শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RafiaBegum

Call

একথা সবার জানা যে, আল্লাহ্‌ তা‘আলা বলেছেন, ]فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ[ “কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ অথবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করে নিবে।” (সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫) অতএব এ লোকটি যখন শরীয়ত সম্মত দলীলের ভিত্তিতে রোযা ভঙ্গ করেছে, তখন আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নার্থে তা কাযা আদায় করা উচিত। পরবর্তী রামাযান আসার পূবেই উহা কাযা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব। কেননা আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘আমার রামাযানের কিছু রোযা বাকী রয়ে যেত। কিন্তু শাবান মাস না আসলে আমি উহা কাযা আদায় করতে পারতাম না।’ আর তার কারণ ছিল রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে তাঁর ব্যস্ততা। সুতরাং আয়েশা (রাঃ)এর উক্ত বাণী থেকে প্রমাণিত হয় যে, পরবর্তী রামাযান আসার পূর্বে উহা অবশ্যই কাযা আদায় করতে হবে। কিন্তু সে যদি পরবর্তী রামাযান পর্যন্ত দেরী করে এবং রোযাটি রয়েই যায়, তবে তার উপর আবশ্যক হচ্ছে, আল্লাহ্‌র কাছে তওবা ইসে-গফার করা, এই শীথিলতার জন্য লজ্জিত অনুতপ্ত হওয়া এবং যত দ্রুত সম্ভব তা কাযা আদায় করে নেয়া। কেননা দেরী করলে কাযা আদায় করার আবশ্যকতা রহিত হয়ে যায় না। বিষয়/প্রশ্নঃ (৪৩৯) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ ছিয়াম (রোযা) লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ