শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
MDshahinur

Call

পূজায় যেসব গান বাজানো হচ্চে এই গানগুলো শুনলে, আপনার পাপ হবে না। আপনি যদি পূজা মন্ডপে যান এবং সে খানে কিছু খান, বা গান শুনেন তবে আপনার পাপ হবে। তাই পূজা মন্ডপে না যাওয়াই ভালো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী গুনাহর সমষ্টি হল গান ও বাদ্যযন্ত্র। কেউ যদি নিজ ইচ্ছাপূর্বক বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে গান শোনেন এতে তার গুনাহ হবে। গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) অভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সকলেই গান-বাদ্যকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইমাম মালেক করহঃ) কে গান-বাদ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেবল ফাসিকরাই তা করতে পারে। (কুরতুবীঃ ১৪/৫৫)। ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেছেন যে, গান-বাদ্যে লিপ্ত ব্যক্তি হল আহমক। তিনি আরো বলেন, সর্বপ্রকার বীণা, তন্ত্রী, ঢাকঢোল, তবলা, সারেঙ্গী সবই হারাম এবং এর শ্রোতা ফাসেক। তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। (ইগাছাতুল লাহফানঃ ১/১৭৯; কুরতুবী ১৪/৫৫)। তবে অন্য কেউ বাজাচ্ছে অথবা পূজায় যেসব গান বাজানো হচ্চে এই গানগুলো শুনলে, আপনার পাপ হবে না। তবে অন্তর দিয়ে ঘৃনা করতে হবে। বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত নাফে (রহঃ) থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার চলার পথে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বাঁশির আওয়াজ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই কানে আঙ্গুল দিলেন। কিছু দূর গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে নাফে! এখনো কি আওয়াজ শুনছ? আমি বললাম হ্যাঁ। অতঃপর আমি যখন বললাম, এখন আর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না তখন তিনি কান থেকে আঙ্গুল সরালেন এবং বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার পথে বাঁশির আওয়াজ শুনে এমনই করেছিলেন। (মুসনাদে আহমদ হাদীসঃ ৪৫৩৫; সুনানে আবু দাউদ হাদীসঃ ৪৯২৪ ইবনে মাজাহ হাদীসঃ ১৯০১)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ