আমরা সূরার মাধ্যমে নামাজ পড়ি। কোন সূরার সাথে কোন সূরা মিলাতে হয়, সেটা ভালো করে লিখে দিবেন প্লিজ। শুধু সূরার নামগুলো মিলিয়ে দিবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর পবিত্র কুরআনের অন্য ১১৩টি সূরার যে কোন একটি থেকে তিলাওয়াত করতে পারেন। তাই নির্দিষ্ট কোন সূরার উল্লেখ নিষ্প্রয়োজন মনে করছি। অর্থাৎ সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর, সূরা ফাতিহা বাদ দিয়ে পবিত্র কুরআনের অন্য যে কোন একটি সূরা পাঠ করতে পারেন। আশা করি উত্তর পেয়েছেন। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানো ওয়াজিব। ফরজ নামাজের প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে এবং ওয়াজিব, সুন্নাত, নফল কিংবা অন্য যে কোন নামাজের সকল রাকাতেই সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা  মিলিয়ে পড়তে হয়। এখন সূরা ফাতিহার পর কোরআনের সূরা ফাতেহা ব্যতিত বাকি ১১৩টি সূরার যে কোন একটি কিংবা কমপক্ষে যে কোন তিন আয়াত মিলানোর মাধ্যমেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়। তবে সূরা মিলানোর ক্ষেত্রে একটি ধারাবাহিক পরিক্রমা বজায় রাখতে হবে। যেমন আপনি প্রথম রাকাতে পড়লেন সূরা বাক্বারার শেষ তিন আয়াত এবং দ্বিতীয় রাকাতে পড়লেন সুরা বাক্বারার প্রথম তিন আয়াত, এটা করা যাবে না। বরং তিলাওয়াত করতে হবে প্রথম রাকাতে প্রথম তিন আয়াত এবং দ্বিতীয় রাকাতে শেষ তিন আয়াত। প্রশ্ন হচ্ছে যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে কি হবে? তাহলে নামাজ নষ্ট হবে না কিন্তু নামাজ মাকরুহ হয়ে যাবে এবং সোওয়াব কমে যাবে। অনুরুপভাবে প্রথম রাকাতে সূরা ফালাক তিলাওয়াত করলে দ্বিতীয় রাকাতে সূরা নাস তিলাওয়াত করতে হবে। আর একটি সুন্নাত হচ্ছে দ্বিতীয় রাকাতের চেয়ে প্রথম রাকাত যেন একটু দীর্ঘ্য হয়। এখন যদি দীর্ঘ্য না হয় তাহলে কি কোন সমস্যা? না, কোন সমস্যা নেই, এক্ষেত্রে বলা হয়েছে দ্বিতীয় রাকাতের সূরা যেন প্রথম রাকাতের চেয়ে দেড় গুণের বেশি না হয়। এগুলো সবই সুন্নত। এসবের অন্যথা হলে নামাজ ভঙ্গ কিংবা কোন সাহু সিজদা দিতে হবে না তবে কোন কোন ক্ষেত্রে নামাজ মাকরুহ হওয়ার দরুণ সোওয়াব কমে যাবে। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ