সালাম নিবেন। এখন থেকে ১৫০০ বছর আগে রাষ্ট্র-ব্যবস্থা চিল না। শক্তিই ছিল সব। কাজেই আপনি যে মতবাদই প্রতিষ্টা করতে যাবেন, শক্তি আপনার লাগবে। কাজেই তখন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে শক্তি লেগেছিল। ইসলাম শান্তির ধর্ম, এই অর্থে যে, যদি কোথাও ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে সেখানে শান্তি আসবে। কিন্তু এখন বিশ্বে চাইলেও কেউ কারো দেশ/জায়গা দখলে রাখতে পারছে না, দু''একটা ব্যাতিক্রম ছাড়া। কাজেই এখন জিহাদ গনতান্ত্রিক পর্যায়ে চলে গেছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে এই গনতান্ত্রিক পরিবেশেই হয়তো ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে। হলে সেখানের সামাজিক অস্থিরতা দূর হবে। যেমন লিভ টুগেদার, ডির্ভোস, জারজ সন্তান ইত্যাদি এদের সামাজিক জীবনকে শেষ করে দিয়েছে। মৃত্যুর পরবর্তী জীবন, পশ্চিমাদের আরও দ্রুত ইসলামের দিকে এনেছে। পরকাল সম্পর্কিত পরিপূর্ন দিক নির্দেশনা একমাত্র ইসলামেই আছে। ধন্যবাদ।
জিহাদ-
এই একটাই শব্দ যা অমুসলিমদের ভয়ের কারণ। তারা মনে করে জিহাদ মানে যুদ্ধ। আচ্ছা মুসলিম অমুসলিম ভাইয়েরা আপনারা কি জানেন জিহাদ মানে কি? কিছু মুসলমান অবশ্য এর সঠিক অর্থটা জানেন। কিন্তু অনেক মুসলমান এর সঠিক অর্থটা জানেনা। তারা মনে করে জিহাদ মানে যুদ্ধ (হয় সত্যের সাথে মিথ্যার যুদ্ধ না হয় অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ এমনই মনে করে) কিন্তু আসুন দেখি জিহাদ মানে কি?
জিহাদ শব্দটার সঠিক অর্থ হচ্ছে চেষ্টা করা, আর ইসলামিক পরিভাষায়: আল্লাহর পথে চেষ্টা করা, যেমন পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ নিজেই বলেছেন তোমরা নিজেদের কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ কর আর ইহাই সর্বোত্তম জিহাদ। রাসুল (স:) বলেছেন, যে আল্রাহ পথে কিছু দান করল সে জিহাদ করল,একবার (রাসুল (স:) যুদ্ধের ডাক দিলেন এক সাহাবী এসে বললেন রাসুল (স:) আমার মা অসুস্থ আমি কি যুদ্ধে যাব নাকি মায়ের সেবা করব, তিনি বললেন- তোমার মায়ের সেবা কর আর ইহাই তোমার জন্য জিহাদ। এমন আরও অনেক হাদিস আছে।
সুতরাং জিহাদ মানে বুঝা যায় আল্লাহ জন্য (ভাল কাজের জন্য) চেষ্টা করা।
আর যুদ্ধ শব্দটার আরবী হল হারবুন (এখানে শব্দটা নেই)। এমন কোন আয়াত নেই যেখানে চেষ্টা বুঝাতে হারবুন শব্দটা ব্যবহার করেছে আর যুদ্ধ বুঝাতে জিহাদ বুঝানো হয়েছে।
আর পৃথিবীতে যে ধর্মটাতে বেশি যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে তা হল মহাভারত। এখানে দেখবেন কুরআন হাদিসের চেয়ে অনেক বেশি যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। (হিন্দুরা এটাকে পবিত্র যুদ্ধ বলে থাকে কেউ কেউ সত্যের সাথে মিথ্যার যুদ্ধও বলে থাকে)।
তাহলে শুধু জিহাদ বলতে মুসলমানদের কেন সন্ত্রাসী বলা হবে?
তাছাড়া পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে যু্দ্ধের চেয়ে শা্ন্তিই ভাল। যদি তারা শান্তি চায় তাহলে শান্তিই ভাল। এখানে যুদ্ধকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।
আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন-আমীন