MATS

Call

এনড্রয়েড মোবাইলের জন্য কিছু সফটওয়্যারের সম্মিলন যেটাতে অপারেটিং সিস্টেম, মিডলওয়্যার এবং এপ্লিকেশনগুলো থাকে। গুগল ইনকর্পোরেটের প্রাথমিক ডেভেলপারদের (এনড্রয়েড ইনকর্পোরেট) কিনে নেয় ২০০৫ সালে। এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কারনেলের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। গুগল এবং অন্যান্য মুক্ত হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্সের সদস্যরা এন্ড্রয়েডের উন্নয়ন এবং বাজারে উন্মুক্ত করা নিয়ন্ত্রন করে। এনড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্ট’টি (এওএসপি) এন্ড্রয়েডের রক্ষনাবেক্ষন এবং ভবিষ্য উন্নয়নের কাজ করে থাকে। এনড্রয়েড হল বিশ্বের শীর্ষ বিক্রিত স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম। এন্ড্রয়েডের অনেক উন্নয়নকারী আছে যারা এর জন্য বিভিন্ন এপ্লিকশন তৈরী করে থাকে এতে করে এই অপারেটিং সিস্টেমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন প্রায় ২০০,০০০ সংখ্যক এপ্লিকশনের উপরে বাজারে এন্ড্রয়েডের এপ্লিকেশন রয়েছে। এনড্রয়েড মার্কেট একটি এপ্লিকশন বাজার যেটা গুগল চালায়, যদিও এপ্লিকেশনগুলো বাইরের কোন থার্ড পার্টি সাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়। উন্নয়নকারীরা প্রাথমিকভাবে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে লিখে থাকে, যেটা গুগল জাভা লাইব্রেরি দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হয়। ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্সের শুরু সাথে সাথে এন্ড্রয়েডের বিতরন উন্মুক্ত করা হয় ৫ই নভেম্বর ২০০৭ সালে যেখানে ৮০টি হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং টেলিকম কোম্পানী ছিল। তাদের সকলের উদ্দেশ্য ছিল মুক্ত আদর্শ মোবাইল প্লাটফর্ম তৈরী করা। গুগল এন্ড্রয়েডের বেশিরভাগ কোড ছাড়ে এপ্যাচি এবং মুক্ত উৎসের লাইসেন্সের আওতায়। এন্ড্রয়েডের সফটওয়্যারটি জাভা এপ্লিকেশনের সমন্বয়ে গঠিত যা জাভার উপর ভিত্তি করে তৈরী করা, এটি ডেলভিক ভার্চুয়াল মেশিনে (জেআইটি কম্পাইলেশন ব্যবহার করে) জাভা কোর লাইব্রেরীতে চলে। লাইব্রেরীটি প্রোগ্রামিং ভাষা সি’তে লিখা যাতে আছে সারফেস ম্যানেজার, ওপেন কোর মিডিয়া ফ্রেমওর্য়াক, এসকিউলিট রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ওপেনজিএল ইএস ২.০ ৩য় মাত্রার গ্রাফিক্স এপিআই, ওয়েবকিট লেআউট ইন্জিন, এসজিএল গ্রাফিক্স ইন্জিন, এসএসএল এবং বাইওনিক লিবক। এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি (যাতে লিনাক্স কারনেলও আছে) প্রায় ১২ মিলিয়ন কোডিং লাইনের সমন্বয়ে তৈরী যাতে আছে প্রায় ৩ মিলিয়ন এক্সএমএল লাইন, প্রায় ২.৮ মিলিয়ন সি (প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ) লাইন, ২.১ মিলিয়ন জাভা লাইন, ১.৭৫ মিলিয়ন সি++ (প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ) লাইন। ইতিহাস এনড্রয়েড ইনকর্পোরেট প্রতিষ্ঠা হয়েছিল পালো আল্টো, ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০০৩ সালের অক্টোবরে। এটার প্রতিষ্ঠাতা এন্ডি রুবিন (ডেন্জারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা), রিচ মাইনার (ওয়াইল্ডফায়ার কমউনিকেশনস, ইনকর্পোরেটেডের সহ প্রতিষ্ঠাতা), নিক সিয়ারস (টি-মোবাইলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট) এবং ক্রিস হোয়াইট (ওয়েবটিভি’র ডিজাইন এবং ইন্টারফেস প্রধান)। যেহেতু তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ছিলেন তাই এনড্রয়েড প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম চালাত অনেকটা লুকিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে এটা বলা হত যে তারা শুধু মোবাইলের একটি সফটওয়্যারের কাজ করছে। ২০০৫ সালের আগষ্ট মাসে গুগল এনড্রয়েড কিনে নেয় এবং এটাকে এবং এর অধীনস্থদের (এন্ডি রুবিন, রিচ মাইনার এবং ক্রিস হোয়াইট) গুগল ইনকর্পোরেটের সহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কেনার সময় এনড্রয়েড সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি বিস্তারিত, কিন্তু অনেকেই ধারনা করেছিল যে গুগল মোবাইল বাজারে আসতে যাচ্ছে। গুগলে, রুবিন দ্বারা পরিচালিত দল মোবাইলের প্লাটফর্ম হিসেবে লিনাক্স কারনেল উন্নয়ন করে। গুগল এই প্লাটফর্মকে বাজার ছাড়ে হ্যান্ডসেট এবং মোবাইল সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শর্ত হিসেবে বলে যে তারা এর আপডেট বা উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে। গুগল কিছু হার্ডওয়্যার উপাদান এবং সফটওয়্যার অংশীদারের কথা উল্লেখ্য করে যা অনেক ক্ষেত্রে মুক্ত এবং এমনকি তাদের অংশেও। গুগলের কার্যক্রম দেখে অনেকেই মনে মনে ভাবতে শুরু করে গুগল মোবাইল যোগাযোগ বাজারে প্রবেশ করবে (২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে)। বিবিসি এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল উল্লেখ্য করে গুগল তাদের সার্চ ইন্জিন এবং এপ্লিকেশন মোবাইল ফোনে চালাতে চায় এবং তারা তা করার জন্য কাজ করছে। অনলাইন এবং কাগজে গুজব ছড়াতে থাকে যে গুগল তাদের নিজস্ব ব্যান্ডের হ্যান্ডসেট তৈরী করছে। কেউ কেউ মতামত দেয় যে যেহেতু গুগল কারিগরী দিকগুলোর কথা বলছে সেহেতু এটা মোবাইল ফোনের নমুনা উৎপাদক এবং নেটওর্য়াক অপারেটরদের দেখাচ্ছে। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, ইনফরমেশন উইক প্রকাশ করে যে গুগল কিছু মোবাইল এপ্লিকেশনকে প্যাটেন্ট করে নিয়েছে। ৫ই নভেম্বর, ২০০৭ সালে ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্স সূচনা করে যাতে ছিল ব্রডকম কর্পোরেশন, গুগল, এইচটিসি, ইন্টেল, এলজি, মার্ভেল টেকনোলজি গ্রুপ, মটোরোলা, এনভিডিয়া, কোয়ালকম, স্যামস্যাঙ ইলেক্ট্রনিকস, স্প্রিন্ট নেক্সটেল, টি- মোবাইল এবং টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট। ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্সের উদ্দেশ্য হল মুক্ত ধরনের মোবাইল হ্যান্ডসেট প্লাটফর্ম তৈরী করা। একই দিনে, ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্স তাদের প্রথম পন্য এনড্রয়েড ছাড়ে যা লিনাক্স কারনেল ২.৬ এর উপর ভিত্তি করে তৈরী। ৯ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে, আরো ১৪ নতুন সদস্য যোগ দেয় যাতে ছিল এআরএম হোল্ডিংস, এথিরস কমিউনিকেশনস, আসুসটেক কম্পিউটার ইনকর্পোরেট, জারমিন লিমিটেড, হাওয়াই টেকনোলজিস, প্যাকেটভিডিও, সফটব্যাংক, সনি এরিকসন, তোসিবা কর্পোরেশন এবং ভোডাফোন গ্রুপ। এনড্রয়েড পাওয়া যেত ওপেন সোর্স লাইসেন্সের আওতায় ২১শে অক্টোবর ২০০৮ সাল পযর্ন্ত। এরপর গুগল তাদের পুরো সোর্স কোড ছাড়ে এপ্যাচি লাইসেন্সের আওতায়। গুগল তাদের প্রকাশিত কোডগুলোকে উন্মুক্ত করে সবার দেখার এবং মন্তব্য করার সুযোগ দেয়। যদিও সফওয়্যারটি উন্মুক্ত, তবুও মোবাইল প্রস্ততকারকরা এনড্রয়েড ব্যবহার করতে পারবে না কারণ গুগলের ট্রেডমার্ক করা অপারেটিং সিস্টেমের কপি গুগল সার্টিফিকেট প্রদান করার আগ পযর্ন্ত কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। এন্ড্রয়েডের আসল ভার্সনের প্রকাশের পূর্বে বেশ কিছু আপডেট দেখা যায়। এইসব আপডেটগুলো মূল অপারেটিং সিস্টেমে চলা আগে পরিক্ষামূলক দেখা হচ্ছিল যেখানে বিভিন্ন বাগ (সফটওয়্যারের ভুল) ঠিক করা হয় এবং নতুন ফিচার যোগ করা হয়। সাধারণত, নতুন প্রত্যেকটি ভার্সনের কোড নাম থাকে এর উল্লেখ্যযোগ্য পরিবর্তন এবং বাগ ঠিক করার উপর। আগের আপডেটগুলোর মধ্যে আছে কাপকেক এবং ডোনাট। কোড নামগুলো আবার বর্ণানুক্রিমভাবে সাজানো যেমন কাপকেক, ডোনাট, এক্লিয়ার, ফ্রোয়ো, জিন্জারব্রেড, হানিকম্ব এবং আসছে আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ। সাম্প্রতিক কিছু ভার্সনের ইতিহাস: ২.০/২.১ (এক্লিয়ার) যেটাতে নতুন ধরনের ইউজার ইন্টাফেস, এইচটিএমএল৫ এবং এক্সচেন্জ একটিভসিনক্রনাইজেশন ২.৫ আছে। ২.২ (ফ্রোয়ো), এই ভার্সনে দ্রুত গতির জেআইটি কার্যক্ষমতা, ক্রোম ভি৮ জাভাস্ক্রিপ্ট ইন্জিন, এডোবি ফ্ল্যাশ সাপোর্ট এবং ওয়াই-ফাই হটস্পট তিথারিং যোগ করা হয়। ২.৩ (জিন্জারব্রেড), ইউজার ইন্টারফেস আরো উন্নত, সফট কিবোর্ড উন্নতি এবং কপি পেষ্ট করার সুবিধা এবং নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশনের সুবিধা। ৩.০/৩.১ (হানিকম্ব),ট্যাবলেট ভিত্তিক যেটা বড় পর্দার মোবাইলগুলো সাপোর্ট করে, নতুন বুদ্ধিদীপ্ত ইউজার ইন্টারফেস সুবিধা, মাল্টিকোর প্রসেসর সুবিধা, হার্ডওয়্যার গ্রাফিক্স একসিলারেশন সুবিধা প্রভৃতি। হানিকম্বের এসডিকে ছাড়া হয়েছে এবং এই অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম মোবাইল মটোরোলা এক্সউম বাজারে ছাড়া হয় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। গুগল এই ভার্সনের সোর্স কোড ছাড়েনি। এতে করে মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এন্ডি রুবিন বলেন যে যখন এটি উপযোগী হবে তখন ছাড়া হবে। দেরির কারণ হিসেবে তিনি আরো বলেন (গুগলের একটি অফিসিয়াল ব্লগে), মটোরোলার এক্সউম খুব তাড়াতাড়িই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শেষে হানিকম্বের সোর্স কোড পরে ছাড়া হবে বলে নিশ্চিত করে গুগল সাথে এও বলা হয় যে জিন্জারব্রেড এবং আইস ক্রিম স্যান্ডউইচের সাথে সমন্বয় করে এটা ছাড়া হবে। হানিকম্বের ৩.১ আপডেট ছাড়া হয় ১০ই মে, ২০১১ সালে। আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ (এখনো ছাড়া হয়নি), এটি জিন্জারব্রেড এবং হানিকম্বের সমন্বয়ে তৈরী একটি অপারেটিং সিস্টেম যাকে কোহেসিভ হোল (cohesive whole) বলা হচ্ছে। ২০১১ সালের ১০ই মে ঘোষনা করা হয় এটি ২০১১ সালের চতুর্থ কোয়ার্টারে ছাড়া হবে। বর্তমানে যেসব বৈশিষ্ট্য আছেঃ এনড্রয়েডের হোম স্ক্রীন (v১.৫) এনড্রয়েড সিস্টেমের হার্ডওয়্যার নকশা হ্যান্ডসেট ডিসপ্লে: এটি বড়, ভিজিএ, ২য় মাত্রার গ্রাফিক্স লাইব্রেরী, ৩য় মাত্রার গ্রাফিক্স লাইব্রেরী (ওপেনজিএল ইএস ২.০ উপর ভিত্তি চলে) এবং আগের স্মার্টফোনগুলোর প্রচলিত ডিসপ্লে নকশা সাপোর্ট করে। সংরক্ষণ: এসকিউলিট, একটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী রিলেশনাল ডেটাবেজ সিস্টেম, ব্যবহৃত হয় তথ্য জমা রাখার কাজে। সংযোগ: এনড্রয়েড যেসব সংযোগ বা যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রযুক্তি সাপোর্ট করে সেগুলো হল জিএসএম/ইডিজিই, আইডিইএন, সিডিএমএ, ইভি-ডিও, ইউএমটিএস, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই (প্রক্সি সার্ভার দিয়ে কোন সংযোগ নেইএবং এড হক ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক নেই), এলটিই, এনএফসি এবং ওয়াইম্যাক্স। বার্তা প্রেরণ ব্যবস্থা: এসএমএস এবং এমএমএস দুটোই সাপোর্ট করে, যাতে থ্রেড টেক্সট মেসেজিং এবং এখন এনড্রয়েড ক্লাউড টু ডিভাইস মেসেজিং ফ্রেমওয়ার্কও (সি২ডিএম) রয়েছে এবং এটি পুশ মেসেজিং সিস্টেমের একটি অংশ। একাধিক ভাষা: এনড্রয়েড একাধিক ভাষা সাপোর্ট করে। এনড্রয়েড জিন্জারব্রেড ২.৩ তে এর সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে। এনড্রয়েড ফন্ট রেন্ডারিং করতে পারে না অফিসিয়াল ঘোষনা দেয়ার পরেও যেমন হিন্দি ভাষা। ওয়েব ব্রাউজার: এনড্রয়েডে যে ওয়েব ব্রাউজার আছে সেটা মুক্ত ওয়েবকিট ভিত্তিক নকশায় তৈরী, এতে আবার গুগলের ক্রোম ভি৮ জাভাস্ক্রীপ্টও রয়েছে। ব্রাউজারটি ১০০ তে ৯৩ স্কোর করেছে এসিড৩ টেস্ট। জাভা সাপোর্ট: এনড্রয়েডের বেশিরভাগ এপ্লিকেশন লিখা হয়েছে জাভা দিয়ে কিন্তু জাভা ভার্চুয়াল মেশিন প্লাটফর্ম নেই এটাতে এতে করে জাভা বাইট কোড এক্সিকউট করা যায় না। জাভা ক্লাসগুলো ডেলভিক এক্সিকউটেবলে কম্পাইল (রূপান্তর) করে ডেলভিক ভার্চুয়াল মেশিনে চলে। ডেলভিক হল বিশেষ ভার্চুয়াল মেশিন যেটা নকশা করা হয়েছে বিশেষভাবে এনড্রয়েডের জন্য যাতে সেটা ব্যটারির কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করে মোবাইল চালাতে পারে। এতে মেমোরি এবং সিপিইউ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। জে২এমই ব্যবহার করা যাবে থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন ব্যবহার করে। যেসব মাধ্যম সাপোর্ট করে এনড্রয়েড যেসব অডিও/ভিডিও/স্থির মাধ্যম সাপোর্ট করে তা হলঃ ওয়েবএম, এইচ.২৬৩, এইচ.২৬৪ ( থ্রীজিপি অথবা এমপিফোর কন্টেইনারে), এমপিইজি-৪ এসপি, এএমআর, এএমআর-ডব্লিউবি (থ্রীজিপি কন্টেইনারে), এএসি, এইচই- এএসি (এমপি৪ অথবা থ্রীজিপি কন্টেইনারে), এমপিথ্রী, এমআইডিআই, ওজিজি ভোর্ভিস, এফএলএসি, ডব্লিউএভি, জেপিইজি, পিএনজি, জিআইএফ (যদিও আগের ভার্সনগুলো জিআইএফ সাপোর্ট করত না।, BMP. যেসব স্ট্রীম মাধ্যম সাপোর্ট করে আরটিপি/আরটিএসপি স্ট্রীমিং (থ্রীজিপিপি পিএসএস, আইএসএমএ), এইচটিএমএল প্রোগ্রেসিভ ডাউনলোড (এইচটিএমএল৫)। এডোবি ফ্ল্যাশ স্ট্রিমিং (আরটিএমপি) এবং এইচটিটিপি ডাইনামিক স্ট্রিমিং যেটা ফ্ল্যাশ দ্বারা চলে। এ্যপল এইচটিটিপি লাইভ স্ট্রীমিং রিয়েলপ্লেয়ার ফর মোবাইল, এবং অপারেটিং সিস্টেম ৩.০ (হানিকম্ব) দিয়ে সাপোর্ট করে. বাড়তি হার্ডওয়্যার সাপোর্ট এনড্রয়েড ভিডিও/স্থিরচিত্রের ক্যামেরা, টাচস্ক্রীন, জিপিএস, একসিলেরোমিটার, জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, গেমিং কন্ট্রোল, প্রক্সিমিটি এবং প্রেসার সেন্সর, থার্মোমিটার, একসিলারেটেড ২ডি বিট ব্লিট, এবং একসিলারেটেড ৩ডি গ্রাফিক্স সাপোর্ট করে। একাধিক-টাচ এনড্রয়েড একাধিক টাচ (একই সময়ে) সাপোর্ট করে। এটি প্রথম যেসব হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা হয় তার একটি হল এইচটিসি হিরো. এই বৈশিষ্ট্যটিকে বন্ধ করে দেয়া হয় কারনেল লেভেল থেকে (সম্ভাবনা হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে সেইসময়ে এ্যপলের প্যাটেন্ট করা টাচ- স্ক্রীন প্রযুক্তির বিধান যাতে লঙ্গন না হয় সে কারনে). সম্প্রতি কিছু হ্যান্ডসেটে এটি আবার দেখা যায় যেমন নেক্সাস ওয়ান এবং মটোরোলা ড্রয়েড। ব্লুটুথ এটি এ২ডিপি, এভিসিআরপি, ওপিপি, পিবিএপি, ভয়েস ডায়ালিং এবং কন্টাক্ট বিনিময়। কিবোর্ড মাউস এবং জয়স্টিক সাপোর্টও দিয়ে থাকে (উৎপাদনকারী যদি দিয়ে থাকে অথবা থার্ড পার্টির কাছ থেকে) এবং এনড্রয়েড ৩.০ (হানিকম্ব) এইচআইডি পুরোপুরি সাপোর্ট দেবে। ভিডিও কলিং এনড্রয়েড ভিডিও কল সাপোর্ট করে না কিন্তু কিছু হ্যান্ডসেটে যদি কাষ্টমাইড করা অপারেটিং সিস্টেম থাকে তবে সেটা সাপোর্ট করতে পারে। যেমন স্যামস্যাঙ গ্যালাক্সি এস অথবা গুগল টক দিয়ে (এনড্রয়েড ২·৩·৪) একাধিক কাজ মাল্টিটাস্কিকিংয়ের জন্য বিভিন্ন এপ্লিকেশন রয়েছে। ভয়েস ভিত্তিক বৈশিষ্ট্য প্রথম থেকেই ভয়েস দিয়ে গুগল সার্চ চালু রয়েছে। ভয়েস দিয়ে কল, টেক্সট লেখা, নেভিগেশন করার সুবিধা রয়েছে এনড্রয়েড ২.২ থেকে পরবর্তী ভার্সনগুলোতে তিথারিং এনড্রয়েড তিথারিং সাপোর্ট করে, যা দিয়ে ফোনকে ওয়্যারলেস হটস্পট করা যায়। এনড্রয়েড ২.২'র আগের ভার্সনগুলোতে এটি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার দিয়ে সাপোর্ট করা যায়। এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন স্মার্টফোন, নেটবুক, টেবলেট, গুগল টিভি এবং অন্যান্য যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়। এনড্রয়েডের মূল প্লাটফর্ম হল এআরএম আর্কিটেকচার। যেখানে এক্স৮৬ সাপোর্ট পাওয়া যায় এনড্রয়েড এক্স৮৬ প্রজেক্ট থেকে এবং গুগল টিভি এনড্রয়েডের এক্স৮৬ ব্যবহার করে। প্রথম বানিজ্যিক এনড্রয়েড ফোন ছিল এইচটিসি ড্রিম, যেটা ২২শে অক্টোবর ২০০৮ সালে বাজারে আসে। ২০১০ সালের শুরুর দিকে আধিপত্য বিস্তারে গুগল এইচটিসির সাথে একসাথে কাজ করে নেক্সাস ওয়ান বাজারে ছাড়ে। এরই ধারায় স্যামস্যাঙ তৈরী করে নেক্সাস এস । একটি জেইলব্রোকেন বা লক ভাঙ্গা আইফোন অথবা আইপড টাচে আইওএস (এ্যপল আইফোন অপারেটিং সিস্টেম) এবং এনড্রয়েড ২·৩·৩ জিন্জারব্রেড একসাথে চলতে পারে দ্বৈত বুটের মাধ্যমে। দ্বৈত বুটের জন্য ওপেনআইবুট এবং আইড্রয়েডের সাহায্য প্রয়োজন। মূল নিবন্ধ: এনড্রয়েড চালিত মোবাইলের তালিকা Galaxy Nexus, the latest "Google phone" Google TV Home Screen যদিও এনড্রয়েড তৈরী করা হয়েছিল স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলোর জন্য তবুও এর পরিবর্তনসক্ষমতা ও মুক্ত ব্যবহার বৈশিষ্ট্যের কারনে অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে যেমন ল্যাপটপ, নেটবুক, স্মার্টবুক এবং ইবুক রিডার [] প্রভৃতি। আরো জানা যায়, গুগল তাদের এনড্রয়েডকে টেলিভিশনে আনতে আগ্রহী গুগল টিভির মাধ্যমে। এছাড়াও এই অপারেটিং সিস্টেমটি হাতঘড়ি, হেডফোন, গাড়ির সিডি এবং ডিভিডি প্লেয়ার, ডিজিটাল ক্যামেরা, বহনযোগ্য মিডিয়া প্লেয়ার এবং ল্যান্ড লাইনগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এনড্রয়েড মার্কেট হল এনড্রয়েড মোবাইলগুলোর সফটওয়্যার বাজার। এনড্রয়েড ফোনগুলোতে আগে থেকেই "মার্কেট" নামে একটি এপ্লিকেশন থাকে যা ব্যবহারকারীদের সফটওয়্যার ব্রাউজ এবং ডাউনলোড করার সুযোগ দেয়। এতে থার্ড পার্টিরাও সফটওয়্যার তৈরী করে এবং মার্কেট সেগুলোর পক্ষে বাজারজাত করে। ২০১০ সালে ডিসেম্বর অনুযায়ী, এনড্রয়েড মার্কেটে গেমস, এপ্লিকেশন এবং উইডগেট মিলিয়ে এপ্লিকেশনের সংখ্যা প্রায় ২,০০,০০০'র বেশি। ২০১১ সালের এপ্রিলে গুগল জানায় যে প্রায় ৩ বিলিয়ন এনড্রয়েড এপ্লিকেশন ইন্সটল করা হয়েছে। গুগলের ক্লোজ-সোর্সের সাথে খাপ খায় এমন মোবাইলগুলোই শুধু এনড্রয়েড মার্কেট এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারে । মার্কেট ব্যবহারকারীর মোবাইলের সাথে চলবে এমন সফটওয়্যারগুলো প্রকাশ করে। এবং যারা এপ্লিকেশন বানান তারাও কিছু কিছু দেশ বা মহাদেশে তাদের এপ্লিকেশন না চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে (ব্যবসায়িক সীমাবদ্ধতার কারনে) এর মাধ্যমে সেটা ঠিক করা হয়। ব্যবহারকারীরা সরাসরি এপ্লিকেশন ইন্সটল করতে পারে এপিকে ফাইল ব্যবহার করে অথবা বিকল্প কোন মার্কেট থেকে। এ্যপলের মত, গুগল তাদের এনড্রয়েড এপ্লিকেশন বাজার ধরে রাখেনি বরং তারা স্বাধীনভাবে এপ্লিকেশন বাজার করতে দিয়েছে অন্যদেরকে। গুগলও এনড্রয়েড মার্কেটে যোগ দিয়েছে তাদের সেবার বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরী করে। এগুলোর মধ্যে আছে গুগল ভয়েস যেটি গুগল ভয়েস সেবার জন্য তৈরী, তারা দেখার জন্য "স্কাই ম্যাপ", আর্থিক সেবাদির জন্য "ফিন্যান্স", মাইম্যাপ সেবার জন্য ম্যাপ এডিটর, স্থানীয় সেবার জন্য "প্লেসেস ডিরেক্টরি", ছবি দিয়ে খোজার জন্য "গুগল গগলস", ফোনের মধ্যকার বিষয়াদি খোজার জন্য "জেস্টার সার্চ", অনুবাদের জন্য "গুগল ট্রান্সলেট", কেনাকাটার জন্য "গুগল শপার", এছাড়াও "মাই ট্রেকস" এবং "লিসেন ফর পডকাস্টস" তাদের আরো দুটি এপ্লিকেশন। ২০১০ সালের আগষ্টে, গুগল শুরু করে "ভয়েস একশনস ফর এনড্রয়েড" যেটি ব্যবহারকারীদের সার্চ বা খোজা, বার্তা লিখা এবং কল শুরু করার জন্য ভয়েস বা কন্ঠ ব্যবহার করে। এপ্লিকেশনগুলো সাধারণত তৈরী করা হয় জাভা ভাষায়, এনড্রয়েড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট ব্যবহার করে। কিন্তু অন্যান্য আরো টুলস যেমন নেটিভ ডেভেলপমেন্ট কিট এবং গুগল এপ ইনভেন্টরও ব্যবহার করা হয়। এনড্রয়েডের লোগো এনড্রয়েড লোগোটি নকশা করা হয় ড্রয়েড ফন্ট তৈরী করার সময় এসচেন্ডার কর্পোরেশন কতৃক। সবুজ রংটি এনড্রয়েড রোবটকে নির্দেশ করছে যা এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। এর প্রিন্ট রং হল পিএমএস ৩৭৬সি এবং আরজিবি রং হেক্সাডেসিমেলে #A4C639, যেটি গুগলের ব্রান্ড গাইডলাইনে বলা আছে। এটির ভিন্ন ব্যবহারের সময় এটিকে নোরাড বলা হয়। এটি শুধু মাত্র টেক্সট বা লেখার লোগোতে ব্যবহার করা হয়। গবেষনা কোম্পানী "ক্যনালিস" হিসাব করে যে ২০০৯ সালে কোয়ার্টার দুইয়ে এনড্রয়েড বিশ্ব স্মার্টফোন বাজারের ২.৮% অংশ আছে। ২০১০ সালে কোয়ার্টার চারে পুরো বাজারে তা দাড়ায় ৩৩%, যেটা শীর্ষ স্মার্টফোন বিক্রেতায় পরিণত করে তাদের। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, "কমস্কোর" বলে যে এনড্রয়েড স্মার্টফোন ইউএস বাজরের ৯% দখল করেছে (তখনকার মোবাইল ফোন সাবস্ক্রাইবারদের হিসাব করে)। এটি ২০০৯ সালের নভেম্বরে ছিল ৫·২%। ২০১০ সালের কোয়ার্টার তিনের শেষের দিকে এটি দাড়ায় ২১·৪% এ। ২০১০ সালের মে মাসে, ইউএসে এনড্রয়েডের প্রথম কোয়ার্টার বিক্রয়ে প্রতিদ্বন্ধি কোম্পানি আইফোনকে অতিক্রম করে। এনপিডি গ্রুপের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এনড্রয়েড ২৫% বাজার অজর্ন করেছে ইউএসে, যেখানে প্রায় ৮% ই ছিল ডিসেম্বরের কোয়াটারে। দ্বিতীয় কোয়াটারে, এ্যপলের আইফোন অপারেটিং সিস্টেম ১১% বেড়ে যায় এতে বুঝা যায় যে এনড্রয়েড আসলে আরআইএমের (ব্ল্যাকবেরি মোবাইল প্রস্তুতকারক) কাছ থেকেই বাজার দখল করছিল এবং তাদেরকে এখনো প্রচুর প্রতিযোগিতা করতে হবে বিভিন্ন সেবাদাতাদের নতুন নতুন সেবার বিরুদ্ধে এবং ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করেতে। বিশ্লেষকরা আরো বলেন যে, এনড্রয়েডের একটি সুবিধা হল এটি মাল্টি- চ্যানেল, মাল্টি-ক্যারিয়ার ওএস, যেটা তাদেরকে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ মোবাইলের মত সাফল্য পেতে সহায়তা করবে। ২০১১ সালের মে মাসে গুগল বলে যে, প্রতিদিনই ৪,০০,০০০ নতুন এনড্রয়েড মোবাইল সচল হচ্ছে যেখানে সেটি প্রতিদিন ১,০০,০০০ ছিল ২০১০ সালের মে'তে এবং প্রায় ১০০ মিলিয়ন মোবাইল সচল করা হয়েছে। বিভিন্ন ভার্সনের ব্যবহার, পহেলা নভেম্বর, ২০১২ অনুযায়ী। ভার্সন কোড নাম মুক্তির তারিখ এপিআই লেভেল বন্টন ৪.৪ কিটকাট ৩ই সেপ্টেম্বর,২০১৩ ১৯ ০% 4.3 জেলি বিন ২৪শে জুলাই, ২০১৩ ১৮ ০% ৪.২.x জেলি বিন ১৩ই নভেম্বর, ২০১২ ১৭ ৪.১.x জেলি বিন ৯ই জুলাই, ২০১২ ১৬ ২.৭% ৪.০.৩ - ৪.০.৪ আইস ক্রীম স্যান্ডউইচ ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১১ ১৫ ২৫.৮% ৩.২ হানিকম্ব ১৫ই জুলাই, ২০১১ ১৩ ১.৪% ৩.১ হানিকম্ব ১০ই মে, ২০১১ ১২ ০.৪% ২.৩.৩-২.৩.৭ জিনজারব্রেড ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ১০ ৫৩.৯% ২.৩-২.৩.২ জিনজারব্রেড ৬ই ডিসেম্বর, ২০১০ ৯ ০.৩% ২.২ ফ্রোয়ো ২০শে মে, ২০১০ ৮ ১২.০% ২.০-২.১ ইক্লেয়ার ২৬শে অক্টোবর, ২০০৯ ৭ ৩.১% ১.৬ ডোনাট ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ৪ ০.৩% ১.৫ কাপকেক ৩০শে এপ্রিল, ২০০৯ ৩ ০.১% আরো দুটি ভার্সন অভ্যন্তরীনভাবে ছাড়া হয়েছিল এরা "এসট্রো" এবং "বেন্ডার" নামে পরিচিত। এই নামগুলোও বর্নানুক্রমিক।

Talk Doctor Online in Bissoy App