আষাঢ়ে ভরা নদী
আমাদের গাঁয়ে আছে ছোট এক নদী,
বর্ষার প্লাবন জলে তটিনী হয় বেগবতী।
গাঁয়ের মাঝি নদীঘাটে যাত্রী পার করে,
নৌকায় রাখিয়া যাত্রী জোরে হাল ধরে।
বরষার জল নামে মাঠ ঘাট রাঙাপথে,
প্লাবনের ঘোলাজলে ওঠে নদী মেতে।
একূল ওকূল ভাঙে তটিনী ওঠে ফুলে,
বিশাল বিশাল তরু ভেঙে পড়ে কূলে।
পশ্চিমদিগন্তে আসে মেঘ কালো করে,
আষাঢ়ের বাদল ধারা অবিরাম ঝরে।
অশনি ভরা বিজুলি জ্বলে ক্ষণে ক্ষণে,
কাঁপিছে বসুধা আজি মেঘের গর্জনে।
আষাঢ়ে ভরা নদী কানায় কানায় বান,
ভেঙে পড়ে বাড়িঘর ভেসে যায় গ্রাম।
(আমার স্কুলের ম্যাগাজিনে আমি এই কবিতা দিয়েছে )
একটা ঘাসফড়িং এর সঙ্গে আমার গলায় গলায় ভাব হয়েছে,
ভাব না করে পারতামই না আমরা।
ঝিরঝির বৃষ্টির পর আমি ভিজে ঘাসে পা দিয়েছি
অমনি শুরু হয়ে গেল আমাদের নতুন আত্মীয়তা।
সবুজ মাথা তুলে কত খেলা দেখাল ঘাসফড়িং,
তার কাছ থেকে চলে আসার সময় আমার কী মনখারাপ
বলে এলাম আমি আবার আসব,
আমার ঘরের দরজা এখন সবুজে সবুজ।
এই আবার ঝিরঝির বৃষ্টি
আমি কথা দিয়ে এসেছি
ভিজে ঘাসের ওপর আমাকে যেতেই হবে আবার।
==========