প্রতিদিন বা দুয়েক দিন পর পর শেভ করতে হয় বলে অনেক পুরুষই এ কাজটি বেশ অবহেলার সঙ্গে করে থাকেন। এতে করে অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের ক্ষতি হয়। ঘন ঘন শেভ চোখের জন্য ক্ষতিকর। শেভ করার সময় যা করবেনঃ শেভ করার আগে রেজারটি অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে উষ্ণ গরম পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। শেভিংয়ের সময় রেজার সব সময় নিচের দিকে টানবেন। শেভ করার কিছুক্ষণ আগে উষ্ণ গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিলেও দাড়ি নরম হয়ে যায়। পুরো দাড়িতে ব্রাশ বা হাতের সাহায্যে শেভিং জেল বা ফোম ভালো করে লাগানো জরুরি। যাদের দাড়ি শক্ত তারা শেভের পাঁচ থেকে ১০ মিনিট আগে কোনো ভালো কোম্পানির ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। এতে দাড়ি নরম হয় আর শেভ করতেও কষ্ট হয় না। কখনওই রেজার উপরের দিকে টানা উচিত নয়, এতে দাড়ির গোড়া উপড়ে আসার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া দাড়ির গোড়ায় গোটা বা ফোঁড়া হতে পারে কিংবা ত্বক কেটে যেতে পারে। বারবার এভাবে শেভ করলে ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যাবে। শেভ করার পর আফটার শেভ লোশন লাগানো উচিত। যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের অ্যালকোহল বা লেবুযুক্ত শেভিং ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো। আফটার শেভ লোশন শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়, বেশি অয়েলি নয় এমন আফটার শেভ ক্রিম ব্যবহার করাই ভালো। অনেকেরই শেভ করার পর ত্বকে র্যাশ বের হয়। এক্ষেত্রে হালকা কোনো শেভিং ক্রিম ব্যবহার করলেই ভালো। আফটার শেভ লোশন যত এড়িয়ে যাবেন ততই ভালো। শেভ করা হয়ে গেলে কোনো অ্যান্টি-অ্যালার্জিক বা অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগানো উচিত। সতর্কতাঃ প্রতিদিন শেভ না করে সপ্তাহে দুইদিন করুন। সেলুনে শেভ না করে বাসায় শেভ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন, এটি ত্বকের জন্য অধিক নিরাপদ। শেভ করার ব্লেডটি পুরাতন হওয়ার আগেই বদলে নিন। যেখানে সেখানে রেজার বা ব্লেড ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট এবং পরিষ্কার জায়গায় রাখুন। অবশ্যই আপনার শেভ করার জিনিসপত্র বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন।