ই-লার্নিং হল, ইন্টারনেটে কোর্স করানোর ব্যবস্থা, যাতে ছাত্ররা বাড়ি থেকেই পড়তে ও শিখতে পারে।ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া কম্পিউটার ব্যবহার করে ক্লাসরুম পড়ানোকে ই-লার্নিং বলা যায় না। ই-লার্নিং মানেই হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষালাভ, যা যে-কোনও জায়গা থেকেই করা সম্ভব।ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্কুল প্রোগ্রামস-এর ম্যানেজার মৃগাঙ্ক মুখার্জি জানালেন যে, উন্নত প্রযুক্তি ও ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে ক্লাসরুম টিচিংকে ইনফরমেশন কমিউনিকেশন টেকনলজি (আইসিটি) বেসড লার্নিং বলে।
ই-লার্নিং-এর ওয়েবসাইটগুলিতে
সাধারণত ভিডিয়ো লেকচার ও
কোর্সওয়্যার আপলোড করা থাকে।
এর সঙ্গে রেফারেন্স বইয়ের নামের
তালিকা, আলোচনার ফোরাম,
প্রাসঙ্গিক অনলাইন উইকি ও নানা
ধরনের প্রাসঙ্গিক কেস স্টাডিজ
থাকে। পাঠ্য বিষয়বস্তু টু ও থ্রি-ডি
অ্যানিমেশন, ল্যাবরেটরি
ডেমনস্ট্রেশন, অডিয়ো এবং
ভিডিয়ো ক্লিপিং-এর মাধ্যমে
বোঝানো হয়।
ই-লার্নিং-এর সুবিধা
১) ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর
যে-কোনও প্রান্ত থেকে যে কেউ
বিনামূল্যে বা ফি দিয়ে পড়াশোনা
করতে পারে।
২) ওপেন কোর্সওয়্যারের ভিডিয়ো,
অডিয়ো, ইমেজ, অ্যানিমেশন ও
ইন্টারঅ্যাক্টিভ পদ্ধতির সাহায্যে
শিক্ষার্থীর নিজেই নিজেকে
এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। নিজের
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো
কোনও বিষয় বুঝতে না পারলে বা
আরও বেশি শিখতে হলে ই-লার্নিং-
এর সাহায্য নেওয়া যায়।
৩) ই-লার্নিং পদ্ধতিতে ভার্চুয়াল
গবেষণাগারে কম্পিউটার
অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সহজেই
বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-
নিরীক্ষা করা যায়। পরীক্ষা
সংক্রান্ত নিয়মাবলি অর্থাৎ কী
কী করবে আর কী করবে না, তা
শুরুতেই দেওয়া থাকে। পরীক্ষা
পরিচালনাকালীন ভুল পদক্ষেপ
নিলে লাল ক্রস আসতে পারে, হুটার/
সাইরেন বাজতে পারে,
অ্যানিমেশনের মাধ্যমে
বিস্ফোরণও হতে পারে। ছাত্রটি
তখন বুঝে যাবে যে তার পরীক্ষার
পদ্ধতিটি ভুল হয়েছে। সে আবার
নতুন করে পরীক্ষাটি শুরু করতে
পারে। বার বার অভ্যাস করার
সুবিধার ফলে ছাত্রের আত্মপ্রত্যয়
বাড়ে। আসল পরীক্ষাগারে নির্ভুল
ভাবে পরীক্ষা করতে কোনও
অসুবিধে হয় না।