যখন রমযান মাসে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তখন কি ছাত্রদের জন্য সাওম (রোযা) ভঙ্গ করা বৈধ হবে, যাতে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পরীক্ষার অজুহাতে কোন প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রের জন্য রমযান মাসের সাওম ভঙ্গ করা বৈধ হবে না, কারণ, এটা কোন শর‘য়ী ওযর নয়, বরং তার উপর আবশ্যক হল সাওম পালন করা এবং তার উপর দিনের বেলায় অধ্যয়নের কাজটি কষ্টকর হলে, রাতের বেলায় অধ্যয়ন করা, আর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের জন্য উচিত হবে রমযান মাসকে বাদ দিয়ে পরীক্ষার সময়সূচী তৈরি করে ছাত্রদের প্রতি কোমল আচরণ করা, যাতে সাওমের কল্যাণ ও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অবসর সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে উভয় প্রকার স্বার্থ সুরক্ষিত হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধভাবে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন: « اللَّهُمَّ مَنْ وَلِىَ مِنْ أَمْرِ أُمَّتِى شَيْئًا فَشَقَّ عَلَيْهِمْ فَاشْقُقْ عَلَيْهِ وَمَنْ وَلِىَ مِنْ أَمْرِ أُمَّتِى شَيْئًا فَرَفَقَ بِهِمْ فَارْفُقْ بِهِ ». ( أخرجه مسلم في صحيحه). “হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি আমার উম্মতের কোন বিষয়ে শাসনক্ষমতার অধিকারী হল, অতঃপর সে তাদের উপর কষ্টকর বোঝা চাপিয়ে দিল, তুমি তার উপর কষ্টের বোঝা চাপিয়ে দাও, আর যে ব্যক্তি আমার উম্মতের কোন বিষয়ে শাসনক্ষমতার অধিকারী হল, অতঃপর সে তাদের প্রতি কোমল আচরণ করল, তুমিও তার প্রতি কোমল আচরণ কর।” - (ইমাম মুসলিম র. তার সহীহ গ্রন্থে হাদিসখানা বর্ণনা করেছেন, হাদিস নং- ৪৮২৬)। সুতরাং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা দায়িত্বশীলগণের প্রতি আমার পরামর্শ হল, তারা যেন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি কোমল আচরণ করেন এবং রমযান মাসের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ না করে তার পূর্বে বা পরে তারিখ নির্ধারণ করেন। আমরা সকলের জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিকট তাওফীক কামনা করছি। শাইখ ইবনু বায ফতোয়া (الفتاوى): ২ / ১৬২ (ঈষৎ পরিবর্তিত)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ