যে‌হেতু কোরা‌নে বলা অা‌ছে প্র‌ত্যেক নেশা হারাম সে‌হেতু নেশা কা‌কে ব‌লে এ বিষ‌য়ে শিক্ষা গ্রহন অ‌ধিক গুরুত্বপূর্ন । নেশা তো একটা সুতা বা কোন প্রানীর প্র‌তিও হ‌তে পা‌রে ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যা পান বা গ্রহন করলে, মস্তিষ্ক বিকৃত হয় সেটাই নেশা । হাদিস শরীফের ঘোষনায় নেশা ও মাদক সম্পূর্নরুপে হারাম, সে যে নামের হোক, আর যেভাবেই তা গ্রহন করা হোক। আরো ইরশাদ হয়েছে-“ সকল নেশাসৃষ্টিকারী দ্রব্য হারাম”। এটি একটি ‘মুতাওয়াতির’ হাদিস। মুহাদ্দিসগনের পরিভাষায় ‘মুতাওয়াতির’ ঐ সকল হাদিসকে বলে, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত, যা এত সংখ্যক রাবীর সূত্রে বর্নিত যে, এতে কোনো প্রকার সন্দেহের সংশয়ের অবকাশ থাকে না। বিখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহ. (৮৫২ হি.) বলেন, এ মর্মের হাদীস একত্রিশজন সাহাবী থেকে বর্নিত হয়েছে। (দ্র. ফতহুল বারী ৩/৭৩)। এক হাদীসে আছে, মাদকের উপর অভিশাপ; মাদক পানকারীর উপর অভিশাপ,পরিবেশনকারীর উপর অভিশাপ,বিক্রয়কারীর উপর অভিশাপ, ক্রয়কারীর উপর অভিশাপ; যে মাদক নিংড়ায় তার উপর অভিশাপ, বহনকারীর উপর অভিশাপ,যার কাছে বহন করে নেওয়া হয় তার উপর অভিশাপ; আর যে মাদক বিক্রয়লদ্ধ অর্থ ভোগ করে তার উপর অভিশাপ। {সুনানে আবু দাউদ হাদিস ৩৬৭৬; জামে তিরমিযী হাদিস: ১২৯৫। এককথায় মাদক এমনই খবিশ বস্তু যে, উৎপাদন, বিপণন, পরিবেশন ও গ্রহনের যে কোনো প্রান্তে এর সাথে সংশ্লিষ্ট থাকা আল্লাহ ও তার রাসূলের অভিশাপ এর কারন। আর এ-তো বলাই বাহুল্য যে, আল্লাহ ও তার রাসূলের অভিশাপ যার উপর তার জীবন কখনো শান্তির হতে পারে না। মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা তো নিষিদ্ধই, যে মজলিসে মদপান করা হয় ঐ মজলিসে উপস্থিত থাকাও নিষিদ্ধ। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “যে আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে সে যেন ঐ দস্তরখানায় না বসে যাতে মদ পান করা হয়”। দারিমী ২/১৫৩, হাদিস ২০৯২, মুসতাদরাকে হাকিম ৪/১৪৩ (৭০৭১)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ