আমার বাসে উঠলে বমি হয়, এমন কোন ঔষধ আছে কি যা খেলে বাসে উঠলে আর বমি হবে না, থাকলে বলেন,
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
AbdulHalim

Call

বাসে উঠলে বা লং জার্নি করলে অনেকেরইবমি হয় । একে বলা হয় মোশন সিকনেস ।‘মোশন সিকনেস’ ভ্রমনের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা ‘মোশন সিকনেস’ মূলত মস্তিকের এক ধরনের সমস্যা। বিশেষ করে বাস, প্রাইভেটকার বা এ জাতীয় অন্যবাহন গুলিতে এ সমস্যা হয়। শরীরেরঅন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন গাড়ীতে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। কিন্তুু চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ীরসিটগুলো তো স্থির।চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার ফলে তৈরী হয় ্তুমোশন সিকনেস’। মোশন সিকনেস এ বমির ভাব হয় বেশি। সেই সাথে মাথা ঘোরা, মাথা ধরা প্রভৃতি থাকে। মোশন সিকনেস থেকে বাঁচার উপায় হলো, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকা। এ সময় লম্বা লম্বা শ্বাস নিতে হবে, হতে পারে মেডিটেশনও। প্রয়োজন হলে চোখ বুজে থাকুন। এ সময় বই পড়বেননা বা স্থির কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। আদা চিবাতে পারেন। মোশন সিকনেসে কাজে দেবে। ভ্রমনে যাদের বেশী সমস্যা হয় তারা গাড়ীতে ওঠার আধঘন্টা আগে ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন।গাড়ির ভেতরে দৃষ্টি নিবদ্ধ না রেখে যত দূর সামনে দৃষ্টি যায়, তাকিয়ে থাকুন। আপনার অন্তঃকর্ণ ও চোখ তখন একই সিগন্যাল পাঠাবে মস্তিষ্কে যে গাড়ি চলছে, আপনিও চলছেন। সমস্যা হওয়ার কথা নয় তখন। জানালার কাছে সিট নিন। জানালাটা খুলে দিন। খোলা বাতাসে মন-প্রাণ থাকবে চনমন।হালকাভাবে দু'চোখ বন্ধ রাখুন। অথবা একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নিয়ে আসুন। তবে চলার পথে না ঘুমানোই উত্তম।গাড়ি চলছে। চলন্ত গাড়িতে বই বা পত্রিকা পড়া থেকে বিরত থাকুন। বই বা পত্রিকা পড়লে দৃষ্টি স্থির থাকবে গাড়ির ভেতরে, পড়ার পাতায়। তখন আবার ঘটবে বিপত্তি।গাড়িতে আড়াআড়ি বা যেদিক গাড়িচলছে সেদিক পেছন দিয়ে বসবেন না।যাত্রা শুরুর একটু আগে ভরপেটখাবেন না বা পান করবেন না। কিছু ওষুধ আগে, যেগুলো বমি বন্ধ করতে পারে যেমন_ ওনাসেরন সিনারন, মেক্লাইজিন ক্লোরফেনাইরামিন ইত্যাদি ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করতে পারেন। আদা কিংবা চুইংগাম চিবানোতেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ