শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
mhf312rand1

Call

চোখ খোলা রেখে নামাজ আদায় করাই হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়ম। একাগ্রতার জন্য যদি কেউ বন্ধ করে নামাজ পড়েন তাহলেও নামাজ হবে। তবে চেষ্টা করা উচিত চোখ খোলা রেখেই একাগ্রতার সাথে নামাজ আদায় করার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call


প্রিয় প্রশ্নকারী দীনি ভাই, মূল বিষয় হল, নামাজে এদিক-সেদিক না তাকানো। কেননা এটি নামাজে মনোযোগ ও একাগ্রতা রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী হাতিয়ার । হাদীস শরীফে এসেছে, আয়েশা রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞাসা করেছি যে, নামাজে এদিক সেদিক তাকানোর ব্যাপারে আপনি কী বলেন? জবাবে তিনি বলেছেন, هو اختلاس يختلسه الشيطان من صلاة العبد এটা হলো শয়তানের ছোঁ মারা, যা দ্বারা শয়তান আল্লাহর বান্দাদেরকে নামাজ থেকে গাফেল ও উদাসীন করে ফেলে। (সহিহ বোখারি ৭১৮)

প্রশ্ন হল, নামাজে এদিক-সেদিক না তাকানোর পদ্ধতি কী হবে–এ বিষয়ে  মুজতাহিদ ইমামগণ একাধিক রায় পেশ করেছেন।

ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেছেন, নামাজের সময় দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার দিকে থাকবে, রুকু অবস্থায় থাকবে দু’পায়ের মাঝখানে, বসা অবস্থায় থাকবে কোলের দিকে, সিজদা অবস্থায় থাকবে নাকের দিকে। (কিতাবুল মাবসূত ১/২৮) কেননা, لِأَنَّ امْتِدَادَ الْبَصَرِ يُلْهِي فَإِذَا قَصَرَهُ كَانَ أَوْلَى দৃষ্টি প্রসারিত করলে মন এদিক-সেদিক চলে যাবে। সংকুচিত করলে নামাজে মনোযোগটা আরও ভাল থাকবে। এজন্য প্রসারিত করার চেয়ে সংকুচিত করা উত্তম।

পক্ষান্তরে কোনো কোনো ইমাম বলেছেন, পুরা নামাজের সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে। তবে এমর্মে তাঁরা দলিল হিসাবে যে হাদীসগুলো পেশ করে থাকেন, সেগুলোকে মুহাদ্দিসগণ ‘দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছেন। যেমন, ইমাম নববী রহ. বলেন,

قال العلامة النووي في مجموعه 3/314 شارحا قول الشيرازي: ( ( الشَّرْحُ ) حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ هَذَا غَرِيبٌ لَا أَعْرِفُهُ , وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ أَحَادِيثَ مِنْ رِوَايَةِ أَنَسٍ وَغَيْرِهِ بِمَعْنَاهُ وَكُلُّهَا ضَعِيفَةٌ 

এবিষয়ে (নামাজের সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে) ইবন আব্বাস রাযি. কর্তৃক বর্ণিত হাদীস গারীব (বিরল), যা আমার কাছে অপরিচিত। ইমাম বাইহাকী রহ. আনাস রাযি. ও অন্যদের সূত্রে এ বিষয়ে আরো কছু হাদীস বর্ণনা করেছেন। এর সবগুলোই দুর্বল। (আলমাজমূ ৩/৩১৪)

প্রিয় প্রশ্নকারী দীনি ভাই, লক্ষণীয় বিষয় হল, হানাফী-মাযহাবে এটাকে মুসতাহাব বলা হয়েছে। ফরজ-ওয়াজিব বলা হয় নি। সুতরাং এ নিয়ে মাতমাতির কছু নেই।

অথচ কিছু অপরিণামদর্শী এবিষয়ে বিবাদ-বিসংবাদের সূত্রপাত করে থাকে, যা নিশ্চিতভাবে হারাম। আসলে এরা ফেতনাবাজ। এরা নামাজীদের পেছনে এরকম ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে লাগা থাকে এবং তাদের নামাজ হয় না বলে উম্মাহর মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। এদের কথায় কর্ণপাত না করাই ঈমান-আমলের জন্য নিরাপদ।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী

সূত্রঃ http://quranerjyoti.com

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Habib96

Call

হ্যাঁ, চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়ার কারণে একাগ্রতা বেশি আসলে চোখ বন্ধ করেই নামাজ পড়া যাবে৷ এতে কোন সমস্যা নেই৷ (বেহেশতি জিওর ২য় খন্ড, ২৬ পৃষ্ঠা)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ