গোসল ফরজ হলে পবিত্রতা অর্জনের জন্য অবশ্যই ফরজ গোসল করতে হবে। এমতাবস্থায় গোসল না করে নামাজ পড়া যাবে না। তবে ক্ষেত্রবিশেষে গোসল না করে তায়াম্মুম করে নামাজ পড়া যায়।
তায়াম্মুম এর কিছু শর্ত আছে নিন্মমে তা উল্লেখ করা হলো।
১/ আশেপাশে ১.৭ কিলোমিটারের মধ্যে পানি পাওয়া না যায়।
২/ পানি পেতে যদি শত্রুর, সাপ কিংবা বিপদজনক পশুর আক্রমণের ভয় না থাকে।
৩/ এত আল্প পানি থাকে যে তা গোসল বা অযুতে ব্যবহার করলে খাওয়ার পানির সংকট হবে।
৪/ কেহ তার সুচিন্তিত আভিজ্ঞতা অথবা বিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে জানতে পারে যে, পানি ব্যবহার তার স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।
৫/ পানি কিনে বব্যহার করার মত যথেষ্ট অর্থ না থাকে।
পানির দাম খুব বেশি হয়।
যদি কোন কারণে ফরজ গোসল করা প্রয়েজন হয় তাহলে আপনাকে ফরজ গোসল করতে হবে, তাছাড়া আপনি নামাজ পড়তে পারবেন না।ফরজ গোসল (বাধ্যতামূলক)। ইসলামের পরিভাষায়, গোসল হল সমস্ত দেহ ধৌত করার মাধ্যমে পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। কথিপয় ধর্মীয় উপাসনা এবং আচার-আনুষ্ঠান পালনের পূর্বশর্ত হচ্ছে গোসল। সকল প্রাপ্তবয়স্ক মোসলমান নর-নারীর যৌনসঙ্গম , যৌনস্থলন (যেমন : বির্যপাত), রজস্রাবঃ সমাপ্তির পর, সন্তান প্রসবের পর এবং স্বাভাবিক কারণে মৃত্যুর পর গোসল করা ফরজ (বাধ্যতামূলক) হয়। তাছাড়া, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বে, ঈদের নামাজের পূর্বে, এহরামের পূর্বে, হজ্জের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময়,অজ্ঞান হওয়ার পর সচেতন হলে অথবা আনুষ্ঠানিকভাবে কেঊ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পূর্বে গোসল করা মুস্তাহাব (উৎসাহিত করা হয়)। শিয়া মতে, তওবার নামাযের পূর্বে গোসল করতে হয়। গোসলের পানি সম্পাদনা পবিত্র পানি দিয়ে গোসল করতে হয়। যেমনঃ- বৃষ্টির পানি কূয়ার পানি ঝর্ণার, সাগর, নদীর পানি বরফ গলা পানি বড় পুকুর বা টেঙ্কের পানি যেই পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না তা হলঃ অপরিচ্ছন্ন বা অপবিত্র পানি ফল বা গাছ নিসৃতঃ পানি কোন কিছু মিশানোর কারণে যে পানির বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ এবং গারত্ব পরিবর্তিত হয়েছে। অল্প পরিমাণ পানি: যাতে অপবিত্র জিনিস মিশে গেছে (যেমনঃ মূত্র, রক্ত, মল বা মদ)। অযু বা গোসলের জন্য ব্যবহৃত পানি। অপবিত্র (হারাম) প্রাণী, যেমনঃ শূকর, কুকুর ও আন্যান্য হিংস্র প্রানীর পানকৃত পানির আবশিষ্ট। গোসলের পদ্ধতি সম্পাদনা গোসলের তিনটি ফরজ কাজ। এর যে কোন একটি বাদ গেলে গোসল হয় না। সে ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার সাথে ফরজ কাজ পুনরায় করে গোসল শুদ্ধ করে নিতে হয়। ফরজগুলো হলঃ মুখের ভিতর পর্যন্ত কুলি করা। পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা। পানি দিয়ে সমস্ত শরীর এমনভাবে ধোয়া যাতে চুল পরিমাণ জায়গা শুকনো না থাকে (অন্যথায়, গোসল পরিপূর্ণ হবে না।) গোসলের সুন্নত সম্পাদনা গোসলের কিছু সুন্নত ঐচ্ছিক কাজ) আছে। সহীহ্ হাদিস অনুসারে, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তা করতে উৎসাহিত করেছেন। যেমনঃ দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া। গোপন অঙ্গগুলো ধোয়া এবং দেহের আপরিষ্কার ও নাপাক আংশ ধোয়া। অযু করা। মাথার উপর তিনবার পানি ধালা যাতে সমস্ত দেহের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। (কপিরাইট :Wikipedia) :::ফরজ গোসল বাধ্যতামূলক :::: আপনাকে গোসল করতে হবে।