শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আজ রওনক যাওয়ার পর থেকে আমি কিছু উদ্ভট শব্দ পাচ্ছি।মাঝে মাঝে বিড়াল ডাকছে, মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে কেউ শব্দ করে হাটছে। বড়ই অস্বস্তিকর। মন টা হালকা করার জন্যে বাগানে গেলাম।স্টোররুমটায় নজর পরলো। দেখলাম দরজা খোলা! হায় হায়! তাহলে কালকে যে দেখলাম দরজা টা লেগে গেল!! নাকি আজ কেউ খুলেছে কাজ করার জন্য! কাছে যেতেই কে যেন আমায় ডাকতে থাকলো।"চারু! এই চারু " আমি বললাম কে? 

কোন জবাব এলো না,রুমে ঢুকতে যাবো ওমনি বাড়িওয়ালির ওয়াইফ ডাকলেন,

আন্টি:এই চারু,ওদিকে কই যাচ্ছো?

আমি:ওহ আন্টি!! স্টোররুম থেকে কেউ আমাকে..

আন্টি:তোমাকে মানা করেছি না,ওদিকে যাবে না। চলে এসো।

আমি:আম্মম,আসলে আন্টি আমি কালকে..

আন্টি:ওইদিক টায় না যাওয়াতেই তোমার ভালো ঠিক আছে? ওদিকে আর যাবে না।কেউ ডাকলেও যাবে না।

আমি:কে ডাকবে আন্টি?

আন্টি:এই মেয়ে,খুব প্রশ্ন করছো আজ। তোমার শরীর কেমন আজ?

আমি:আহ,বেশ ভাল আন্টি।

আন্টি:আচ্ছা,যাও এখন ঘরে। এখন বেশি হাটাহাটি করবে না।রেস্টে থাকো

আমিও আর কথা বারালাম না।স্মিত হাসি দিয়ে চলে আসলাম।ওই স্টোররুমে কি কোন সমস্যা আছে? আমাকে কে ডাকলো!

এসব ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা হয়ে এলো। আজ রওনক ও জলদি এসে গেল! দুজন মিলে রান্নাটা সেরে ফেললাম,খেতে বসেছি।রওনক আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।হঠাৎ রান্না ঘর থেকে স্টিলের বাটি পড়ার শব্দ এলো। আমি উঠে গিয়ে দেখলাম বাটিটা মাটিতে পরে আছে। জানালা খোলা! কিন্তু পড়লো কিভাবে! পড়ার মতো অবস্থায় তো কোন পাত্রই রাখা হয়নি। ভালো লাগলো না ব্যাপারটা।গিয়ে খেতে বসলাম।আমার চেহারায় হয়তো কিছু ছিল।রওনক জিজ্ঞেস করলো

রওনক:কিছু হয়েছে?

আমি:নাহ,ভালো লাগছে না। চলো একটু বারান্দায় বসি।

রওনক:ওকে,তুমি যাও,আমি আসছি।

আমি বারান্দায় গিয়ে দাড়ালাম।দেখলাম একটা বিশ্রী দেখতে বুড়ি হেটে যাচ্ছে বাগানের ভিতর দিয়ে। আমি ভয়ে চিৎকার করতেই রওনক দৌড়ে আসলো! আমাকে জড়িয়ে ধরে বল্লো কি হয়েছে চারু!

আমি:দেখো ওখানে একটা.. আমি জানিনা ওটা কি। কিন্তু খুব বিশ্রী।

বলেই চোখ বন্ধ করে রওনক কে জড়িয়ে ধরলাম

রওনক:কই?? এখানে কিছু নেই তো পাগল।

আমি:না! বাগানের দিকটায়! ওটা আমার দিকে তাকায় ছিল! তু..তুমি দেখো ওটা ওখানেই আছে।

রওনক:আচ্ছা চলো,এখানে থাকতে হবে না। ভিতরে চলো আমরা ঘুমু দেই।

জিনিসটা দ্বিতীয় বার দেখার ইচ্ছা আমারও নেই তাই ঘরের ভিতর এসে শুয়ে পড়লাম।রওনক কে বললাম জানালা গুলো লাগিয়ে দিতে। ও হাসছে আমার পাগলামি দেখে। কিন্তু আমি তো নিজ চোখকে অবিশ্বাস করতে পারি না! যাই হোক,ওকে বললে যখন বিশ্বাস করতে চাইছে না তাই আর রিএক্ট করলাম না।রাতে ও আমার জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছে।আমার চোখে ঘুম নেই। বারবার সেই বিশ্রী চেহারা টা চোখে ভাসছে।জেগে থাকাটাও ভয়ংকর লাগছে। ফোনে দেখলাম ২ টা ৪৩। সময় টা ভালো না।গভীর রাত।ভোর হতে অনেক দেরি। তখনি ওয়াশরুম থেকে কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে এমন মনে হলো।উঠে যাবো সেই উপায় নেই।রওনক কে জাগাতে চাচ্ছি না।সারাদিনের পরিশ্রমের পর একটু ঘুমাচ্ছে। তাই উকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম কে ডাকছে। তখনি অনুভব করলাম কেউ পিছে থেকে আমার ঘাড়ে হাত দিচ্ছে! শীতল সেই হাতের ছোয়ায় আমার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। হাতের মালিককে দেখার জন্য মাথা উঠানো মাত্র সেই ভয়ংকর চেহারাটা দেখতে পেলাম।আর নিজেকে সামনালোর সুযোগ নেই।চিৎকার দিতেই রওনক উঠে গেল। ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার অবস্থায় আমি নেই।তাই ওকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে যাচ্ছি।আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করা ছাড়া রওনক আর কিছু ভাবছে না।কিন্তু আমি শান্ত হতে পারছি না! এটা কি দেখলাম! কেন!? 

আজ নতুন বছরের প্রথম দিন! অনেক দিন কেটে গেছে ওই রাতের পর।নিজেকে সামলে নিয়েছি।সবচেয়ে বড় সংবাদ,বাসাও চেঞ্জ করেছি। এখন আর কিছু দেখি না।আমি আর রওনক সুখেই আছি। হয়তো নতুন সদস্যও এসে যাবে কয়েক মাসের মধ্যে।এই নিয়েই ব্যস্ত এখন আমরা।কিন্তু তবুও মাঝে মাঝে ঘাড়ে ভাড়ি একটা স্পর্শ অনুভব করি।জানি না এই অভিশাপ নিয়ে আর কতদিন বাচতে হবে। হয়তো সারাজীবন! সেদিন যদি দরজা টা না খুলতাম,তাহলে কি জীবন টা অন্যরকম হতো? তাহলে কি আমাকে ফেস করতে হতো না অনাকাঙ্ক্ষিত এত ঘটনা?

(সমাপ্ত)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Fahimbd

Call

রাতে কখন ঘুমিয়েছি মনেই নেই। সকালে কারো ধাক্কা আর কারো জোরে জোরে করে আমার নাম ডাকায় জেগে উঠলাম, . আমি--- একটু শব্দ করে বললাম, ঔ কোন কুত্তা/কুত্তি রে যে,এতো সকালে আমাকে ডাকে। . নীল--- আরে আরে কি করিস? আস্তে কথা বল। এতো জোরে শব্দ করছিস কেন? আমি নীলের ডাকে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠলাম। . আমি--- বিস্ময়ের চোখে চারিদিক তাকালাম, এই তোর বাড়ি আর তোর রুম না এটা? . নীল--- হ্যা, কেন কি হয়েছে? . আমি--- কেন মানে?আমি এখানে আসলাম কি করে? আর তোর রুমেই বা শুয়ে আছি কেন? . নীল--- কেন আবার? কালই না আমাদের বিয়ে হল। . আমি--- বিয়ে ওও মনে পড়েছে। আবার চিৎকার দিয়ে বললাম, কিন্তু আমি তোকে স্বামী হিসেবে মানি নাআআ। আমি এক্ষুনি বাড়ি যাবো। তুই আমাকে বাসা পৌছে দে। নীল আমার মুখ চেপে ধরল। আমি ভয়ে চোখ বড় বড় করলাম। . নীল--- ইভা, পাগলামি করিস না প্লিয। আচ্ছা যা মানিস না। কিন্তু এখন থেকে তো এটা তোর বাসা। তোর বিয় হয়েছে আমার সাথে। তাই তুই এখন থেকে আমার বাসায়ই থাকবি। . আমি--- নীলের হাত মুখ থেকে সরিয়ে বললাম, কি? তোর বাসায় থাকবো তাও আবার তোর সাথে তোর রুমে আমাকে কি পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে? ইশশ! কি বিশ্রী। সবাই জানলে তো আমার আর বিয়ে হবে না। বর পক্ষ এসে চলে যাবে। . নীল--- তোর বিয় হবে মানে, তুই তো বিবাহিতা। আমার বউ তাহলে বিয়ে আসল কোথা থেকে। . আমি--- এমা, আমি তো তকে স্বামী হিসেবে মানি না। তাই অন্য জনকে বিয়ে করবো। আর তুই তো আমার বেষ্টু হয়ে থাকবি। . নীল--- মন খারাপ করে বলল, আচ্ছা করিস। বলে অন্যদিকে ঘুরে চলে যাচ্ছিল। আমি দ্রুত হেটে গিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে কানে কানে ফিস ফিস করে বললাম, . আমি--- আমি আর কাউকে বিয়ে করব না। আর তকেও স্বামী হিসেবে মানব না। তুই তো আমার বেষ্টু।বলে উম্মাহহহ দিয়ে ওয়াসরুমের দিকে দিলাম দৌড়। . নীল--- অবাক হয়ে গালে হাত দিয়ে বলল, ইভা,ইভা, এই ইভা। আমি কিছু না শুনে ওয়াসরুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে ওয়াসরুম থেকে বের হলাম। দেখলাম নীল বিছানায় বসে আছে। . আমি--- কি রে তুই এখানে কি? . নীল--- কয়টা বেজেছে দেখেছিস। নিচে যেতে হবে তো। এই নে এই শাড়ি পড়ে নে। . আমি--- মুখ ভেঙচিয়ে বললাম, মোঠেও না। . নীল--- কি? . আমি--- আমি শাড়ি - টাড়ি পড়তে পারব না। . নীল--- আরে তুই এখন নতুন বউ। শাড়ি না পড়লে কি পড়বি? . আমি--- আমি জানি না। আমি শাড়ি পড়বো না, পড়বো না ব্যাস। . নীল--- প্লিজ নীল অন্তত পক্ষে আজ শাড়ি পড়। আর প্লিজ তুই নিচে গিয়ে দুষ্টুমি করিস না। তুই এখন ঘরের বউ। . আমি--- হুহ! আমি কি বলেছি তুই আমাকে বউ করে নিয়ে আস? আমি চাইলে এখনি আমার বাসায় চলে যাবো। . নীল--- উফফ। তুই শাড়িটা পড় প্লিজ। . আমি--- আচ্ছা, তোর রিকুয়েস্ট এ পড়ছি আর পড়ব না কিন্তু। . নীল--- আচ্ছা, আমি বাইরে যাচ্ছি। তুই তাড়াতাড়ি রেডি হ। আমি রেডি হয়ে নীলকে ডাক দুলাম নীল এসেই হা করে তাকিয়ে আছে, . আমি--- ঐ খবিস একটা মেয়ের দিকে এমন হা করে তাকিয়ে থাকতে তোর লজ্জা করে না। . নীল--- আরে দূর কি বলিস? তুই তো আমার বউ। আচ্ছা চল নিচে চল। আমি আর নীল নিচে আসলাম। নিচে এসে আণ্টিকে দেখতে পেলাম আর সাথেও আঙ্কেল কেও। নীলের আম্মু, আব্বু। সিড়ি দিয়ে নামতেই নীল কি যেন ইশারা করলাম?আমি বুঝতে না পেরে,, . আমি--- ফিস ফিস করে বললাম, কি? . নীল--- আরে সালাম কর, সালাম। পায়ে ধরে সালাম করিস। আমি নীলের কথা অনুযায়ী আঙ্কেল আন্টি দুজনকেই পায়ে ধরে সালাম করলাম। . আঙ্কেল--- ইভা মা। কেমন আছিস? . আমি--- ভালো আঙ্কেল। . আঙ্কেল--- আরে আঙ্কেল কিরে। আব্বু বল। আমি তো তোর আব্বুর মতোই। . আমি--- আমি তো আপনাকে আগে থেকেই আঙ্কেল বলতাম। . আঙ্কেল--- আগে তো তুই নীলের ফ্রেন্ড ছিলি এখন বউ। তাই এখন আব্বু ডাকবি আমাকে। . আমি--- জি আচ্ছা। আন্টি আমাকে নিয়ে রান্না ঘরের দিকে গেলেন, . আন্টি--- আমাদের বাসায় তোর কেমন লাগছে রে মা? . আমি--- একটুও ভালো লাগছে না আণ্টি। . আন্টি--- কেনো রে মা? আর তুই আমাকে আণ্টি বলছিস কেনো? আম্মু বলবি। . আমি--- আমার আব্বু,আম্মুর কথা মনে পড়ছে।আমি বাসায় যাবো। . আম্মু--- পাগলি মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে শশুর বাড়ি থাকতে হয়। মাঝে মাঝে বাবা বাসায় যেতে হয়। বুঝলি। . আমি---মন খারাপ করে বললাম, হুম। . আন্টি--- মন খারাপ করিস না। কাল যবি। আর আমারাই তো তো আম্মু আব্বু। আমার দৃষ্টি অন্ন্য দিকে। নীলদের বাড়িতে বিড়াল আছে আগে জানতাম না তো। সাদা একটা বিড়াল। আমি আস্তে আস্তে এগুতে লাগলাম। বিড়ালের কাছে যেতেই দিলো দৌড়। আমিও বিড়ালের পিছু,পিছু ছুট দিলাম। তখনি ধপাস। শাড়ি পড়ে আছি মনেই নেই। পড়েই আম্মুউউউ। বলে চিৎকার দিলাম। তেমন কিছু হয়নি। ভয় পেয়ে গেছিলাম। সবাই দৌড়ে আসল। নীল এসেই আমাকে দাড় করালো। আমি দাড়াতে পারছি না। একটু চট লেগেছে। . নীলের আব্বু--- গাধা, বউমাকে কোলে তোল। নীলের আব্বুর কথায় আমার চোখ মাথায় উঠে গেলো। আমি কিছু বলতে যাব নীল আমাকে বলতে নিষেধ করল। নীল মুখ পচা পচা করে আমাকে কোলে তুলে নিলো। । । (অপেক্ষা করুন)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এক লোক আঞ্জুমানে মফিদুলের গাড়ি চালায়।মৃত লাশ নিয়ে মাঝে, মাঝেই বিভিন্ন জেলায় যাওয়া হয়। একদিন একটা ফোন পেয়ে সে অফিসে গিয়ে খবর পায় একটা মৃত লাশ নিয়ে তাকে রাজশাহীতে যেতে হবে। লোকটা লাশটাকে দেখল যে,খুব বাজে ভাবে এক্সিডেন্ট হইছে,লাশ একটা মেয়ের, খুব সুন্দরী,মনে হয় কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।মাথার এক পাশ থেঁতলানো,চুল গুলা এলোমেলো, দেহের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্ত ঝড়ছে। উনি মাঝে, মাঝেই এমন লাশ নিয়ে প্রায় অনেক জেলাতে গেছেন তাই সাথে একজন কে নিয়ে সন্ধ্যা হয়,হয় ঠিক ওই সময় রওনা দিলেন। একটানা চার,পাচ ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে একটা স্থানে এসে কিছু খাওয়ার জন্য গাড়ি থামালেন তারপর খেয়ে দেয়ে আবার রওয়না দিলেন।কয়েক কিলোমিটার যাওয়া পর হঠাৎ একটা চাকা বাস্ট হয়ে যায়।গাড়ি থেকে নেমে দেখলেন চাকা বাস্ট হয়ে গেছে।এক্সট্রা চাকার জন্য গাড়িতে খোজ করে দেখেন ভুল করে এক্সট্রা চাকা নেয়া হয় নাই।সাথে যে ছিল সে বলল ভাই,চাকা যেহেতু নাই আমরা যেখানে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম ওইখানে যাই দেখি চাকা সারাইতে পারি কিনা?এই কথা বলে উনার কাছ থেকে কিছু টাকা আর নষ্ট চাকাটা নিয়ে রওয়না দিলেন।গাড়িটা রাস্তার এক পাশ্বে সাইড করা ছিল। কতক্ষন লাগতে পারে এই কথা চিন্তা করতে, করতে গাড়িতে গিয়ে বসলেন। গাড়িটা হাইড্রোলিক জগ দিয়ে স্ট্যান্ড করা ছিল।তাই এইটাও চিন্তা করছিলেন একা,একা এইভাবে থামানো একটা গাড়ি নিয়ে কতক্ষন অপেক্ষা করবেন।এমনিতেই জায়গাটা নীরব।একটু পর,পর,একটা দুইটা ডিস্ট্রিক বাস সাই,সাই করে যাওয়া ছাড়া আসে,পাশ্বে কোন মানুষজনের চিহ্ন নাই।আর রাত দশটা বাজে কে আসবে হাইওয়েতে। উনি একটা সিগারেট ধরিয়ে একটু পর,পর একটা করে টান দিচ্ছেন আর চাকা আসার ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করছেন।তিনি আসে পাশ্বে তাকিয়ে হঠাৎ ভেতরে থাকা লুকিং গ্লাসে চোখ দিয়ে আটকে গেলেন।চোখটা সরিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখেন নাহ কিছুই না, সব ঠিক আছে।আবার যখন সিগারেটে টান দিয়ে লুকিং গ্লাসের দিকে তাকালেন তখন ভয়ে স্থির হয়ে গেলেন।তিনি দেখলেন মেয়েটার লাশটা উঠে বসে আছে।এইবার উনি ঘাড় ঘোরাতে সাহস করলেন না। উনার মনে হচ্ছিল দাতে,দাত লেগে আসবে। হঠাৎ পিছন থেকে মেয়েটা বলে উঠল,ভাইয়া আমি পানি খাব,পিপাসায় গলাটা ফেটে যাচ্ছে। উনি অনিচ্ছা সত্বেও পিছনে তাকিয়ে দেখেন সত্যি মেয়েটা শোয়া থেকে বসে আছে আর ওর শরীরিরের দাগ গুলা নাই থেঁতলানো দিকটা বুজা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে সে অজ্ঞেন ছিল এখন জ্ঞান ফিরেছে। মেয়েটা আবারও বলতে লাগল, ভাইয়া আমার খুব পানির পিপাসা লাগছে আমাকে একটু পানি দেন। মেয়েটাকে দেখতে স্বাভাবিক লাগায় উনি একটা পানির বোতল এগিয়ে দিলেন। পানিটা পেয়ে এক নিশ্বাসে শেষ করে কেমন যেন একটা স্বস্থির নিশ্বাঃস ফেলল।তারপর উনার দিকে মুখ করে বলতে লাগল,জান ভাইয়া এই পানির জন্য আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছিল।আমার ভার্সিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ীতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে বাস স্ট্যান্ড আসি। আমি রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে যখন একটু সামনে আগালাম,খেয়াল করতে পারিনি কখন একটা দ্রতগামী বাস আমার সামনে এসে পরেছে, চোখের পলকে বাসটার আঘাত খেয়ে সামনে পরে যাই আর বাসটা ব্রেক করতে না পেরে আমার মাথার ঠিক বাম সাইড দিয়ে চলে যায়।যাওয়ার সময় আমার সমস্ত শরীরটাকে কয়েকবার রাস্তায় আষ্টেপৃষ্ঠে করে ফেলে যায়। এক্সিডেন্টের বেশকিছু ক্ষন পর পর্যন্ত জীবিত ছিলাম। চিৎকার করে বলতে পারিনি আমাকে কেউ পানি দাও পিপাসায় আমার গলা ফেটে যাচ্ছে। খুব শব্দহীন আর্তনাদ করে পানির জন্য ঘুমরে কেঁদে উঠে ছিলাম কিন্তু আমাকে একফোঁটা পানি কেউ দেয় নি।যখন শেষ নিশ্বাসটা ফেললাম একজন এসে আমাকে পানি খাওয়াতে চাইল কিন্তুু পানির একফোটও গলা দিয়ে নামল না গাল বেয়ে নিচে পরে গেল। আমার নিথর দেহটা এম্বুলেন্সে তুলা হল।আমার আইডি কার্ড দেখে ভার্সিটি থেকে তথ্য নিয়ে আপনার কাছে দিল আমাকে বাড়ী পৌছে দিতে। মেয়েটা এক নিশ্বাসে কথা গুলো বলে একটু চুপ হয়ে আবার বলল,ভাইয়া আমার আব্বা,আম্মা আর ভাই বোনকে বলবেন আমার জন্য যেন না কাঁদে আর আপনাকে অসংখ্য,অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে পানি খাওয়ানোর জন্য।এই কথা বলে মেয়েটা আবার শুয়ে পরে। ততক্ষনে যিনি চাকা ঠিক করতে গেছিল তিনি আইসা বলল ভাই চলেন চাকা ঠিক হয়ে গেছে।উনি সাড়া পেয়ে খেয়াল করলেন উনার পুরা শরীর ঘামে ভেজা।চাকাটা লাগিয়ে আবার রওয়না দিলেন।মেয়েটার গ্রামের বাড়ি যেতে,যেতে পরদিন প্রায় সকাল দশটা বেজে যায়। মেয়ের লাশ পেয়ে মেয়েটার বাবা,মা,ভাই, বোন কান্নাকাটি শুরু করে দিল। উনি ওইখানে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে পারলেন না।মেয়েটার বলে যাওয়া কথাগুলোও কারও কাছে বলতে পারলেন না।গাড়ি স্ট্রাট দিয়ে ঢাকার দিকে রওয়না দিলেন। মনটা খারাপ করে একটানা গাড়ি চালিয়ে যখন আবার ওই রাস্তায় আসলেন তখন দেখলেন মেয়েটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।সুন্দর একটা হাসি দিয়ে হাত নাড়িয়ে উনাকে বিদায় জানাচ্ছে। এইটা দেখে উনার মনটা ভালো হয়ে গেল।ভাল একটা স্বস্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরে চলে আসল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ