এ পর্যন্ত মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ
২০২১ সালের ৩০ জুনের আগেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এপর্যন্ত মূলসেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব তথ্য জানান। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
তিনি জানান, সংযোগ সড়কের কাজের অগ্রগতি হয়েছে একশ’ শতাংশ। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এপর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ১৮৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ৪২টি পিলারের (পিয়ার) মধ্যে ৩১টি পিলার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১১টি পিলার স্থাপনের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। মাওয়া অংশে এপর্যন্ত টাস্ট এসেছে ২৭টি। এরমধ্যে স্প্যান বসানো হয়েছে ১৪টি। বাকি স্প্যানগুলোর কাজ চীনে শেষপর্যায়ে রয়েছে। রেলওয়ে স্ল্যাবের জন্য মোট ২ হাজার ৯৫৯টি প্রি-টাস্ট স্ল্যাবের প্রয়োজন। এরমধ্যে ২ হাজার ৭৫৪টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি স্ল্যাবের কাজ এবছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এপর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৭৩২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। মূল সেতুর ব্যয় ততটা বাড়বে না। পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ছে বলে যা বলা হচ্ছে তা মূলত জমির বেশি দাম ও ট্যাক্স পরিশোধের কারণে। ২০১০ সালের এস্টিমেট অনুয়ায়ী এ ব্যয় ধরা হয়েছে।
এসময় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব আনোয়রুল ইসলাম, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার প্রদত্ত ঋণ বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়।