে রকম দেওয়া হয়েছে ঠিক সেই রকম দেখতে হবে পেস্ট।

‪#‎লাগানোর‬ পদ্ধতি

১। আমি মাস্কটি লাগানোর আগে, চুলে শ্যাম্পু করে নিয়েছি। তবে এক্ষেত্রে আজ আমার শ্যাম্পু ভিন্ন। আজ আমি Pantene Pro-V Curly Hair Curls Straightening Shampoo ব্যবহার করেছি। বাজারে বিভিন্ন ভালো ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু রয়েছে। আপনি যে কোন একটি বাছাই করে নিতে পারেন। সাধারন শ্যাম্পু চুল রিবন্ডিং এর কোন কাজে আসে না। কারন সেই সমস্ত শ্যাম্পুর মধ্যে চুল সোজা করবার গুন থাকে না। তাই Hair Straightening শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিৎ।

যাদের চুল ড্রাই ও রুক্ষ তারা শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল লাগিয়ে নেবেন। আর যাদের চুলে তেল তেল ভাব আছে তারা লেবু রস মেখে শ্যাম্পু করবেন।
চুল স্বাভাবিক ভাবে শুকোতে দিন। ৯০% শুকিয়ে এলে বুঝতে হবে যে আপনার চুল মাস্ক টি লাগানোর জন রেডি।

২ চুল খুব ভালো করে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আলগা করে নিন। এবার Bristle Brush দিয়ে ৩ থেকে ৪ বার আবার আঁচড়ে নিন। Bristle Brush দিয়ে চুল আঁচড়ালে অনেক অনেক সোজা হয়ে যায়।

৩। এবার Parting or “Rat Tail” চুরুনি দিয়ে সরু করে চুলে কয়েকটি ভাগ করুন এবং ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন।

৪। চুলে মাস্কটি লাগানোর আগে দেখে নিন চুল শুষ্ক লাগছে কি না? যদি লাগে তাহলে খুব সামান্য তেল নিয়ে একবার চুলে হাত বুলিয়ে নিন।

৫। এবার চুলের একটা একটা পার্ট খুলে Parting চিরুনির সরু দানার দিক দিয়ে টেনে টেনে ব্রাশের সাহায্যে মাস্কটি লাগান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ