শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sanjoyrand1

Call

অধ্যাপক দেবেন্দ্র সিংহ তার গবেষণায় দেখিয়েছেন,  কোমর এবং নিতম্বের অনুপাত মটামুটি   ০.৭ এর মধ্যে থাকলে তা তৈরি করে মেয়েদের  ‘classic hourglass figure’, এবং এটি পুরুষদের মনে তৈরী করে আদি অকৃত্রিম যৌনবাসনা।
 
পুরুষের চোখে নারীর দেহগত সৌন্দর্যের ব্যাপারটাকে এতদিন পুরোপুরি ‘সাংস্কৃতিক’ ব্যাপার বলে মনে করা হলেও আমেরিকার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়(অস্টিন শহরে) এর মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক দেবেন্দ্র সিংহ তার গবেষণা থেকে দেখিয়েছেন যে, সংস্কৃতি নির্বিশেষে নারীর কোমর এবং নিতম্বের অনুপাত ০.৬ থেকে ০.৮ মধ্যে থাকলে  সার্বজনীনভাবে আকর্ষণীয় বলে মনে করে পুরুষেরা।  অধ্যাপক সিংহের মতে মোটামুটি কোমর : নিতম্ব  = ০.৭ -- এই অনুপাতই তৈরী করে মেয়েদের  ‘classic hourglass figure’, যা পুরুষদের মনে তৈরী করেছে আদি অকৃত্রিম যৌনবাসনা ।  সংস্কৃতি নির্বিশেষে এই উপাত্তের পেছনে সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দাবী করা হয়[5]।   সম্প্রতি পোলিশ একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, সুডোল স্তন, সরু কোমড় এবং হৃষ্ট নিতম্ব মেয়েদের সর্বচ্চ উর্বরতা প্রকাশ করে, যার পরিমাপ পাওয়া গেছে দুটো প্রধান যৌনোদ্দীপক হরমোনের (17-β-estradiol & progesterone) আধিক্য বিশ্লেষণ করে[6]। পুরুষের মনে প্রথিত হওয়া কোমর/নিতম্বের এই যৌনোদ্দীপক অনুপাত আসলে তারুন্য, গর্ভধারণক্ষমতা(Fertility) এবং সাধারণভাবে সুসাস্থ্যের প্রতীক। কাজেই এটিও পুরুষের কাছে প্রতিভাত হয় এক ধরণের ‘ফিটনেস মার্কার’ হিসেবে।  বিবর্তন মনোবিজ্ঞানী ভিক্টর জন্সটন তাঁর ‘Why We Feel? The Science of Emotions’ বইয়ে বলেন যে মেয়েদের কোমর ও নিতম্বের অনুপাত ০.৭ হলে এন্ড্রোজেন ও এস্ট্রোজেন হর্মোনের যে অনুপাত গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে অনুকুল সেই অনুপাতকে প্রকাশ করে।  এরকম আরেকটি নিদর্শক হল সুডৌল ওষ্ঠ। সেজন্যই গড়পরতা পুরুষেরা এঞ্জেলিনা জোলি কিংবা ঐশ্বরিয়া রাইয়ের পুরুষ্ট ওষ্ঠ ছবিতে দেখে লালায়িত হয়ে ওঠে। কাজেই দেখা যাচ্ছে সৌন্দর্য্যের উপলব্ধি কোন বিমূর্ত ব্যাপার নয়।  এর সাথে যৌন আকর্ষণ এবং সর্বোপরি গর্ভধারণক্ষমতার একটা গভীর সম্পর্ক আছে, আর আছে আমাদের দীর্ঘদিনের বিবর্তনীয় পথপরিক্রমার সুস্পষ্ট ছাপ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ