মেডিটেশন (meditation) যোগ ব্যায়াম (yoga) মূলতঃ একটি শয়তানী ফাঁদ; যা নিঃসন্দেহে হারাম। কেন হারাম; সংক্ষেপে এর কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হল– ১- এটি মূলতঃ হাজার বছর পূর্বে ফেলে আসা হিন্দু-বৌদ্ধ- খৃষ্টান পাদ্রী ও যোগী- সন্ন্যাসীদের যোগ-সাধনার আধুনিক কলা- কৌশলের নাম। (yoga and breathing by Muhammad ‘Abd al-Fattaah Faheem p. 19) অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, َﺲْﻴَﻟﺎَّﻨِﻣ ْﻦَﻣَﻪَّﺒَﺸَﺗ،ﺎَﻧِﺮْﻴَﻐِﺑﺎَﻟ ﺍﻮُﻬَّﺒَﺸَﺗﺎَﻟَﻭ ِﺩﻮُﻬَﻴﻟﺎِﺑ ﻯَﺭﺎَﺼَّﻨﻟﺎِﺑ যে অন্য সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য বা মিল রেখে চলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়, তোমরা ইয়াহূদী ও নাসারাদের সাথে সাদৃশ্য রেখো না। (তিরমিযী ২৬৯৫) ২- মেডিটেশনের লক্ষ্য হ’ল অন্তর্গুরুকে পাওয়া। তাদের ভাষায়, ‘মেডিটেশনের মাধ্যমেই আপনি সংযোগ সাধন করতে পারেন আপনার ‘অন্তরের আমি’র সাথে, আপনার শক্তির মূল উৎসের সাথে।’ (http:// question.quantumme thod.org.bd) মেডিটেশনের এই দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ। মূলতঃ ‘অন্তরের আমি’ হল নফসে আম্মারা; যার অনুসরণের পরিণতি হল জাহান্নাম। এদেরকে লক্ষ্য করেই আল্লাহ বলেন, ُﻪَﻬَٰﻟِﺇ َﺬَﺨَّﺗﺍ ِﻦَﻣ َﺖْﻳَﺃَﺭَﺃ ُﻥﻮُﻜَﺗ َﺖﻧَﺄَﻓَﺃ ُﻩﺍَﻮَﻫ ُﺐَﺴْﺤَﺗ ْﻡَﺃ-ﺎًﻠﻴِﻛَﻭ ِﻪْﻴَﻠَﻋ َﻥﻮُﻌَﻤْﺴَﻳ ْﻢُﻫَﺮَﺜْﻛَﺃ َّﻥَﺃ ْﻢُﻫ ْﻥِﺇ ۚ َﻥﻮُﻠِﻘْﻌَﻳ ْﻭَﺃ ْﻢُﻫ ْﻞَﺑ ۖ ِﻡﺎَﻌْﻧَﺄْﻟﺎَﻛ ﺎَّﻟِﺇ ﺎًﻠﻴِﺒَﺳ ُّﻞَﺿَﺃ আপনি কি দেখেছেন ঐ ব্যক্তিকে, যে তার প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন? আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত। (সূরা ফুরক্বান ৪৩-৪৪)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মেডিটেশন শব্দের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে- চিন্তা-ভাবনা, মানুষ জীবনের শুরু থেকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মেডিটেশনের মধ্যেই পাড় করে, এক মুহুর্ত সময়ও মানুষ মেডিটেশন ছাড়া থাকে না, কিন্তু মানুষ বুঝে না। একজন শিশুর মেডিটেশন হচ্ছে সে কিভাবে বড় হবে, একজন শিক্ষকের মেডিটেশন হচ্ছে সে কিভাবে তার ছাত্রদের শিক্ষা দেবে, একজন বাবার মেডিটেশন হচ্ছে সে কিভাবে সংসার পরিচালনা করবে ইত্যাদি। অর্থাৎ জীবনের প্রতিটি মুহুর্তই মেডিটেশন চলমান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ