যদি সাহাবীদের সংকলিত হাদীস গ্রন্থসমূহ এখন পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে, তবে কেনো সেগুলোকে প্রথম স্তরে বা তাবাকায় রাখা হয়নি? অর্থাৎ সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থসমূহের (যেমন সাহীহ বুখারী) অবস্থান কি ভাবে সেইগুলিকে ছাড়িয়ে গেলো? আজ আমরা কেনো সাহাবীদের সংকলিত হাদীস গ্রন্থসমূহ বাদ দিয়ে সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থসমূহ (যেমন সাহীহ বুখারী) পড়ছি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
mahfuz08

Call

কিছু কিছু সাহাবী যেমন আবূ হুরায়রা (রঃ)-র সংকলনের একটি কপি ( ইমাম ইবন তাইমিয়ার হস্তলিখিত) দামেশক এবং বার্লিনের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে।
তারপরে যারা তাবেঈন অর্থাৎ সাহাবীদের সাথে সাক্ষাত হয়েছে এমন ইমামদেরও সংগৃহীত হাদীসের দ্বারা রচিত গ্রন্থ রয়েছে।

যেমন- ইমাম আবূ হানীফা (রঃ)-এর নেতৃত্বে কূফায় এবং ইমাম মালিক (রঃ) তাঁর মুত্তয়াত্তা গ্রন্থ এবং ইমাম আবূ হানীফার দুই সহচর ইমাম মুহাম্মদ (রঃ) ও আবূ ইউসুফ (রঃ) ইমাম হানীফার রিওয়ায়াতগুলো একত্র করে ‘কিতাবুল আসার’ সংকলন করেন।
ইমাম আবূ হানীফা (রঃ) প্রায় চল্লিশ হাজার হাদীস থেকে চয়ন করে ‘কিতাবুল আসার’ গ্রন্থটি সংকলন করেছিলেন।

তবে উপস্থাপনা পদ্ধতির জন্য পরবর্তী হাদীসের কিতাবগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাছাড়া সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থসমূহের বেশীর ভাগ লেখক শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী এবং অন্যদিকে সৌদিআরবে শাফেয়ী মাজহাবের মানুষ বেশী।
আবার সমগ্র পৃথিবীর মুসলিমরা সৌদিআরবক অনুকরণীয় মনে করেন।
এর ফলে সিহাহ সিত্তাহর হাদীস গ্রন্থসমূহের  গ্রহণযোগ্যতা ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ