পদ্ধতিটা যতই কঠিনই হোক বা তা অবলম্বন করতে মৃত্যুর উপক্রম হতে হলেও আমার জানা দরকার।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মানুষ জিনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম নয় কারণ এই বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতা শুধু পয়গম্বর সোলায়মানকে দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু অন্য কাউকে এই ক্ষমতা প্রদান করা হয় নাই। অন্য কাউকে জিন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি এবং কেউ পারেও না। রাসুল (সঃ) বলেছেন,
“যথার্থই গত রাতে জিনদের মধ্যে হতে একজন ইফরিত (একটি বলিষ্ঠ অথবা খারাপ জিন)” আমার সালাত ভেঙ্গে দেবার জন্য থু থু নিক্ষেপ করেছিল। যাহোক আল্লাহ তাকে পরাভূত করতে আমাকে সাহায্য করেন এবং যাতে তোমরা সকালে তাকে দেখতে পারো সে জন্য তাকে আমি মসজিদের একটি স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলাম। অতঃপর আমার ভ্রাতা সোলাইমানের দোয়া মনে পড়লঃ “হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে দান কর এমন এক রাজ্য যাহার অধিকারী আমি ছাড়া কেহ না হয়।” [সুরা সাদ ৩৮:৩৫]
প্রকৃতপক্ষে, আছর অথবা ঘটনাক্রম ছাড়া জিনদের সাথে যোগাযোগ হওয়া বেশীর ভাগ সময়ই নিষিদ্ধ বা ধর্মদ্রোহী কাজের মাধ্যমেই হয়। [আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস্ এর Ibn taymeeyah`s Essay on the Jinn:: রিয়াদ তৌহিদ প্রকাশনী,১৯৮৯,পৃ.২১]

এভাবে তলব করে আনা দুষ্ট জিন তাদের সঙ্গীদের গুনাহ করতে এবং স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করতে সাহায্য করতে পারে। তাদের লক্ষ হল স্রষ্টা ছাড়া অথবা স্রষ্টার পাশাপাশি অন্যকে উপাসনা করার মত গুরুতর গুনাহ করতে যত বেশি জনকে পারা যায় তত জনকে আকৃষ্ট করে। একবার গণকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং চুক্তি হয়ে গেলে, জিন ভবিষ্যতের সামান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জানাতে পারে। ধন্যবাদ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ