আশাকরি পুরো লেখাটা পড়বেন।
আশাকরি পুরো লেখাটা পড়বেন।
আপনার ও আপনার পরিবারের ভাবনা টা কিছু টা ঠিক আছে কিন্ত তাই বলে এই সুযোগ টা মিস করবেন...!? আপনি তো জানেন কত টা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে আপনাকে সুযোগ যখন পেয়েছেন নষ্ট করেন না কোন ভাবে। কারণ আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের অন্য রকম ভাবে দেখা হয় ও তাদের একটু বেশি দাম দেওয়া হয়। যে হত্যাকাণ্ড টি ঘটেছে তার পিছনে নিশ্চয়ই কোন না কোন কারণ ছিল সেটা আমাদের জানার প্রয়োজন নাই। সবাই এখন এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক মাতামাতি করছে ৩-৫ দিনের মধ্যে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন সবাই আগের সাস্থানে ফিরে যাবে তখন আর কেউ এই গুলা নিয়ে মাথা ঘামাবে না। হুম বড় বড় জায়গা গুলাতে বড় বড় আকারে রাজনীতি হয়। তাই বলে নিজেকে ঘরের মধ্যে আটিকে রাখবেন.!??
মনে করেন আপনি ভর্তি হলেন না ঃঃ আপনার সিট কিন্ত ফাকা থাকবে না অন্য কেউ এসে দখল করে নিবে৷ তাহলে কেন নিজের কষ্ট করে অর্জন করা সিট অন্য কাউকে দিয়ে দিবেন। সব কিছুর ই নিয়ম আছে আপনি ভর্তি হওয়ার পর নিজের মত করে থাকবেন। নিজেকে নোংরা রাজনীতির ভিতর জড়াবেন না। যারা রাজনীতি করে তাদের থেক্ব দূরে থাকবেন। র্যাগিং এটা সবাই কে করা হয় না কিছু মানুষকে করা হয়। নিজেকে একটু সামলিয়ে নিবেন তাহলেই তো হয়ে গেল। বাসাতে ভাল করে বোঝান কারণ এ সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে অনেক পস্তাবেন।
নিজে বোঝাতে না পারলে অন্য কারো সাহায্য নিন। আপনার এলাকার যে বড় ভাই বা বোন ভার্সিটিতে পড়ে তাদের সাহায্য নিন। আশা করছি আপনার পরিবার আপনার ভবিষ্যতে কথা চিন্তা করে সব টাই মেনে নিবে।
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে আমাদের দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নোংরা রাজনীতি চলে। নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয় নিরীহ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়েও ভর্তি হতে না পারাটা অনেক কষ্টের। আপনার প্রতি পরামর্শ হল আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি হয়ে যান। আর হলে থাকবেন না। হলে থাকলে আপনার খরচ অনেক কমে যাবে কিন্তু হলে থাকলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে। মেসে থাকলে র্যাগিং এর স্বীকার হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই একটু বেশি টাকা খরচ হলেও মেসে থেকে পড়ালেখা করুন। রাজনীতির সাথে যু্ক্ত এমন ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন না। আপনি যে দলের সমর্থক হন না কেন, ফেসবুকে কোন দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু লিখবেন না।