মহান আল্লাহতালা কোরআন এ বিভিন্ন আয়াত এ নাবী(সঃ) যে মানুষ ছিলেন তার কথা উল্লেখ করেছেন। আসুন আমরা এক নযরে আয়াত গুলো জেনে নেই।
>> সুরা-কাহাফ-১১০ আয়াত,
قُلْإِنَّمَاأَنَابَشَرٌمِّثْلُكُمْيُوحَىٰإِلَيَّأَنَّمَاإِلَـٰهُكُمْإِلَـٰهٌوَاحِدٌ
فَمَنكَانَيَرْجُولِقَاءَرَبِّهِفَلْيَعْمَلْعَمَلًاصَالِحًاوَلَايُشْرِكْبِعِبَادَةِرَبِّهِأَحَدًا
“বলুনঃআমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।“
>> সুরা-আম্বিয়া-০৩ আয়াত,
لَاهِيَةًقُلُوبُهُمْ
وَأَسَرُّواالنَّجْوَىالَّذِينَظَلَمُواهَلْهَـٰذَاإِلَّابَشَرٌمِّثْلُكُمْ
أَفَتَأْتُونَالسِّحْرَوَأَنتُمْتُبْصِرُونَ
“তাদের অন্তর থাকে খেলায় মত্ত। জালেমরা গোপনে পরামর্শ করে, সে তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ; এমতাবস্থায় দেখে শুনে তোমরা তার যাদুর কবলে কেন পড়?”
>> সুরা-মুমিনুন-৩৩ আয়াত,
وَقَالَالْمَلَأُمِنقَوْمِهِالَّذِينَكَفَرُواوَكَذَّبُوابِلِقَاءِالْآخِرَةِ
وَأَتْرَفْنَاهُمْفِيالْحَيَاةِالدُّنْيَامَاهَـٰذَاإِلَّابَشَرٌمِّثْلُكُمْيَأْكُلُمِمَّا
تَأْكُلُونَمِنْهُوَيَشْرَبُمِمَّاتَشْرَبُونَ
“তাঁরসম্প্রদায়ের প্রধানরা যারা কাফের ছিল, পরকালের সাক্ষাতকে মিথ্যা বলত এবং যাদেরকে আমি পার্থিব জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছিলাম, তারা বললঃ এতো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নয়। তোমরা যা খাও, সেও তাই খায় এবং তোমরা যাপান কর, সেও তাই পান করে।”
>> সুরা-শুয়ারা-১৫৪,১৮৬ আয়াত,
مَاأَنتَإِلَّابَشَرٌمِّثْلُنَافَأْتِبِآيَةٍإِنكُنتَمِنَالصَّادِقِينَ
“তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন নিদর্শন উপস্থিত কর।”
وَمَاأَنتَإِلَّابَشَرٌمِّثْلُنَاوَإِننَّظُنُّكَلَمِنَالْكَاذِبِينَ
“তুমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।”
>> সুরা-রুম-২০ আয়াত,
وَمِنْآيَاتِهِأَنْخَلَقَكُممِّنتُرَابٍثُمَّإِذَاأَنتُمبَشَرٌتَنتَشِرُونَ
“তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি মৃত্তিকা থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা মানুষ, পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছ।”
>> সুরা-ফুস্সিলাত-০৬ আয়াত
قُلْإِنَّمَاأَنَابَشَرٌمِّثْلُكُمْيُوحَىٰإِلَيَّأَنَّمَاإِلَـٰهُكُمْإِلَـٰهٌوَاحِدٌ
فَاسْتَقِيمُواإِلَيْهِوَاسْتَغْفِرُوهُ
وَوَيْلٌلِّلْمُشْرِكِينَ
“বলুন, আমিও তোমাদের মতই মানুষ, আমার প্রতি ওহী আসে যে, তোমাদের মাবুদ একমাত্র মাবুদ, অতএব তাঁর দিকেই সোজা হয়ে থাক এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।আর মুশরিকদের জন্যে রয়েছে দুর্ভোগ,”
-রাসুল (সাঃ) যে মাটির তৈরি ,এর দলিল প্রমান আমরা পবিত্র কোরআন থেকে দেখলাম। সুতরাং যারা বলে যে নাবী(সঃ) নূরের তৈরি তারা একটি মিথ্যা প্রচার করল আমদের নাবী (সঃ) কে নিয়ে। আল্লাহতালা এইসব ভাইদের হেদায়াত দান করুন এবং বিদাত, শিরক এবং কুফরি মুক্ত ইসলাম পালনে আমাদের সাহায্য করুন, আমিন।
736
না কথাটা সম্পুর্ন মনগড়া। মহানবী সাঃ যেহেতু মা অামিনার গর্ভ হতে অন্য সকল শিশুর মতই স্বাভাবিকভাবে জন্ম গ্রহন করেছেন তার মানে তিনি মাটির তৈরি মানুষ। মানুষের গর্ভে একমাত্র মানব সন্তানই জন্ম নেয়। নুরের তৈরি বল্লে মহানবী সাঃ কে ছোট করা হয় কার ফেরেস্তারা নুরের তৈরি এবং তারা অাল্লাহর গোলাম কিন্তু মানুষ মাটির তৈরি বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন অাল্লার সন্মানীত বান্দা সৃষ্টির সেরা জীব। তাহলে অাপনি যাচাই করে বলুন কার মর্যাদা বেশি নুর না মাটি? কিছু যায়গায় উল্লেখ অাছে যে মহানবীকে উদ্দেশ্য করে অাল্লাহ বলেছেন অামি তোমাদের নিকট নুর প্রেরন করিলাম এর অর্থ হচ্ছে সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের অালো প্রেরন করিলাম। অামরা বাচ্চাদের অাদর করে বলি "অামার ঘরের চাদের অালো" এর মানে কি ঐ বাচ্চাটা নুরের তৈরি?
মনে রাখবেন অতি ভক্তি চোরের লক্ষন।