অর্শ্ব বা পাইলস এর লক্ষণ ও উপসর্গগুলো: ১। মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত, ২। পায়ুপথ চুলকানো অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া ব্যথা, ৩। পায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা ও ব্যথা লাগা, ৪। পায়ুপথের মুখে চাকা অনুভব করা ও ব্যথা লাগা। করণীয়: উপরোক্ত লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়ামাত্র যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কোথায় চিকিৎসা করাবেন: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে: ১। ডিজিটাল রেক্টাল এক্সামিন (Digital Rectal Examine) করা হয়। এতে সম্পূর্ণ মলনালীর পরীক্ষা করা হয়। ২। কলানোস্কোপী (Colonoscopy)। এটি প্রয়োজনবোধে করা হয়। কি ধরণের চিকিৎসা আছে: পাইলসের নানা রকম চিকিৎসা আছে। যেমন: ঔষধ ব্যবহার, মিনিমাল ইনভেসিভ চিকিৎসা (Minimal Invasive Procedures), শল্য চিকিৎসা, নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন পদ্ধতি, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে নিয়মিত মলম বা ক্রিম লাগানো, পায়ুপথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, ফোলা কমানোর জন্য আক্রান্ত স্থানে বরফ ঘষতে হবে, ব্যথা কমানোর জন্য ডাক্তারের পরমর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে। পাইলস কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়: ১। উচ্চ আশঁযুক্ত খাবার, ফলমূল এবং শাক-সবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে, ২। প্রতি দিন ৬-৮ গ্লাস পানি এবং তরল জাতীয় দ্রব্য পান করতে হবে, ৩। মলত্যাগের সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হলে বেশি চাপ প্রয়োগ করা যাবে না, ৪। পায়খানা চেপে রাখা যাবে না