শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ক্যামরা আবিষ্কারের ইতিহাসঃ ১০২১ সালে ইরাকের এক বিজ্ঞানী ইবন-আল-হাইতাম আলোক বিজ্ঞানের ওপর সাত খণ্ডের একটি বই লিখেছিলেন আরবি ভাষায়, এর নাম ছিল কিতাব আল মানাজির। সেখান থেকে ক্যামেরার উদ্ভাবনের প্রথম সূত্রপাত। ১৫০০ শতাব্দীতে এসে চিত্রকরের একটি দল তাদের আঁকা ছবিগুলোকে একাধিক কপি করার জন্য ক্যামেরা তৈরির প্রচেষ্টা চালায়। এর ধারাবাহিকতায় ১৫৫০ সালে জিরোলামো কারদানো নামের জার্মানির একজন বিজ্ঞানী ক্যামেরাতে প্রথম লেন্স সংযোজন করেন। তখন ক্যামেরায় এই লেন্স ব্যবহার করে শুধু ছবি আঁকা হতো। তখনও আবিষ্কৃত ওই ক্যামেরা দিয়ে কোনো প্রকার ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। কারণ ওই ক্যামেরাকে সফল রূপ দিতে সময় লেগেছিল আরও অনেক বছর। ক্যামেরার ইতিহাসে একটি মাইলফলক ছিল ১৮১৪ সাল। ওই সালেই প্রথমবারের মতো আলোকচিত্র ধারণের কাজটি করেন জোসেপ নাইসপোর নিপস। তিনি পাতলা কাঠের বাক্সের মধ্যে বিটুমিন প্লেটে আলোর ব্যবহার করে ক্যামেরার কাজটি করেন। সে হিসেবে তাকেই প্রথম ক্যামেরা আবিষ্কারক বলা যায়। তার ক্যামেরা সংক্রান্ত ধারণার ওপর নির্ভর করেই ফ্রাঞ্চমেন চার্লেস এবং ভিনসেন্ট ক্যাভেলিয়ার প্রথম সফল ক্যামেরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। ১৮৪০ সালে উইলিয়াম টালবোট স্থায়ী চিত্র ধারণের জন্য নেগেটিভ ইমেজ থেকে ছবিকে পজিটিভ ইমেজে পরিবর্তন করেন। এরপরই বিশ্বব্যাপী ক্যামেরার প্রযুক্তিগত উন্নয়ন দ্রুতবেগে সম্প্রসারিত হতে থাকে। ১৮৮৫ সালে জর্জ ইস্টম্যান তার প্রথম ক্যামেরা ‘কোডাক’-এর জন্য পেপার ফিল্ম উৎপাদন করেন। বাণিজ্যিকভাবে এটাই ছিল বিক্রির জন্য তৈরি প্রথম ক্যামেরা। এর ঠিক এক বছর পরে পেপার ফিল্মের পরিবর্তে সেলুলয়েড ফিল্মের ব্যবহার চালু হয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকানো নয়। ১৯৪৮ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় পোলারয়েড ক্যামেরা, যা দ্বারা মাত্র এক মিনিটে ছবিকে নেগেটিভ ইমেজ থেকে পজিটিভ ইমেজে রূপান্তর করা সম্ভব হয়। দীর্ঘ ৭৫ বছর অ্যানালগ ক্যামেরার রাজত্ব চলার পর ১৯৭৫ সালে কোডাকের স্টিভেন স্যাসোন প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরার উদ্ভাবন করেন। এভাবেই আজ ক্যামেরা মানুষের হাতের মুঠোয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

১০২১ সালে ইরাকের এক বিজ্ঞানী ইবন-আল-হাইতাম আলোক বিজ্ঞানের ওপর সাত খণ্ডের একটি বই লিখেছিলেন আরবি ভাষায়, এর নাম ছিল কিতাব আল মানাজির। সেখান থেকে ক্যামেরার উদ্ভাবনের প্রথম সূত্রপাত। ১৫০০ শতাব্দীতে এসে চিত্রকরের একটি দল তাদের আঁকা ছবিগুলোকে একাধিক কপি করার জন্য ক্যামেরা তৈরির প্রচেষ্টা চালায়। এর ধারাবাহিকতায় ১৫৫০ সালে জিরোলামো কারদানো নামের জার্মানির একজন বিজ্ঞানী ক্যামেরাতে প্রথম লেন্স সংযোজন করেন। তখন ক্যামেরায় এই লেন্স ব্যবহার করে শুধু ছবি আঁকা হতো। তখনও আবিষ্কৃত ওই ক্যামেরা দিয়ে কোনো প্রকার ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। কারণ ওই ক্যামেরাকে সফল রূপ দিতে সময় লেগেছিল আরও অনেক বছর। ক্যামেরার ইতিহাসে একটি মাইলফলক ছিল ১৮১৪ সাল। ওই সালেই প্রথমবারের মতো আলোকচিত্র ধারণের কাজটি করেন জোসেপ নাইসপোর নিপস। তিনি পাতলা কাঠের বাক্সের মধ্যে বিটুমিন প্লেটে আলোর ব্যবহার করে ক্যামেরার কাজটি করেন। সে হিসেবে তাকেই প্রথম ক্যামেরা আবিষ্কারক বলা যায়। তার ক্যামেরা সংক্রান্ত ধারণার ওপর নির্ভর করেই ফ্রাঞ্চমেন চার্লেস এবং ভিনসেন্ট ক্যাভেলিয়ার প্রথম সফল ক্যামেরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। ১৮৪০ সালে উইলিয়াম টালবোট স্থায়ী চিত্র ধারণের জন্য নেগেটিভ ইমেজ থেকে ছবিকে পজিটিভ ইমেজে পরিবর্তন করেন। এরপরই বিশ্বব্যাপী ক্যামেরার প্রযুক্তিগত উন্নয়ন দ্রুতবেগে সম্প্রসারিত হতে থাকে। ১৮৮৫ সালে জর্জ ইস্টম্যান তার প্রথম ক্যামেরা ‘কোডাক’-এর জন্য পেপার ফিল্ম উৎপাদন করেন। বাণিজ্যিকভাবে এটাই ছিল বিক্রির জন্য তৈরি প্রথম ক্যামেরা। এর ঠিক এক বছর পরে পেপার ফিল্মের পরিবর্তে সেলুলয়েড ফিল্মের ব্যবহার চালু হয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকানো নয়। ১৯৪৮ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় পোলারয়েড ক্যামেরা, যা দ্বারা মাত্র এক মিনিটে ছবিকে নেগেটিভ ইমেজ থেকে পজিটিভ ইমেজে রূপান্তর করা সম্ভব হয়। দীর্ঘ ৭৫ বছর অ্যানালগ ক্যামেরার রাজত্ব চলার পর ১৯৭৫ সালে কোডাকের স্টিভেন স্যাসোন প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরার উদ্ভাবন করেন। এভাবেই আজ ক্যামেরা মানুষের হাতের মুঠোয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

৫ম-৪র্থ খ্রীষ্ট পূঃ চীনা ও গ্রীক দার্শনিকরাই প্রথম আলোক ও ক্যামেরা সংক্রান্ত তথ্যাবলী আবিস্কার করেন। এই ধারাবাহিকতায় Ibn al Haytham এর নামও উল্লেখ্যযোগ্য তিনি তার লিখিত কিতাব আল মাঞ্জিরে ১০১১-২১ সালে ক্যামেরা তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন। পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা বলতে আমরা Pinhole Camera- কেই বুজি। এই ক্যামেরাই আজকের আধুনিক ক্যামেরার পূর্বসূরী। কেমন ছিল pinhole camera? এটি একটি আলো নিরোধক কাঠের বাক্স, এর কোন এক পৃষ্ঠে ছোট একটি ছিদ্র হত, একটি পিন দিয়ে ছিদ্র করলে যতটুকু ছিদ্র হয় ঠিক ততটুকু, তাই এই ক্যামেরার নাম Pinhole Camera. ছিদ্র যুক্ত তলটি আলোমুখী করে তার সামনে কোন বস্তু কে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হত যেন এর ছায়া ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে বিপরিত তলে প্রতিবিম্বিত হয়। এভাবেই সেকালে Pinhole Camera দিয়ে তখনকার দিনে পাওয়া যেত কোন বস্তুর প্রতিবিম্বিত আউট লাইন। ক্যামেরা হিসাবে কখনও ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের বাক্স কখনো ঘর কখনো দেয়াল। খ্রীষ্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে চীনা দার্শনিক Mo Tsu প্রথম Pinhole Camera তত্ত্ব আবিস্কার করেন এবং সম্ভবত তিনিই প্রথম নেগেটিভ প্রতিবিম্ভ তৈরী ক রেন। চীনের আরো অনেক দার্শনিক পরে এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন বলে জ়ানা যায়। এ ব্যাপারে Tuan Chheng Shih, Yu chao Lung এর নাম উল্লেখ্য যোগ্য। গ্রীক দার্শনিকরা এ বিষয়ে যে কাজ করেছেন তার প্রমান ও আছে এ্যারিষ্টটলের ‘Problem’ নামক বিশাল গ্রন্থে। পিনহোল ক্যামেরা কে কিছুটা আধুনিক করেছেন Haytham. ইউরোপে রেনেসাস এবং রেনেসাস পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে ১৫ শ শতাব্দী পিনহোল ক্যামেরার বিষেশ উন্নতি সাধিত হয়। এর উন্নতি সাধনে লিওনার্ডো দ্য ভিঞ্চি অবদান অনস্বীকার্য। এই শিল্পীর বেশ কিছু পান্ডুলিপি আর স্কেচ আছে যেখানে তিনি পিনহোল ক্যামেরার কাজ ও গঠন প্রনালীর বর্ননা দিয়েছেন। ১৫৫০ সাল পর্যন্ত পিনহোল ক্যামেরায় কোন লেন্স ছিল না। ১৮২৭ সালে পিনহোল ক্যামেরা দিয়ে প্রথম ছবিটি তোলেন Joseph Nicephore Niepce। এর আগে কেউ কিন্তু পিনহোল ক্যামেরাকে ছবি তোলার কাজে ব্যাবহার করেননি, ব্যাবহার করছেন কোন বস্তু বা বিষয়ের সঠিক আউট লাইন পাওয়ার জন্য। নিপচেই প্রথম ছবি তুলেন, তিনি একটি ধাতুর পাতের ওপর বিটুমিন এর প্রলেপ দিয়ে প্রায় আটঘন্টা সূর্যের আলো বিকিরন করে ছবি তোলেন। পেন্সিল দিয়ে আকলে যেমন ছবি পাওয়া যায় পৃথিবীর প্রথম ছবিটি ছিল ঠিক তেমনি। কিন্তু সমস্যা একটা থেকেই যায় নেপচের ছবি তোলার কিছুক্ষন পরে মিলিয়ে যায়। নেপচের এই সমস্যা দূরীভূত করতে এ গিয়ে আসেন ফ্রান্সের Louis Daguerre. ফটগ্রাফির এই ত্রুটি দূর করতে দুজনে একসঙ্গে কাজ করা শুরু করেন। এরমধ্যে ৫ই জুলাই ১৯৩৩ সালে মারা যান নেপচে, দ্য গুরে ১৮৩৯ সালে Daguerre type নামক এক ফটোগ্রাফিক পদ্ধতি আবিস্কার করেন, যার ফলে সিলভারের প্রলেপ দেয়া কপারের পাতে তোলা ছবি মূছে যাবে না, শুধু তাইনা এই পদ্ধতিতে মাত্র কয়েক মিনিট আলোর বিকিরন করলেই হয়। এই কপারের পাতই আধুনিক ফিল্মের মডেল। ফিল্ম কিন্তু তখন ও আসেনি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ