Call

হেয়ার কালারে অক্সিডাইজিং এজেন্ট হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও একটি অ্যালকালাইজিং এজেন্ট অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়, যা একটি কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে চুলের মেলানিনকে হালকা করে নেয় ও হেয়ার কালারের রঙিন পিগমেন্টকে চুলের শ্যাফটের ভেতর ঢুকতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই স্টাইল আপনার শরীরে নানা মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করতে পারে? তাহলে এক নজরে দেখে হেয়ার কালারের ক্ষতিগুলো। চুলের উজ্জ্বলতা কমাঃ হেয়ার কালার করলে চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়। এছাড়া চুল পড়া, আগা ফাটা, খুসকি ও র‍্যাশ হতে পারে। -------শারীরিক অসুস্থতাঃ হেয়ার কালারে চর্মরোগ, ফুসফুস বা চোখের ক্ষতি হতে পারে। হেয়ার কালার ব্যবহারের ফলে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে। এছাড়া হেয়ার কালারের কেমিক্যালে মানুষের ক্যান্সারও হতে পারে, যেমন-লিউকেমিয়া, নন-হজকিনস লিম্ফোমা, মূত্রথলির ক্যান্সার, ব্লাড ক্যান্সার ও মলটিপল মায়েলোমা। -------স্কিন ইরিটেশন ও অ্যালার্জিঃ হেয়ার কালার মাথার ত্বকে ইরিটেশন ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। হেয়ার কালার ব্যবহারের কয়েক ঘণ্টা থেকে শুরু করে এক দিনের মধ্যে চুলকানি, লালচে ভাব, জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি হতে পারে। এরকম অস্বস্তি হলে হেয়ার কালার ব্যবহার করা উচিত নয় একদম। তাই কালার ব্যবহার করার আগে অ্যালার্জি টেস্ট করে নেওয়া দরকার। ------চুল ভেঙ্গে যাওয়াঃ চুল কালার করলে চুল রুক্ষ হয়ে ফেটে যায়। আগা ফাটা ছাড়াও চুল মাঝে দিয়ে ফেটে ফেটে ঝরে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। ফরে চুল পাতলা হয়ে যায় আস্তে আস্তে। চুল রঙ করার সখ তো হতেই পারে। ক্ষতির ভয়ে কি আর ফ্যাশন বাদ দেয়া যায়? চুল যদি রঙ করেই থাকেন তাহলে চুলের বেশ কিছু যত্ন নিয়মিত নিতে হবে। নাহলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে ও পড়ে যাবে। আসুন জেনে নেই রঙ করা চুলের যত্ন কি করবেন। ১৫ দিন পরপর পার্লারে গিয়ে হেয়ার স্পা, ,ক্রিম ট্রিটমেন্ট ডিপ কন্ডিশনিং করান। সপ্তাহে দুবার প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করুন। প্রোটিন প্যাক বানাতে ডিম, টক দই, অলিভ ওয়েল একত্রে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ৪০ মিনিট রাখুন। প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে মাঝে মাঝে চুল রঙ করাতে পারেন। কিন্তু এক্সপার্ট হেয়ার স্টাইলিস্ট এর কাছে করানোই ভালো। গার্নিয়ার, ট্রিকস, লরিয়াল বা গোদরেজ এসব ব্রান্ডের উপর নির্ভর না করাই ভালো l

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ