উপহার বা হাদিয়া প্রদান ও গ্রহণ উভয়ই সুন্নত। কোনো প্রকার শর্ত ছাড়া এবং স্বার্থ বিবেচনা না করে, কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে যে দান বা উপঢৌকন প্রদান করা হয়, তা-ই হাদিয়া। এই হাদিয়া বা উপহার অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের সদাকাহ বা অনুদান। হাদিয়া বা উপহার দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি কোনো দয়া বা দাক্ষিণ্য নয়। সাধারণত ছোটর পক্ষ থেকে বড়কে দিলে তা হাদিয়া বা উপহার। আর বড়র পক্ষ থেকে ছোটকে দিলে তা ‘আতিয়া’ বা উপঢৌকন তথা প্রীতি উপহার। রাসূলে কারীম সা. ইরশাদ করেন-তোমরা পরস্পরে হাদিয়ার আদান-প্রদান করো, তাহলে মুহাব্বত বৃদ্ধি পাবে। -আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং ৫৯৪ উপরন্তু রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিয়া দিয়েছেন এবং হাদিয়া গ্রহণও করেছেন। হাদিয়া দেওয়া-নেওয়ার অসংখ্য ঘটনা হাদীসের কিতাবে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। যা প্রমাণ করে হাদিয়া দেওয়া এবং নেওয়া একটি বৈধ ও উত্তম কাজ। তাই উক্ত ইন্টারনেট সেবা এবং কথা বলার সুবিধাটা ছিল গ্রাহকদের প্রতি বাংলালিংকের পক্ষ থেকে হাদিয়া। যা তারা গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরীর জন্য গ্রহণ করেছে। তাই তা গ্রহণ করা ও কাজে লাগাতে গ্রাহকদের জন্য কোনরূপ সমস্যা নেই। বরং এটি সুন্নতের চর্চাও বটে। ধন্যবাদ।