শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এমতাবস্থায় দেখতে হবে যে কোনটি আগে, কবর না মসজিদ, যদি মসজিদ আগে নির্মাণ হয়, তাহলে মসজিদ ঠিক রেখে কবর নিঃশেষ করতে হবে, তবে এ কাজটি আদালত বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা যেন কোন ধরণের ফিতনা সৃষ্টি না হয়। আর যদি কবর আগে স্থাপিত হয়, তাহলে কবর ঠিক রেখে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছন, «لعن الله اليهود والنصارى اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد» (متفق على صحته) “ইয়াহূদী ও নাসারাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ, তারা তাদের নবিদের কবরসমূহকে মসজিদে পরিণত করেছে”। (বুখারি ও মুসলিম) এমনিভাবে মুমিন জননী উম্মে-সালমা ও উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু আনহা হাবশায় অবস্থিত গীর্জা ও তাতে নির্মিত মূর্তি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সংবাদ দিলে, তিনি বলেনঃ «أولئك إذا مات فيهم الرجل الصالح بنوا على قبره مسجدا وصوروا فيه تلك الصور أولئك شرار الخلق عند الله» (رواه البخاري ومسلم) “তারা এমন যে, যখন তাদের কোন নেককার লোক মারা যায়, তারা তার কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করে ও তাতে তার ছবি অঙ্কন করে, এরাই আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম মাখলুক”। (বুখারি ও মুসলিম) হাদিস দু’টি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কবরের উপর নির্মিত মসজিদে নামাজ পড়লে তার নামাজ শুদ্ধ হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরণের মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন, কারণ এটা শিরকে আকরের মাধ্যে গণ্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ