যেহেতু আপনি ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাস বিভাগে প্রশ্ন করেছেন, তাই ইসলামী ধর্ম মতে আপনার প্রশ্নটির উত্তর করবার প্রয়াস পেলাম- জাদু এক অদ্ভুত কর্মকাণ্ড। যা মানুষের বিবেককে গোলক ধাঁধায় ফেলে দেয়। সাধারণত মানুষ জাদুর মাধ্যমে আশ্চর্য রকমের কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে। আল্লাহ তাআলা পূববর্তী যুগে যখন মানুষের হিদায়াতের জন্য আসমানি গ্রন্থ নাজিল করেন, তখন তাওরাত ও ইঞ্জিলের অনুসারীরা তা গ্রহণ না করে জাদুবিদ্যার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। যার ধারাবাহিকতা তখন থেকে শুরু কুরআন নাজিলের সময়সহ এখনো পর্যন্ত রয়েছে। সংক্ষেপে জাদুর পরিচয় এবং এর বিধান তুলে ধরা হলো- জাদুবিদ্যার বিধান হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের শরিয়তে জাদু নিঃশর্তভাবে কুফরি তথা নিষিদ্ধ ছিল। আর দ্বীনে ইসলামিতে জাদুবিদ্যার সামান্য বিশ্লেষণ রয়েছে। জাদুবিদ্যা অর্জনকে কেউ কেউ হারাম আবার কেউ কেউ মাকরূহ এবং অনেকে মুবাহ বলে মনে করেন। জাদু করার নিয়তে শিখলে তা হারাম বা অবৈধ। তবে কেউ যদি আত্মরক্ষামূলক কাজে ব্যবহারের জন্য জাদুবিদ্যা অর্জন করে তবে তা মুবাহ বা মাকরূহ। তবে মূল কথা হলো জাদু করাকে হালাল হিসেবে গ্রহণ করা কুফরি। কেননা কুরআন এবং হাদিসে জাদুকে যথাক্রমে অনিষ্টকর বিদ্যা এবং ধ্বংসাত্মক কাজ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। জাদুবিদ্যাকে হালাল মনে করার কোনো সম্ভাবনাই নেই। কেননা গণক, জ্যোতিষ বা জাদুবিদ্যা পারদর্শীদের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠোর হুশিয়ারি ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি গণক, জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে চায়, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হয় না (নাউজু বিল্লাহ) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘জ্যোতিষী হলো গণক; আর গণক হলো জাদুকর। পরিশেষে... জাদুবিদ্যা অর্জন করা, জ্যোতিষী বা গণকের কাছে যাওয়া এবং তাদের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করা- এ সবই ঈমানের পরিপন্থী কাজ। সুতরাং জাদুবিদ্যা অর্জন থেকে মুমিনের বিরত থাকা অপরিহার্য কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাদুবিদ্যার ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করুন। কুরআন-হাদিসের আমলি জিন্দেগি যাপন করে খাঁটি মুমিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ