"তোমাদের মাঝে যার কোন (পুত্র বা কন্যা)সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোন পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে"
ইসলামে বৈরাগ্য জীবন যাপনের কোনো অবকাশ নেই। যে ব্যক্তি দেনমোহর ও ভরণ-পোষণ আদায় করতে সক্ষম এবং বিবাহ না করলে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া নিশ্চিত, তার জন্য বিবাহ করা ফরজ। আর যার ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া নিশ্চিত নয়, তবে আশঙ্কা থাকে এবং মনে বিবাহ করার প্রচণ্ড আগ্রহ থাকে, তার জন্য বিবাহ করা ওয়াজিব। আর যে আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম এবং বিবাহ না করলে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই, তার জন্য বিবাহ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। যার ব্যাপারে আশঙ্কা হয় যে সে বিবাহের পর স্ত্রীর ওপর জুলুম করবে, হক আদায় করতে পারবে না, তার জন্য বিবাহ করা মাকরুহে তাহরিমি। আর যার ব্যাপারে নিশ্চিত যে সে বিবাহের পর স্ত্রীর ওপর জুলুম করবে; হক আদায় করতে পারবেই না, তার জন্য বিবাহ করা হারাম। তবে যদি এমন হয় যে বিবাহ না করলে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আর বিবাহ করলে জুলুমে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে এ অবস্থায়ও বিবাহ করা ফরজ। -দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার : ২/২৬০-৬১
ধন্যবাদ